বিষয়টা নিয়ে অনেকদিন ধরে ভাবছি লিখবো কিন্তু সময়ের অভাবে তা আর লেখা হয়ে উঠছেনা। প্রসঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ! একজন অতী সামান্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকার কারনে তা বিলানোর শখটা আর দমিয়ে রাখতে পারলামনা। আমাদের জননেত্রী যখন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তখন থেকে সবার চোখে আমি এই স্বপ্নটা দেখতে পেয়েছিলাম। আজ সেই স্বপ্নটার পোষ্ট মর্ডেম করার উপযুক্ত সময়। নিবাচর্নের বাকী আর মাত্র দুই বছর। ইতিমধ্যেই নেত্রী ঘোষনা দিয়েছেন প্রতিশ্রুতির চাইতে উন্নয়নের পাল্লা ভারী। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ। চলুন সেই উন্নয়নগুলো থেকে ডিজিটাল উন্নয়নটা আমাদের ডিজিটাল পাল্লায় একবার মেপে দেখি।
কি এই ডিজিটাল?
ইংরেজী শব্দ ডিজিট থেকে ডিজিটাল এর আর্বিভাব। ০ এবং ১ এই দুই ডিজিট নিয়ে গড়ে উঠা ভাষাকে ডিজিটাল ভাষা বলা হয়ে থাকে যা ব্যবহৃত হয় কম্পিউটারে। অনেকেই আমরা একে বাইনারী ল্যাংগুয়েজ হিসাবেও জানি।০ এবং ১ এর এই ল্যাংগুয়েজ যখন কোন ইলেকট্রানিক্রস জিনিসে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্র বলে। যেমন - ডিজিটাল হাত ঘড়ি।
ডিজিটাল সিষ্টেম!
বৈদ্যুতিক সুইচের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সুইচ যখন অন করি তখনই বাতি জ্বলে উঠে কিংবা ফ্যানের পাখা ঘোরে আবার সুইচ অফ করার সাথে সাথেই সব অফ। ডিজিটাল এই ল্যংগুয়েজ এর সিষ্টেমটা ও ঠিক একই রকম। যখন ০ হবে তখন সব অফ আবার ১ হওয়ার সাথে সাথেই সব অন। হাই এবং লো এর খেলা চলে এখানে।
ডিজিটাল প্রকল্প লো ভার্সন
সত্যিই কথা বলতে গেলে নির্বাচনের পর যারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের বেশির ভাগ মানুষই জানতোনা কেমন হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের চেহারা। অনান্য বিষয়ে বেশী চেচামেচি হলেও এই সক্রান্ত তেমন একটা লেখা আমার চোখে পড়েনি। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ দেখে আমিও নতুন স্বপ্ন বাধছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের। আমার ডিজিটাল হাত ঘড়ির তারিখের দিকে বার বার তাকাতাম ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রকল্প ঘোষনা শুনার আশায়। না আমাকে হতাশ হতে হয়নি। আমার ডিজিটাল নেত্রী তার ডিজিটাল মন্ত্রিসভার ডিজিটাল বুদ্ধিতে একটি ডিজিটাল প্রকল্প পাস করেন। তারিখ নয় এবার সময়ের দিকে তাকানোর পালা। মানুষের মুখে মুখে শুনলাম একটা নাকি ডিজিটাল অপরটা এনালগ। যেহেতু ডিজিটাল খেলা সেহেতু ১ থেকে ০ হতে বেশী সময় লাগার কথা নয় বাস্তবেও তাই হল। বাংলার মানুষ অবাক নয়নে প্রতক্ষ্য করলো এই ডিজিটাল খেলা।
ডিজিটাল স্বপ্ন হাই ভার্সন
বলা হয়ে থাকে মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। সন্দেহ নাই মানুষের সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু এই মানুষেরই আবার সৃষ্টির নিৎকৃষ্ট জীবে পরিনত হতে বেশী সময় লাগেনা। দোষ তাতে সৃষ্টিকর্তার নয় দোষ মানুষেরই। যেকোন সিষ্টেমেরই ভাল-মন্দ দুটো দিক থাকে। কথা হচ্ছে সেটার কতটা সদব্যবহার আমরা করছি সেটা নিয়ে। আমাদের ডিজিটাল নেত্রীর আরেকটা ডিজিটাল স্বপ্ন ইতোমধ্যেই ডিজিটাল সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। নেত্রীর শেষ বিদায়ের কফিনটা যাতে ডিজিটাল হয় সেই সুয়োগ করে দিয়েছে আমাদের ডিজিটাল সিষ্টেমটা। সন্দেহ নাই এটি একটি অতী উত্তম সিদ্ধান্ত তবে তা নির্ভর করছে ডিজিটাল মন-মানসিকতার উপর। মশারীর ভেতর মশা রেখে এবং তা সদব্যবহারের লক্ষ্যে আমরা যদি মশারীর বাইরে এসে ঘুমাই তবে মনে একটা কিন্তু থেকেই যায়।
পরিশেষে আরো কিছু ডিজিটাল উন্নয়নের কথা আপনাদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই। ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ করা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন ডিজিটাল শহরের বাসিন্দাদের জেলের ভাত খাওয়ার ডিজিটাল ঘটনাগুলো আমরা এখনো ভুলি নাই। বলা হয়ে থাকে নতুন প্রজন্মের কথা। নতুন প্রজন্ম আর যাই হোক নতুন মোড়কে পুরনো মদ কখনো খায়নি এবং তা খাবেও না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





