জানিনা কি করে ভালো থাকতে হয় ! একটা চাকরি ভীষণ দরকার। চরম অসম্মান নিয়ে বেচে থাকার কোন অর্থ হয় না। কোন মানুষ যখন জন্মলগ্ন থেকে অপমানিত হতে হতে বড় হয়, তখন তার পক্ষে অন্যকে সম্মান করতে শেখাটা অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। আর যে মানুষ নৈতিকতা এবং সম্মান অসম্মানের প্রাচীর চার দিকে নিয়ে বড় হবার পর হঠাৎ আবিস্কার করে আশেপাশের মানুষগুলোর ভালোমন্দ বোধ নেতিকতার মাপকাঠিতে বিবেচ্য নয়, তখন সেই অদৃশ্য দেয়াল এক নিমিষে খসে পড়ে নিরাপত্তাহীনতার চরমে উলঙ্গ করে দাঁড় করিয়ে দেয়।
প্রত্যেকটা মানুষ যেন হিংস্রতার প্রতিচ্ছবি। ঘরে ফেরা কান্ত মানুষেরা আজ আর প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে প্রশান্তি খোঁজে না। বরং ঘরে ফিরে হিংস্র হয়ে ওঠার মতো কোন কারণ খুজে না পেলে মনে মনে এই বিশ্বাস সঞ্চয় করে নেয় যে,'বেশি ভালো ভালো নয়'। যেখানে কোন দোষ খুঁজে পাওয়া দায়, সেখানে আর কি কি গুন থাকা দরকার ছিল, সেই তালিকাটাই দীর্ঘশ্বাসের কারণ তেরি করে।
জানিনা পৃথিবীতে বিশ্বস্ত থাকবার এবং বিশ্বাস করবার মানুষের এত অভাব কেন? এইসব মানুষের ততটা ঘৃণা প্রাপ্য, যতটা ঘৃণা করার ক্ষমতা কোন মানুষের থাকে।
ব্যাংকে চাকরির দরখাস্ত করতে গিয়ে এক ত্রিশোর্ধ মহিলা ব্যাংকারকে হেসে হেসে, গলে গলে, মাথা নিচু করে, কাজ রেখে মোবাইলে আলাপ করতে দেখে বমি পেয়ে যাচ্ছিল। কেবলই মনে হচিছল এরা যদি সহকর্মী হয় তাহলে এই পরিবেশে কোনদিন কাজ করতে পারব কিনা! কাজের সময় মধ্যবয়সী মহিলার প্রেমালাপ করা কতটা যৌক্তিক কিংবা নৈতিক জানি না। আর এই মায়ের কাছ থেকে তার সন্তানরা কি শিখবে তাও জানিনা।
একজন বিবাহিত পুরুষ যখন সহকর্মীর সাথে স্ত্রীর তুলনা করে আফসোস করে, কিংবা অবিবাহিতা তরুণী যখন জেনে শুনে বিবাহিত বনধুর সাথে সময় কাটানোর জন্য ছলনার আশ্রয় নেয়- তখন বোবা চোখে চেয়ে দেখা আর এদের মনে প্রাণে ঘৃণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




