যা ভাবছিলাম অবশেষে তাই হল! বামপন্থীদের আন্দোলনের পরিসংহারে এসে শুনা গেল ৮০% মুসলিমের এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা ! ঠিক একদিন আগে যেটা আমরা মি. ইনু সাহেবের মুখে শুনেছিলাম। বলে রাখা ভাল আমি কিন্তু রাজাকারের বিচারের দাবীতে আন্দোলনরত সবাইকে গণহারে বামপন্থী তকমা দিচ্ছিনা। এখানে শতকরা ৯০%মানুষই ডানপন্থী এবং ধর্মপ্রান মুসলিম বাকী ১০% হচ্ছেন বামসহ অনান্য ধর্মাবলম্ভী। তবে কেন প্রশ্ন উঠছে বামপন্থী নিয়ে? হ্যাঁ ওই আন্দোলনের সূচনাকারীরা হচ্ছে খাটি বাম যাদের দিয়ে কখনো কোন ভাল কাজ হয়নি এবং হওয়ার কথাও নয়। আর তাই তাদের তাদের প্রথম লক্ষ্য গৃহযুদ্ধ বাধানোর প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ হওয়ায় এখন ফাইনাল গোল হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
সভাবত এখন মনে প্রশ্ন জাগছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি জিনিসটা আসলে কি? ধর্মকে শতভাগ প্রতিষ্টা করার লক্ষ্যে নিয়ে যে বা যারা আন্দোলন করছে তাদের আন্দোলনের অপর নাম হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। আরেকটা প্রশ্ন আমাদের সবার মনে ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে ধর্মের সাথে কি আসলেই রাজনীতির কোন সম্পর্ক আছে? যেহেতু এই দেশের প্রধান ধর্ম ইসলাম তাই পবিত্র কুরআন দিয়ে এর জবাব দিলে বলতে হয় যেখানে স্বংয় আল্লাহ বলছেন এই কুরআন হচ্ছে মানব জীবনের কমপ্লিট সলুশন। প্রশ্ন আপনাদের কাছে সেখানে কি রাজনীতি নামক অধ্যায়টা অনুপস্থিত থাকার কথা? যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানতেন না এই ব্যপারটা? তবে কেন আমরা বলছি ধর্ম এবং রাজনীতি আলাদা? হ্যাঁ ধর্মকে পূজি কে ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য কোন রাজনীতির স্থান ইসলামে নাই। আর এই রকম রাজনীতি যে বা যারা করে তারা সর্ব অবস্থায় পরিতাজ্য। এবার আসি ধর্মভিত্তিক রাজনীতির আউটপুট বা ফাইনাল রেজাল্টটা নিয়ে। যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করলেন আমাদের জীবন চলার ম্যানুয়েল পবিত্র কোরআন শরীফ দিলেন সেই সৃষ্টিকর্তার ম্যানুয়েল বাদ দিয়ে আমরা কি মানুষের জন্য মানুষের তৈরী করা ম্যানুয়েল অনুসারে চলবো? যদি তাই হয় তবে আর আল্লাহ কিংবা পবিত্র কোরআন এর দরকারই বা কি?
পরিশেষে হিসাব মেলানোর পালা। এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে ক্ষতিটা কার? সিংহভাগ মুসলিমের এই দেশে নিশ্চয়ই ক্ষতিটা বামপন্থীদের নয়। যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তবে কি হবে? উত্তরটা খুবই সোজা পবিত্র কোরআনকে নিষিদ্ধ করলে যা হবার তাই হবে। প্রশ্ন জাগছে মনে এখানে কুরআন নিষিদ্ধ হচ্ছে কিভাবে? হ্যাঁ মুসলমানের দেশে যেখানে কুরআনের আইনে চলার কথা সেখানে যদি কুরআনের আইন বাস্তবায়নের আন্দোলন তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তবে আর কোরআন কে নিষিদ্ধ করার বাকী থাকলো কই? অনেকেই হয়তো ভাবছেন এতে করে জামাত-শিবিরের আন্দোলন তথা রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে। আরে ভাই আমরা কি জামায়াত-শিবিরকে এই দেশের ইসলামের সব দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছি নাকি। জামাত-শিবির যদি এই দেশ থেকে চলে যায় তবে কি ইসলাম ও এই দেশে থেকে চলে যাবে? ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কিছু মানুষ কেউ বুঝে আবার কেউ না বুঝে এই সকল ভন্ডদের সাথে কেমন করে একমত হয়!! এই ভন্ডরা যে মানুষের আবেগ এবং ধর্ম নিয়ে খেলছে সেটা কি বিবেকবান মানুষের বিবেকে একটুও নাড়া দেয়না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





