কী কী কারণে বউ বা প্রেমিকাকে ভালোবাসেন
বউ বা প্রেমিকাকে কেন ভালোবাসেন তার একহাজারটা কারণ খাতায় লিখে ফেলা সম্ভব। এটা করবেন না দয়া করে, তাতে আপনার ভালোবাসা বা ভালোলাগার কারণগুলো খুব সীমিত হয়ে গেলো। ভালোলাগার কারণগুলোকে সংখ্যায়িত করা যায় না; কোনো নির্দিষ্ট কারণে ভালোবাসেন না কাউকে; ভালোলাগার মূল কারণগুলো অনেক সময় খুঁজেও পাওয়া যায় না, এতটা অজ্ঞাতবাসী।
‘তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না’, অহনা একদিবসে এ-কথাটা আমায় একশত বার বলতো। ‘কেন আমায় এত ভালোবাসিস, তার তিনটি কারণ আমায় বল্ তো সোনা’, আমি খুব উদ্গ্রীব হয়ে ওর কাছে একদিবসে একশত বার এর উত্তর জানতে চাইতাম। জানার জন্য আমি যতই অস্থির হয়ে উঠতাম, অহনা ততই শান্তসৌম্য ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এত ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
১৮ জানুয়ারি ২০০৯
প্রহসন
নজরুল এ দেশকে ‘আগুন খেলার সোনার বাংলা’ বলেছিলেন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলায় এখন আগুন জ্বলছে।
আগুন জ্বলছে ঘরে ঘরে।
পথে পথে জ্বলছে আগুন।
আগুন জ্বলছে বাংলাদেশের বুক ও হৃদয়ে।
আকাশে-বাতাসে এখন আগুনের বিষাক্ত ধোঁয়া আর পোড়া-মানুষের গন্ধ। রক্তের বিনিময়ে আমরা যে-গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেই স্বাধীনতার নামে এখন বাংলাদেশ জ্বলছে। পুড়ে যাচ্ছে জনগণ, দেশনায়কদের জেদ ও অহমিকা তবুও তীব্র অটল।
আমি পুড়ে যাচ্ছি, আমরা পুড়ে যাচ্ছি- বিলাসপুরে ৫জন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে মারার পরও সমাবর্তনে মুখ ছাপিয়ে হাসি ঝরে পড়ে- হায়, নিষ্ঠুর বঙ্গভূমিতে নিরীহ মানুষেরা এভাবেই মাটিতে মিশে যেতে থাকবে- তাঁদের জন্য কতিপয় অ্যামেচার কবি জনসমক্ষে ‘মায়াকান্না’ কেঁদে অবশেষে হাসতে হাসতে চায়ের আমন্ত্রণে শামিল হবেন।
৭ জানুয়ারি ২০১৪
চালের গুটি
আমরা মাছ। আমাদের স্মৃতিশক্তি ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। আমাদের কাটাকুটি করে, ছেঁচে ভর্তা বানানো হয়। আগুনে পোড়ানো হয়। তারপর ভোটের মওসুমে আমরা উৎসবে মেতে উঠি। কারা আমাদের পুড়িয়েছিল, কাঁচিতে কলজে কেটে বাঘের মুখে ছুঁড়ে মেরেছিল, তা আমাদের মনে থাকে না। নিরঙ্কুশ বিজয়ে, কখনো-বা দুই-তৃতীয়াংশ আসনে তাঁদের আমরা সিংহাসনে বসাই।
আমাদের চরিত্রের যেমন কোনো বদল হয় না, তাঁরাও মুদ্রার কেবল এ পিঠ আর ও পিঠ। দুজনেই আমাদের নিয়ে খেলেন, আর চালের গুটি হিসাবে দাবড়ান, থাবড়ান, থেতলান, কেটে টুকরো টুকরো করেন, এবং অনায়াসে পুড়িয়ে মারেন।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
কবি
আপনি চিরকালই কিছু নির্লজ্জ ও শঠ স্বভাবের কবিকে পাবেন, যারা সততা ও মানবতার কথা বলতে বলতে
আপনার মগজ হ্যাং করে ফেলবে, কিন্তু গভীর পর্যেবক্ষণে দেখবেন, তারা স্বার্থ পূরণের জন্য খুবই সূক্ষ্মভাবে
ন্যাক্কারজনক নৃশংসতার পক্ষ নিয়ে নিরাপদ ভবিষ্যতের সোপান তৈরি করছে - অথচ এর আগে ঘূণাক্ষরেও আপনি
বুঝতে পারেন নি, তারা আদৌ নিরপেক্ষ নয়, বরং নিরপেক্ষতার ভান করে সন্তর্পণে এবং সঙ্গোপনে নিজেদের
অবস্থান পোক্ত করছিল, আর সময় মতো ভোল পালটে হাওয়া বুঝে পাল তুলে দিল।
চেনেন না তাদের? চারদিকে তাকান। এই কিছুকাল আগেও তারা চৌকির তলে লুক্কায়িত ছিল। এখন ভবিষ্যত
নিশ্চিত ভেবে বেরিয়ে পড়ছে, আর ধূর্ত রাজনৈতিক ভাষ্যে নিজেদের জাহির করছে। তাদের চিনে রাখুন, তারা হিপোক্রিট,
কস্মিনকালেও কবি নয়, বড়োজোর কু-কুবি।
১ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



