আমি কিন্তু ঐশীর চেয়েও বড় দোষীর শাস্তি দাবী করছি।
কারণ আমি তলোয়ারকে দোষী করবনা দোষী করব যে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করেছে তাকে। ঐশী হলো একটা তলোয়ার যাকে ব্যবহার করে মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
আমি দোষ দিবো যুব সমাজকে ধ্বংসকারী বিবেককে হত্যাকারী সর্বগ্রাসী মাদককে
আমি দোষ দিবো যুবসমাজের নৈতিকতা ধ্বংসকারী তথাকথিত প্রগতীবাদকে
আমি দোষ দিবো বন্ধুত্বের নামে বেলেল্লাপনা অবাধ মেলামেশার প্রচারক মিডিয়াকে
আমি দোষ দিবো মাদক ব্যবসায় সহায়তাকারী পুলিশ সহ প্রশাসনকে
আমি দোষ দিবো ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার বিরোধিতাকারীদেরকে
কারণ ঐশী একদিনে হত্যাকারী হয়ে উঠেনি। তার পরিবেশ তাকে বাধ্য করেছে। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে ইয়াবা সেবন। অবাধ উশৃংখল জীবনযাপনে অভ্যস্থ বন্ধুরা।
আমি বলব যারা ঐশীর মত কোমলমতি একটি মেয়েকে স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বাবামার অবাধ্য হতে বাধ্য করেছে ঐশীর আগে তাদের বিচার করুন। যে মিডিয়া মগজে ঢুকিয়ে দেয় যারা সন্তানের শাসন করে তারা ব্যাকডেটেড। যারা বাবা-মায়ের অবাধ্য হবার শিক্ষা দেয়।
এখনো সময় আছে সমাজকে পাল্টাবার, এটা একটা ওয়ার্নিং। না হয় এমন ঐশী ঘরে ঘরে জন্ম নিবে। কোমলমতি বাচ্চারা কিশোর বয়সেই হয়ে উঠবে এক একটা দানব।
তাদের দানব হওয়া থেকে বাচাতে এখনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
একজন বাবা-মা কে সন্তানের প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের বন্ধু হতে হবে। তাদের মনকে বুঝতে হবে
নাহয় ভবিষ্যত কিন্তু অনেক ভয়ংকর হয়ে দাড়াবে।
ঐশী একটা ওয়ার্নিং মাত্র।