একা বৃষ্টিতে ভিজি
ভীষণ ব্যস্ততায় ছেয়ে গেছে নির্মল প্রকৃতির রূপালী নগর। ইদানীং
নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত রাখছি, (ব্যস্ত রাখছি বেঁচে থাকার কারণে) এ
ব্যস্ততা ধোঁয়াটে সুখের আশায়। টেবিলের উপর আরশোলারা বাসা বাঁধে
মনের আনন্দে। জোনাকিরা নিঃশব্দ উৎসব লোডশেডিংয়ের শহরে।
জোনাকি আলোয় ভরে যায় নাগরিক ফুটপাত। কাঁটাবনের পথ ধরে
নিত্যদিন আমি ঝিগাতলার যাত্রী, ছোটখাটো দায়িত্ববোধ আমায় প্রভাতী
আলো টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় ধানমন্ডি লেকের বিপরীতে। পিচঢালা পথে
সকালের সোনা রোদ ছড়ানোর আগেই কখনো কখনো বৃষ্টিরা ব্যারিকেড
দেয় পান্থপথের মোড়ে। বৃষ্টি ভীষণ ভালোবাসি, এটি পুরনো অধ্যায়, বৃষ্টি
এখন আর আমায় আর ভাবায় না, সাত সকালের নিঃসঙ্গ পথে বৃষ্টিই
একান্ত আপন সঙ্গী হয়ে যায় গন্তব্যের পথে। অথচ অনেক দিন সত্যি
সত্যি বৃষ্টিতে ভিজা হয় না খেয়ালি মনে। শত শতাব্দী আগে শাহবাগের
মোড়ে বৃষ্টিতে ভিজেছি অনন্যার পাশাপাশি বিমুগ্ধ আলিঙ্গনে। আজকাল
বৃষ্টিতে খুব একটা ভিজা হয় না, এই সুযোগে ভালোবাসা ফিকে হয়ে
যায়-পথের দূরত্ব বাড়ে দিন দিন। আজও বর্ষায় কিংবা বসন্তে শাহবাগের
মোড়ে বৃষ্টির উৎসব, রিকশার হুট ফেলে একা বৃষ্টিতে ভিজি আনন্দের
বেদনায়। শারদীয় বৃষ্টি ধুয়ে নিয়ে যায় নাগরিক কালিমা-শহুরের ধুলো
ময়লা, পাপ। ভিজে না মন, কেঁদেই চলে সারাক্ষণ। আজ মেঘলা দিন-
আজ বৃষ্টির উৎসব সাদা-কালো মেঘের ঘনঘটায় নাগরিক বৃষ্টির
পায়তারা, সময়ের আহ্বানে একা বৃষ্টিতে ভিজি পৃথিবীর প্রথম মানুষ
আগমনের মতো নিঃসঙ্গ হয়ে। বৃষ্টির প্রবল ধারা আমায় ভাসিয়ে নিয়ে
যায় দূর অজানায়, মেঘনা যমুনা রূপেস্বরীর বুকে ভাসতে ভাসতে
অনন্যার ভেতর।
* উৎসর্গ : শত শূনতার মাঝে আজও অনন্যানেক খুঁজে ফিরি
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




