তখন ক্লাস এইটে পড়ি ।জন্মদিন ।উপহার কইটা পেয়েছিলাম মনে নাই।কিন্তু আমার মামার দেয়া শাহিদ আফ্রিদী আর রাহুল দ্রাবিরের পোস্টারটা অনেক দিন আমার কাছে ছিল।অই জন্মদিনে ওইটাই ছিল আমার পাওয়া বেস্ট উপহার।যারা বাসায় আসতো সবাইরে দেখাইতাম আমার এই উপহার।শুধু তাইনা, আমার খাতা,বই,ক্রিকেট ব্যাট জ়ূড়ে থাকতো অয়াসিম আকরাম,টেন্ডুলকার,সাঈদ আনোয়ার দের পোস্টার,স্টীকার।একবার পেপসির সাথে প্লেয়ারদের কার্ড দেয়া শুরু করল।তাতে তাদের জন্মদিন,ক্যারিয়ার থাকত।শুধু তাই না,তাদের পছন্দের গান,মুভি,খাবারের তালিকাউ ছিল।সবচেয়ে আকর্ষনিয় ছিল তাদের অটোগ্রাফ থাকত।আমাদের এলাকায় মাত্র এক্তা দোকানে দিত।সপ্তাহে দুই এক দিন জাইতাম শুধু কার্ডের জন্য। আমার কাছে মোট ৮৭টা কার্ড ছিল।একই প্লেয়ারের ২-৩টা।তারপর আমার দুই বোন যখন ঢাকায় পড়া শুরু করল তখন আমার আবদার আরও বাড়ল।আরো বড়,আরো সুন্দর পোস্টার চাই।
শুধু আমি না,আমার দুই বোনরেউ দেখছি প্লেয়ারদের পোস্টার নিয়া মাতামাতি করতে।তবে তাদের prerrence ছিল performance এর চেয়ে samrtness এ
তারপর বিনা মেঘে বজ্রপাত!!! আমার নানাজান আইসা দেখলেন তার নাতি-নাত্নির বই খাতা টেবিলে অসঙ্খ্য পুরুষের ছবি।উনি সব গুলার মুখ দিলেন কালো কলম দিয়া কালো কইরা!!!!
তারপর অনেক সময় গড়াইল।অনেক ব্যস্ত হয়া গেলাম।এক সময় যাদের খেলা দেখতাম তারা বার্ধক্যের কাছে হার মেনে চলে গেল।আমার পোস্টার,কার্ড গূলাউ গেল।কত কষ্ট,টাকা পয়সা খরচ করে জোগাড় করা জিনিস গুলা দিয়ে দিসিলাম এক জুনিয়রকে।আর কোন দিন এইগুলার খোঁজ় খবর নেই নাই।
কিন্তু সেই দিন একটা ঘটনা আমাকে আবার আমার কৈশোরে ফিরায়া নিয়া গেসে।দেখলাম আমার বোনের ছোট ননদ পত্রিকা থেকে তামিমের একটা ছবি কাটতেছে।পরে জানলাম সে তামিমের ব্যাপক ভক্ত।আমার মনে পড়ল আমিও কি করতাম!!! কিন্তু একটা কষ্টও অনুভব করলাম সেই সাথে……আমার কাছে বাংলাদেশের কোন প্লেয়ারের পোস্তার ছিল না!!!আমি তখন পাই নাই…মেহরাব হোসেন অপি আর শান্তর পোস্টার খুজছিলাম।পাই নাই।আজকের কিশোরের সেই সমস্যা নাই।তার নিজের দেশের প্লায়েরই আইসিসি রেংকিং দখল করে থাকে। তাদের পোস্টারে ঘর সাজাতে পারে।এখন কোন তরুণী আর লিখবে না “afridi merry me”. তারচেয়ে আমার দেশের তামিম-সাকিবরা শতগুণ ভাল!! দিন কিছুটা হলেউ বদলে গেছে!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





