somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলমানের দিন-রাত

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলমানের দিন-রাত


মূল- হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ

১- প্রয়োজন মোতাবিক ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে। কিতাবাদী অধ্যয়ন করে অথবা উলামায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞাসা করে। [হক্কানী উলামায়ে কেরাম রচিত ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করে এবং উলামা ও হক্কানী পীর মাশায়েখের সাথে সম্পর্ক রেখে]
২- সকল ধরণের গোনাহ থেকে বিরত থাকবে।
৩- কোন গোনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করে নিবে।
৪- অন্যের হক নষ্ট করবে না। কাউকে হাতে বা কথায় কষ্ট দিবে না। কারো দোষ চর্চা করবে না।
৫- ধন সম্পদের মোহাব্বত এবং জাগতিক মোহ থেকে মুক্ত থাকবে। ভোজন বিলাস ও পোশাক পরিচ্ছেদে আভিজাত্যের ফিকিরে থাকবে না।
৬- কেউ যদি দোষ শুধরিয়ে দেয় তাহলে নিঃসংকোচে তা মেনে নিবে এবং তাওবা করবে।
৭- একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সফরে যাবে না। সফরে অপ্রয়োজনীয় অনেক কথা হয়ে যায়। অনেক নেক কাজ ছুটে যায়। জিকির-আযকার ও অজিফা বাদ পড়ে যায়। সময়মত কাজ হয় না।
৮- বেশি হাসবে না। বেশি কথা বলবে না। বিশেষ করে গায়রে মাহরামের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবে না।
৯- কারো সাথে ঝগড়া ফাসাদ করবে না।
১০- সর্ববস্থায় শরীয়তের পাবন্দ হবে।
১১- ইবাদতে অবহেলা করবে না।
১২- একাকী থাকার চেষ্টা করবে।
১৩- কারো সাথে দেখা সাক্ষাতের প্রয়োজন হলে ন¤্রতার আচরণ করবে এবং নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করবে না।
১৪- আমীর, সরকার ও ক্ষমতাধর লোকদের সাথে চলা-ফেরা কম করবে।
১৫- বদদ্বীন লোকদের সাথে চলাফেলা অনেক কম করবে।
১৬- অন্যের দোষ তালাশ করবে না। অন্য সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবে না। নিজের দোষ তালাশ করে তা সংশোধনের যতœবান ও আন্তরিক থাকবে।
১৭- সময়মত গুরুত্বসহ সুন্দরভাবে নামায আদায় করার চেষ্টা করবে।
১৮- অন্তরে অথবা মুখে সর্বদা আল্লাহর স্মরণ করবে। একটি মুহুর্তও গাফলতির মধ্যে কাটাবে না।
১৯- আল্লাহর যিকির করতে যদি ভাল লাগে, অন্তর খুশি হয় তাহলে শুকরিয়া আদায় করবে।
২০- নরম ভাষায় কথা বলবে।
২১- সর্ব কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করবে এবং সে সময়ই সে কাজ পুরণ করবে।
২২- কখনো দুঃখ কষ্ট পেরেশানী আসলে মনে করবে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। অস্থির হবে না। ধারণা করবে করবে যে এর বিনিময়ে কোন কল্যাণ রয়েছে।
২৩- দুনিয়ার হিসাব নিকাশে সারাক্ষণ লেগে থাকবে না। বরং আল্লাহর কথা খেয়ালে রাখা চেষ্টা করবে।
২৪- যথা সম্ভব অন্যের উপকার করবে। দুনিয়ার ক্ষেত্রে হোক বা আখেরাতের ক্ষেত্রে হোক।
২৫- এত কম পরিমাণে খাবে না যে, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। বা অসুস্থ হয়ে যায়। আবার এত বেশি পরিমাণেও খাবে না যে, ইবাদতে অলসতা চলে আসে।
২৬- আল্লাহ তাআলা ব্যতিত কারো থেকে কিছু পাওয়ার আশা করবে না। অমুক জায়গা থেকে আমার এই ফায়দা অর্জিত হবে এমন খেয়াল করবে না।
২৭- আল্লাহকে পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যাও।
২৮- নেয়ামত কম হোক বা বেশি এতে আল্লাহর শুকর আদায় করবে। অস্বচ্ছলতা ও দারিদ্রতার দ্বারা সংকীর্ণ হবে না।
২৯- নিজ অধীনস্ত লোকদের দোষ অন্যায়কে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা পোষণ করবে।
৩০- কারো দোষ জেনে ফেললে তা গোপন করবে। তবে কেউ যদি অন্য কাউকে ক্ষতি করতে চায় আর তুমি তা জানতে পারো তাহলে তাকে বলে দিবে।
৩১- মেহমান, মুসাফির, গরীব দুঃখী, উলামায়ে কেরাম এবং দরবেশদের খেদমত করবে।
৩২- সৎ লোকের সংস্পর্শে যাবে।
৩৩- সর্বদা আল্লাহকে ভয় করবে।
৩৪- মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখবে।
৩৫- যে কোন সময় বসে নিজের দৈনিক কৃতকর্মের চিন্তা করবে। ভাল কিছু হয়ে থাকলে তার জন্য শুকর আ মন্দের জন্য তওবা করবে।
৩৬- কখনো মিথ্যা কথা বলবে না।
৩৭- শরীয়ত বিরোধী মজলিসে যাবে না।
৩৮- লজ্জা-শরম এবং ভদ্রতা বজায় চলবে।
৩৯- নিজের ভাল কাজের উপর গর্ব করবে না।
৪০- আল্লাহ তাআলা নিকট দুআ করবে যেন, তিনি সঠিক পথে অবিচল রাখেন। {বেহেস্তি জেওর-৭ম খন্ড}
উল্লেখিত বিষয়গুলো দৈনিক একবার ভাল করে পড়লে আশা করি আমলের প্রতি জযবা তৈরী হবে।

অনুবাদ
মুফতী হাফীজুদ্দীন
প্রচারে- মাকতাবায়ে ফিদায়ে মিল্লাত
১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×