আজ সন্ধ্যায় শপথ নিলেন নতুন সরকারের মন্ত্রীরা। ৩২ জনের মাঝে ২৫ জনই নতুন। শেখ হাসিনা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছেন মন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সিনিয়র কিছু মুখকে বাদ দেয়ার আগে নিশ্চয়ই তাকে বেশ কয়েকবার ভাবতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটা বলা খুব কঠিন।
নতুন মুখ সব সময়ই আশার সঞ্চার করে। পাহসাপাশি আরেকটি দিক রয়েছে, সেটি হল শিক্ষা। মন্ত্রী যারা নির্বাচিত হলেন তাদের সকলেই উচ্চশিক্ষিত এবং স্বীয় অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত। তবে আশঙ্কার জায়গা একটাই, সেটি হল ক্ষমতার স্বাদ মানুষকে পাল্টে দেয়। কাউকে আরো উন্নত করে তোলে, আবার কেউ কেউ পশুতে রূপান্তরিত হয়। আমরা আশা করব নব নির্বাচিতদের সকলের ক্ষেত্রে প্রথমটিই ঘটবে।
সরকারের সবচেয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়- কৃষি, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র, সবগুলোতেই আমরা নারী মন্ত্রী দেখতে পাচ্ছি। নারীদের ক্ষমতায়নে এটি নিঃসন্দেহে খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি আরেকটি ইতিবাচক দিক হল এবার মন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্র তথা আত্মীয়তন্ত্র খুব সামান্য (একটি ছাড়া) প্রভাব রেখেছে।
পৃথিবী এখন অনেক কঠিন জায়গা। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি আরো কঠিন। একতা না থাকলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারব না। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রথম পদক্ষেপটাই হল সবার একতাবদ্ধ হওয়া। আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতারা দলের ভেতরেই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা অমূলক নয়, কারণ আমরা ইতিপূর্বে এ জাতীয় ঘটনা দেখেছি।
নতুন বাস্তবতা বিএনপিকে বুঝতে হবে। সংসদের ক্যাফেটেরিয়া থেকে চাল-ডাল-টাকা ইত্যাদি অন্যায়ভাবে নিজের জন্য নেয়ার অভিযোগ আছে এমন ব্যক্তিকে মহাসচিব পদে ঠাঁই দেয়াটা তাদের পতনের একটি কারণমাত্র। আজ সন্ধ্যায়ও যখন দেখি যে উনি নির্বাচনে কারচুপির কথা বলেন তখন হাসা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
নতুনের কেতন উড়ুক এই বাংলাদেশে - এটাই আমাদের কামনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





