মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে
নিজেকে একটু সাজাতে।
কখনো হয়তবা চমকে যাবেন, সুরত এতখানি
বদলে গেছে যে, চেনাই যাচ্ছে না নিজেকে।
মাথায় একটু চিরুনি চালাবেন, প্রয়োজনে একটু তেল
কিংবা ভেজলিন মাখবেন, অগোছালো শ্মশ্রুরাজি
ছেটেছুটে, মুখের চামড়ায় যদি কিছু দুষ্টু ব্রণ গজিয়ে থাকে
ওগুলো উপড়ে ফেলবেন সাবধানে-
নিজেকে বেশ লাগবে তখন - সুদর্শন, ফিরে পাবেন
অনিচ্ছায় কিংবা অজ্ঞাতে হারিয়ে ফেলা পুরোনো জৌলুশ।
আমাদের প্রতিদিন কত ধুলোবালি, দূষিত বাতাসে
বেরোতে হয়, না চাইলেও, জীবন কিংবা জীবিকার জন্য;
জন্মপ্রাপ্ত নিখাদ চেহারায় ধুলোর আস্তর পড়ে যায়।
হয়তবা সুগন্ধি সাবান ও শ্যাম্পু যোগে
একটা বিশুদ্ধ গোসলেরও সময় জোটে না, তাই কমনীয়
চেহারাটা কবে যে বদলে যায়, বুঝতেই পারি না।
অথচ, বহুকাল আগে দেখা বন্ধুটি আপনাকে দেখেই
চোখ ছানাবড়া করে বলেন – কীরে দোস্, এতখানি বদলে গেলি
কীভাবে কখন? কেন তোর চেহারাটা হয়েছে মলিন?
মানুষ বদলে যায়, পালটে যায়
স্বার্থান্ধ মানুষেরা নিজেকে হারিয়ে ফেলে
অবাঞ্ছিত, উটকো জঞ্জালের গভীরে – কখনো বুঝে,
কখনোবা বুঝতেই পারে না কখন বদলে গেছে।
আমাদের সবাইকে নিয়ম করে নিজের সামনে দাঁড়াতে হবে,
জবাবদিহিতা করতে হবে নিজেকেই।
অন্যরা আমাকে চিনুক বা না চিনুক, অন্তত আমি নিজে
আমার আমিকে চিনতে পারছি কিনা, প্রাণপণে হলেও
সে-চেষ্টা করতে হবে।
নিজেকে খোঁজা, নিজেকে চেনা এবং নিজের মধ্যে থাকাই হলো
অকৃত্রিম মানবিকতা।
২২ এপ্রিল ২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২৬