মহাপুরুষেরা
স্কুলে, প্রত্যেক ক্লাসে পাঠ্যপুস্তকে একজন করে মহাপুরুষের জীবনী অন্তর্ভুক্ত ছিল।ওগুলো পড়ানো শেষে শিক্ষক গন প্রতি বারই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বলার চেষ্টা করতেন যে জীবনে এমন হতে হবে, এমন কাজ করতে হবে যেন মৃত্যুর পরও মানুষজন শ্রদ্ধা ভরে জন মনে রাখে। আমি মনে মনে মহাপুরুষ হবার বাসনা নিয়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব করতাম।
সিনেমার কিছু রোল থাকে- কেবল ধর ধর আগুন আগুন বলেই পাট শেষ। যদিও আমি ক্লাসে ছিলাম “ধর,ধর, আগুন আগুন” ধরনের। তারপরও আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ,আমার মহাপুরুষ হয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।কারন, মহাপুরুষদের ছেলেবেলার সকল আচরন ও লক্ষণ অধিকাংশই আমার সাথে মিলে যেত।একদিন, ক্লাসে এক বন্ধুর হাতে মার খেয়ে মন খারাপ করে আরেক বন্ধুকে জানালাম যে ও খামোকা একজন ভাবি মনিষীর গায়ে হাত তুলেছে, পরে সে কৃতকর্মের জন্যে আফসোস করবে।এবং সে সাথে জানালাম যে, কেন আমি নিজেকে ভাবি মনিষী বলছি। আমার ওই বন্ধু চোখ ছানাবড়া করে জানালো যে, সেও নিজেকে ভবিষ্যত লেজেন্ড ভাবতে শুরু করেছে, কারন তার ও মহাপুরুষদের ছেলেবেলার আচরন লক্ষণ গুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে।মনিষি জন্মান কোটিতে একটা, এক ক্লাসে দুজন কিভাবে হয়?আমাদের ক্ষীণ সন্দেহ হলো।সরাসরি তো আর জিজ্ঞেস করা যায়না!একে একে ক্লাসের সব্বাই কে,এস্তেক শত অবজ্ঞা অবহেলা সত্বেও ছাত্রীদের কেও আশপাশ কথা বলে জানতে পারলাম যে প্রত্যেকে নিজেদের ভাবী মনিষীই ভাবছে, কারন তাদেরও ভাবনা তদ্বৎ।একজন অতি উৎসাহে বলেই ফেলল যে ,থমাস আলভা এডিসনের জীবনী পরলে মনে হয় তার নিজের জীবনীই পরছে। পরে আরেকজন শুধরে দিয়ে জানালো যে, ওটা তো ওর গরু রচনা পরলে মনে হওয়া উচিৎ।
বন্ধু কিংবা শিক্ষকদের পরম প্রহারেও তাদের বোকামি দেখে মনে মনে হাসতাম, মারো যত পারো ,মহাপুরুষ হবার পর আফসস করবে , আমার কি!। কারো মন খারাপ হলেই আমাকে একদফা পিটিয়ে যেত।কাঊকে পচাতে হলে আমি ছিলাম ফার্স্ট চয়েস।
মনিষী জন্মান কোটিতে একজন, এক ক্লাসে সব্বাই হয় না।আমি গোপন শ্লাঘা অনূভব করতাম।কারণ অধিকাংশ মহাপুরুষের মত আমিও ক্লাসে সবচাইতে নির্বোধ আর অত্যাচারিত।সবাই থেকে আমি এক পয়েন্ট এগিয়ে।এ কথাটা একদম গোপন রাখতাম।
আল্লাহ চাইলে সবই হয়। আমি সহ আমাদের ক্লাসের সব্বাই কিভাবে মহাপুরুষ হয়েছিল আমি বরং দুসরা কিস্তি তে জানাবো।আপাতত মুলতবি রেখে এখন আসল কাহিনীতে আসা যাক।
স্মরণীয় হতে হলে এমন ভাবে চলতে হয় যেন নিজের গড়া কীর্তি গুলো মানুষের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকে। একাজটাই করেন মনিষী। বিশ্ময়কর ভাবে ভাবে অতি ধনীরাও কিভাবে যেন একাজ টা বিনা পরিশ্রমে আতিশয় আয়েশলব্ধ ভাবেই পারেন, অর্থাৎ আমজনতার হৃদয়ে ঠাই করে নেন।
এরকম মনে হবার কারন,টাকা মানুষ কে বিনয়ি করে তোলে, তাই সহজেই সাধারন মানুষ জনকে প্রভাবিত করতে পারেন।নর্দমার পানিতে চাঁদ দেখা গেলে চাঁদের মান কি আর কমে! আমরা মধ্যবিত্তেরা, পয়সা ওলা লোক পিঠে হাত বুলিয়ে কথা বললেই অনেক দিন মনে রাখি। পরে, প্রসঙ্গে অপ্রসঙ্গে ঐ কাহিনীর অবতারনা করে আত্মপ্রসাদ লাভ করি। তাদের সকল আচরন কেই সঠিক মনে হয়, অবচেতন ভাবে তেল তেলে হয়ে যাই। খারাপ কাজ যেটা হয় ,পয়সা ওলা লোকজন কাছে থাকলে তাদের খেদমত ত্রুটিহীন রাখার জন্যে, আমাদের আসল ঘণিষ্ট জনেরা আমাদের বাজে ব্যবহারের মুখমুখি হন।
আমাদের অতি দুরস্য দুরতম এক অতি ধনি আত্মীয় আছেন, যাদের বাংলাদেশে একনামে চিনে।ঈষৎ কৃপণ অপবাদ দেয়া হলেও উনারা এমন ধনি, যে চুল কাটাতে দুবাই চলে যায়।কিছু কুচক্রি মহল আছে যারা ছড়িয়ে দিয়েছে যে ঐ বাড়ির বড় ছেলে নাকি ভুল করে ঘিয়ের বদনা নিয়ে টয়লেটে চলে গিয়েছিল(বদনা তে কেন ঘি রাখবে? এটা গুজব ছড়ানোর আগে এটা ভাবা উচিৎ ছিলো)।
আজ থেকে ৩০বছর আগের কথা।আমার এক দুরসম্পরকের মামা বিয়ে করবেন। হিশেব মতে ,ওই বিয়েতে ধনি আত্মিয়দের দাওয়াতের প্রশ্নই আসে না।
সবাই শাদা মাটা না। সংসারে টিকে থাকলে হলে একটু আধটু ধুরন্ধর হতে হয়।আমাদের মাঝে ঐ রকম ধারা কিছু দূর দৃষ্টির নানা ভাই ছিলেন,ওই ধনী আত্মিয়দের দাওয়াত দিলেন-সপরিবারে।দামী ঊপহার তো জুটবেই সেই সাথে এমন লিপইয়ার আত্মীয় স্বজন আছে জানলে হবু মামীর পরিবারে ইজ্জতও বাড়বে(আসল কথা দামী গিফট, স্বীকার করুক আর নাই করুক, ওই নানাদের আমি হারে হারে চিনি)।কিন্তু,উনারা ভুলে গেছিলেন
“The same with the same should take flight.
The dove with the dove and kite with the kite.”
গিফট হিশেবে দেখা গেল,নিতান্ত ছা পোষা আত্মীয় যারা তাদেরই কয়েকজন চাদা তুলে সে ত্রিশ বছর আগেই, ডিপ ফ্রিজ, রঙিন টিভি এমনকি সবুজ রঙা স্টিল আলঅমিরাও দিয়েছে। ধনী আত্মিয়েরা ১২ জনের পরিবার(যৌথ ফ্যামিলি তো), শেভ্রলে আর মাস্টাং গাড়ি চেপে গাজিপুরের মত মফস্বলে এসে কি গিফট দিয়েছে ,সবাই রুদ্ধ শ্বাসে অপেক্ষা করছে।অতি দামী আর ব্যতিক্রমী মোড়ক উন্মোচনে দেখা গেল, গিফট হিশেবে দিয়েছেন ৬ টা স্টিলের গ্লাস।এক আশাবাদি নানা তখনো বলে যাচ্ছেন, “রুপোর কি, না দেখ”।
সবাই এতটাই হতাশ হলো যে, সেদিন আর গিফট মোড়ক উন্মোচন আর অনুষ্ঠান জমেনি। স্থায়ি ক্ষতি যেটা হলো, স্টিলের গেলাস গিফট পাবার ভয়ে কেউ আর উনাদের দাওয়াত দেয়না।ইতিমধ্যে,ঐ ধনি আত্মিয় যে নানার কত ঘনিষ্ট আর ঐ ফেমিলির উত্থানে নানার যে কি অবদান, বিয়ের আগে,ইনিয়ে বিনিয়ে মামির বাবা বাড়িতে বেশ ক’বার গল্প করা হয়ে গেছে।
মামা একপ্রকার বিষন্নতায় ভুগতে লাগলেন।মামার নিজের আত্মিয় স্বজন বিশেষতঃ সত্যবাদি শিশু স্রেণী আসলে আতঙ্ক আরো বেড়ে যেত- কে কখন মুখ ফস্কে, নতুন মামি কে বলে দেয় এ গ্লাস কে দিয়েছে।মামা গ্লাস গুলো গায়েব করার সিদ্ধ্বান্ত নেন, এমন ভাবে গিফট ও হাওয়া হয় আর মামীও টের না পান।
বিয়ের পরের সপ্তাহে,নতুন মামিকে নিয়ে পাড়ার আন্ডা বাচ্চা সহ ৪০ জনকে নিয়ে মামা পাগলায় নৌবিহারে গেলেন।প্লেটের পাশাপাশি পানি খাবার জন্যে মামা নিলেনঐ ৬ টা গেলাস।আয়জকদের অব্যবস্থাপনা আর অবহেলায় সব্বাই এতটা হতাশ ছিলো যে মামা টিপস পর্যন্ত দেয়নি। তবে ,ওদের একটা বিষয় সবাইকে মুগ্ধ করেছিলো।সেটা হল, মামা ভুল করে(সন্দেহ হয় ইচ্ছেকৃত) গেলাস গুলো ফেলে এসেছিলেন, মাঝি কিভাবে যেন সুদুর পাগলা থেকে গাজিপুরের মামার বাসার ঠিকানা যোগাড় করে গেলাস গুলো ফেরত দিয়ে গেছে।
একবার মামা মামি, নাইট শো সিনেমা শেষ করে এসে দেখেন বাসায় ডাকাতি হয়েছে। খাট আলমিরা তছনছ করে গেছে। ফ্লোর আর সিলিঙ্গের মাঝখানে কেবল ছিলো খাট আর ডালা খোলা আলমিরা। মামা আরেক দফা বিমর্ষ হলেন। ডাকাতির কারনে যতটা না তারচেয়েও বেশি বিষন্ন ,ডাকাতেরা গ্লাস গুলো নেয়নি।
দেশের বাড়িতে নানুর কাছে রেখে এসেছিলেন, পরে নানু ফেরত দিয়ে যান, বলেন যে তার বাড়িতে কাচের গেলাসে শরবত পানি না দিলে, খান্দান নিচে নেমে গেছে , এ ভেবে মানুষ জন কষ্ট পাবে।
১৯ আগস্ট২০১৪। ঐ মামার ৩১ তম বিবাহ বার্ষিকী। ঘনিষ্ট কয়েকজনের রাতের খাবারের দাওয়াত ছিলো। অতিথি সমাগম তখনো শুরু হয়নি,আমি পয়লা জন।বাসায় দরজা খুলেই দেখি ভার্সিটি পড়ুয়া মামাতো ভাইটা ঐ গেলাস গুলোর একটাতে পানি খাচ্ছে।
ধনি মানুষেরাও মনিষীদের মত, মানুষের হৃদয়ে অমলিন থাকতে পারেন। মানুষের চেয়ে কীর্তি বড় , তা আরেক দফা প্রমাণ হলো। ধনী মানুষদের কীর্তি, সবার হৃদয়ে দাগ কাটলেও ঐ ৬ টা স্টিলের গ্লাস এখনো নতুনের মতো চকচকে, একরত্তিও আঁচড় পড়েনি।
dusorqa kistiদুসরা কিস্তিঃ
বিংশ শতকে দু রকমের মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়েছিল, যাঁদের, যে কারো জীবনী অবলীলায় স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
পয়লা ভাগে আছেন,গান্ধী, মান্ডেলা, মাদার তেরেজার মতো শত যুদ্ধের ডামাডোলেও ক্লান্তিহীন ভাবে শান্তির কথা বলে গেছেন।
আর দ্বিতীয় ভাগে আছে ৯৬ এ যাঁরা এইচ এস সি দিয়েছেন। বর্তমানে যারা ৭০-৮০% পাশের হার শুনে অভ্যস্ত, তাদের পিলে চমকালেও বলি, ওইবার এইচ এস সি পাশের হার ছিলো ২১%। এমন অবস্থা, অর্থনীতি প্রথম পত্র প্রশ্ন পেয়ে এক নেতা গোছের ছাত্র দিশেহারা হয়ে ইনভিজিলেটর কে ধমকে (আর্তনাদই হবে)বলে, “স্যার কোশ্চেন পাল্টায়া দেন”। দিশে হারা হলে মানুষ অনেক কথাই বলে। ফায়ারিং স্কোয়াডে নেবার পর এক আসামি বলেছিল,”ভাই আস্তে গুলি কইরেন”।
নেতারও দোষ নেই, ওঁর কমন পরেছিল ৫, আর সামনের জনের কমন পড়েছিল ০।আশ পাশ থেকে সাহায্য পাবার সম্ভাবনা নেই, স্যার রাও বলছেন, লিখে ফেল বাবা যা মনে আসে লিখে ফেল। সুতরাং এ কারবালা প্রাঙ্গনে যাঁরা বানচাল না হয়ে ধৈর্য ধারণ করে তাঁরাই তো প্রকৃত মহাপুরুষ!
অতশত তত্ত্ব কথা আপাতত মূলতবি রেখে আসুন আমরা পরিচয় হই সদ্য এক্সাম শেষ হওয়া, ফলাফলের জন্য অপেক্ষারত, হতাশাগ্রস্থ এডমিশন কোচিং শেষে আড্ডারত কিছু মহাপুরুষদের সাথে।
স্থানঃ সাভার গেন্ডা,কাঠের পুলের কাছে চায়ের দোকান।
সময়ঃবৃহস্পতিবার,রাত্রি দশটা।(নতুন স্বাধিনতা পেয়েছে তো, তাই এত রাত)
সভ্যঃ রব ,মূকুল,মাসুদ, প্রিন্স, রানা ,রুমী।
আড্ডা চলছে, অমন সময় আড্ডাস্থলের অদূরে,নয়ন ভাই অর্থাৎ রূমির বড় ভাইয়ের টয়োটা করলা গাড়িটা থামল। ড্রাইভিং সীট থেকে নয়ন ভাই নেমে,সভ্যদের দিকে এগিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে সিগারেট নিবিয়ে ফেলা হয়েছে।
নয়ন ভাই শাদা স্যুট পরণে-ইতালিয়ান্দের মতো লম্বা একহারা গঠনের সৌম্য দর্শন পূরূষ।নয়ন ভাইকে দেখে মহল্লার টিনেজার মেয়েদের প্রশ্বাস বন্ধ হওয়া অবিরল কোন ঘটনা ছিলোনা- আর মহল্লার আইকন ছিলেন তিনি।গোপনে নয়ন ভাইয়ের ড্রেস আপ, বাচন ভঙ্গি অনূসরন করতো সব্বাই। সে তুলনায় রূমি একদমই রদ্দি।
কাছে আসতেই সব্বাই সম্ভ্রমে উঠে সালাম জানালো। নয়ন ভাই কিছু না বলে রাণা কে জড়িয়ে ধরে হাঊমাঊ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন,” রানা,। আমি নষ্ট হয়ে গেছি, তোরা মানূষের মতো মানূষ , হ।রেজাল্ট যাই হোক, ভাল যায়গায় চান্স পেয়ে পাড়ার মুখ উজ্জ্বল কর, আমরা তো শেষ হয়ে গেছি।হতাশ হইস না, আরনষ্ট হেমিং ওয়ে বলেছেন, মানুষ মরতে পারে কিন্তু হারেনা(কান্না এর পর খানিক বিরতি নিয়ে)তোরা হতাশ হবিনা। প্লিজ কথা দে এভাবে আড্ডা না মেরে পড়া লেখা করবি?”
রানা নিজের কান্না থামিয়ে , বল্ল,” নয়ন ভাই আপনার ভালবাসার জবাব আমরা দিবই, দেখবেন আমরা ভাল করছি, আপনি কেবল দোয়া করবেন।“
এর পর একে একে সবার সাথে কোলাকুলি , সব্বাই কাদছে, এস্তেক চায়ের দোকানে কাজ করা ছোকরাটারও চোখে পানি।
রূমীকে জড়িয়ে বলছে,”ভাই আমার, তুই আমার স্বপ্ন নষ্ট করিস না, তুই তো জানিস মানুষ তার স্বপ্নের চাইতে বড়”
নয়ন ভাই চলে যাবার পর সেদিন আর আড্ডা জমেনি
সব্বাই বাড়ি গিয়ে রাত ৩ টা অবধি পরলো। সঙ্কল্প, নয়ন ভাইয়ের কাছে দেয়া কথা রাখতেই হবে।
পরদিন শুক্রবার, দশটা বাজে।
রানাকে, রানার মা পাঠালো মোড়ের দোকানে ডিম কিনতে। দোকানের মালিক রিজভি ভাই, নয়ন ভাইয়ের বাল্যবন্ধু, রানাদের খুব ই স্নেহ করেন।
ডিম পলিথিনে বাধতে বাধতে বললেন, “কি রে রানা মুখ শুকনা ক্যান? মন খারাপ?,কি হয়েছে?”
রানা বলল,”আর বইলেন না ভাইয়া, গতকাল রাত করে আড্ডা দিচ্ছি, নয়ন ভাই এসে আমাদের জড়িয়ে ধরে কান্না কাটি করলেন, আমরা যেন ঠিক ভাবে লেখা পড়া করি, এসব বলে, নয়ন ভাই তো , খুব লজ্জা লাগছে, ভাইয়ে কি রকম ভাবছে”
রিজভি ভাই ভ্রু কুচকে বললেন,”হারামজাদা রে নিয়া আর পারিনা। কালকেও মদ খায়া কান্না কাটি করছে?”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




