somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাক্কাস ভার্সিটির আক্কাস স্যার

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

( ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। লেখক- মাহমুদ হাসান)

একদিন বিকেলে যাক্কাস ভার্সিটির শিক্ষক আক্কাস তার ব্যাক্তিগত কক্ষে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে রইলেন। তিনি বার বার রিষ্ট ওয়াচের দিকে তাকাচ্ছেন। শালার সময় কেন এত দ্রুত ছুটে! ঘরির কাটা নাকি বিমানের চাক্কা!

অনাগত রোমাঞ্চকর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বিভোর তার চোখ-মুখ। গোটা শরীরময় মৃদু কম্পন অনূভূত হচ্ছে। কপালে দৃশ্যমান হওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু তিনি বার বার টিস্যু পেপার দিয়ে মুছার চেষ্টা করছেন। দরদর করে ঘামছেন।

আক্কাস পাটি বিছালেন ফ্লোরে। একটা ব্যাগ থেকে বের করেন দুটি বালিশ। তারপর আবার গিয়ে নিজের চেয়ারে বসেন।

কক্ষটি ভার্সিটির প্রাচীন একটি ভবনে। তার রুমটি তিন তালার একেবারে কোনায়। জায়গাটা অন্ধকারাচ্ছন্ন। নিরিবিলি। কোলাহলপূর্ণ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। অনেক চেষ্টা-তদবীরে করে তিনি রুমটি বাগিয়ে নিয়েছেন।

এ্যালট দেওয়ার সময় এক অধ্যাপক সন্দেহ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভার্সিটিতে নতুন নতুন বিল্ডিং হচ্ছে, আপনি এই চিপাগলিতে রুম পাওয়ার জন্য পাগল হচ্ছেন কেন?

তিনি মিন মিন করে বলেন, স্যার, আসলে সারা জীবন কেটেছে তারে-নারে করে। ভাবলাম অনেক হয়েছে, এবার সময়গুলি ব্যায় করি মানুষের তরে। তাই এখন থেকে গবেষণা কর্মে অধিকতর মনোনিবেশ করতে চাই। এই জন্যেই...

অধ্যাপক মুখে বিচিত্র হাসি নিয়ে বলেন, আপনি গবেষণায় নামলে তো বিপ্লব হয়ে যাবে। সমাজ কাঠামোই রাতারাতি পাল্টে যাবে। নামেন গবেষণা কর্মে- এই ঘুণেধরা সমাজ থেকে ঘুণে পোকা গুলো পিষে মারেন।

তিনি মনে মনে গালি দিয়ে ভাবেন,-আমার জ্ঞান গরিমা না হয় একটু কমই, তাই বলে সব চুথিয়া মজা লুটবে?

তার জীবনটাই-‘তদবীরে বাগিয়ে নেওয়া’। তিনি বিশ্বাস করেন- তদবিরেই মিলায় বস্তু, যোগ্যতা একটা বুলশিট ধারণা।

ভার্সিটিতে তার চাকরি এক আচানক ঘটনা। সবে মাত্র ভার্সিটি পাশ মেরেছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির তদবীরের করে ফেরেন। এলাকার এক প্রতি-মন্ত্রীর বাসায় সপ্তায় দুই বার হাজিরা দেন। প্রতিবারই গিয়েই একবার এবং আসার সময় একবার প্রতি-মন্ত্রির কদমবুচি করেন।

একদিন প্রতি-মন্ত্রীর এপিএসের ফোন। প্রতিমন্ত্রী ডেকেছেন। দৌড়াতে দৌড়াতে গেলেন। মন্ত্রী বললেন,- তুমি যেখান থেকে পাশ করেছ, সেখানকার শিক্ষক হতে চাও?

মন্ত্রীর কথা শুনে তার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। ফিট হই হই অবস্থা। গলা শুকিয়ে কাঠ। কোনমতে বললেন, ‘এটা কিভাবে সম্ভব স্যার.... আমার রেজাল্ট, আমার যেগ্যতা...’

মন্ত্রী তার চুরটে অগ্নী সংযোগ করেন। ধুয়া শূণ্যে ছুড়ে মারেন। ছাদের দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলেন, ‘আমি মাত্র থ্রি পাশ। হলফনামায় দেখবে বি-এ। কিন্তু এই থ্রি পাশ দিয়ে আমি আজ এই স্থানে। যেখানে হাত দিয়েছি সোনা ফলেছে। আজ আমার অর্জন সম্রাজ্যের মতো বিস্তৃত। এসব কিসের জোরে জান? এই মাথার। এখানে সত্যিই ঘিলু আছে।’

মন্ত্রী বলে চলেন, ‘কিন্তু শিক্ষার অভাবে একটা জায়গায় আটকে গেছি। প্রতি-মন্ত্রী থেকে আর মন্ত্রী হতে পারছি না। আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। এই শিক্ষিত শ্রেণীর উপর আমার চরম বিতৃষ্ণা। তাই তোমার মতো কিছু গর্দভকে এমন এক স্থানে পুঁতে যেতে চাই যেখান থেকে শিক্ষা ছড়িয়ে যায়। বলতে পারো-এটা আমার একটা অক্ষম প্রতিশোধ।’

তিনি লাফ দিয়ে গিয়ে মন্ত্রী পায়ের দখল নিলেন। বললেন- স্যার যদি জীবনটা আপনার পা টেপে টেপে কাটিয়ে দিতে পারতাম তাহলে ধন্য হতাম। আপনার পা ধরলেই প্রশান্তি। জানে প্রাণে লিলুয়া বাতাস বয়।

পাঁচ মিনিট হলো তিনি আর ছাড়েন না। মন্ত্রী ধমক দিলেন-তাও না। অবশেষে মন্ত্রী বেল টিপেন। দুই গার্ড এসে টেনে হিঁচড়ে তাকে সরিয়ে মন্ত্রীর পা-কে মুক্ত করে।

শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার হয়। আক্কাস সন্দেহ নিয়ে আবেদন করেন। প্রতিমন্ত্রীর কি সত্যি তাকে শিক্ষক করার মতো ক্ষমতা রাখেন! এটা কিভাবে সম্ভব।

যাই হোক চূড়ান্ত ভাইবা বোর্ড। এক প্রবীন অধ্যাপক। মুখ থেকে র্জদ্দার সুগন্ধ আসে। তিনি বোঝে গেলেন বের্ডের বাকি শিক্ষকরা এই গর্দভটাকেই সিলেক্ট করবে। আগে থেকেই এটা ঠিকটাক। গত দুই যুগ বছর ধরে এরকমটাই হচ্ছে। দিন দিন এটা আরও বাড়ছে। তার চোখের সামনে তার প্রিয় অঙ্গনে দিনে দিনে গাধার পাল বড় হচ্ছে। তারপরও তিনি কয়েকটা কঠিন কথার বলার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ভাইবার শেষ পযায়ে পান চিবুতে বলেন, ‘শোন বাবা, আমি মুনীর চৌধুরী স্যারের সময়কার ছাত্র। আমারা অন্য বিভাগের হলেও স্যার ক্লাস নিলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। স্যার ক্লাস নিলে আমারা হিপটোনাইজড হয়ে যেতাম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম শিক্ষক আসেনি। আমিও চেষ্টা করেও হতে পারিনি। অনেকদিন ধরে মনে মনে তার মত একজন শিক্ষক খুজছি। পাইনি। আজ তোমাকে পেয়ে আমার মনে আনন্দের সীমা নেই। সাগর সেঁচে মুক্তা পাওয়ার সুখ।’

‘তবে এখানে জয়েন করার আগে তুমি গ্রামে চলে যাও। সেখানে গিয়ে ষাঁড় পালন কর। পৃথিবীতে সবচে কঠিন কাজ ষাঁড় লালন পালন। তার চেয়ে কঠিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সামলানো। তুমি প্রতিদিন ষাঁড়কে মাঠে নিয়ে যাবে।ঘাস, তৃণ-লতা ভক্ষণ করাবে। তারপর তাদের দলাই-মলাই করে গোসল করাবে। দেখবে তোমার মাথা আরও খুলে যাবে। তোমার ব্রেন আরও শাণিত হবে’।

এসব শুনে আক্কাসের মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে হয়। রসিকতা এত অমানবিক হয়! তিনি হতাশ হন। চাকরি আর কিভাবে হয়!

কিন্তু আক্কাসের চাকরি হয়। বোর্ডের বাকি সদস্যরা আক্কাসকে চমকে দিয়ে তার পক্ষে কনসেন্ট দেন। এই কাজটি তার মাথা নিঁচু করে করেন। মাথা উঁচু করার সাহস ভার্সিটির শিক্ষাকরা দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছেন। দিন দিন তারা নত থেকে নততর হচ্ছেন।

যাক্কাস ভার্সিটির ছাত্ররাও নির্জিব হয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ অসাধরণ কাজ করে ফেলছেন। কিন্তু অধিকাংশেই আকাশের দিকে তাকতে পারেন না। নতুন নতুন উদ্ভাবন, গবেষণায় তাদের মনোযোগ নেই। সব ডিপার্টমেন্টে নির্বিশেষে একটাই কমন পাঠ্যবই –কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স!

ছাত্র নেতাদের একটাই কাজ লেজুড় বৃত্তি করা আর ছাত্রদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন ভন্ডুল করে দেয়া। এক সময় তাদের দেখলে বাঘে-মহিষে একসাথে পানি পান করতো। এখন চামচিকাও তাদের ভ্যাংচায়। অবশ্য এখন আর কেউই ছাত্র নেতা নন, তারা একটি সংঠনের বা দলের অনুগত কর্মীদের নেতা।

মাঝে মধ্যে তারা তদবিরের জন্য মন্ত্রণালয়ে যান। সচিব মহোদয় তাদের পশ্চাদ্দেশে এক কিক মারেন- তার এসে ক্যম্পাসে পড়েন। চারদিকে তাকিয়ে চুপিচুপি পাছা থেকে জুতার ময়লা ঝড়েন। কর্মীদের গল্প করেন-‘ বুঝলি, আজ একটা কাজে গিয়ে ছিলাম মন্ত্রণালয়ে। সচিব বললো করা সম্ভব না। দিলাম এক ঝাড়ি। সচিবের প্যান্ট নষ্ট। ছেড়াবেড়া অবস্থা!

ছাত্র আর ছাত্রনেতাদের গল্প আরেক দিন। আমরা যাক্কাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্কাসে ফিরে আসি।

শিক্ষক হওয়ার পর আক্কাস অবাক। যাক্কাস ভার্সিটির শিক্ষক হওয়া এতো সম্মানের ব্যাপার! নিজেকে হঠাত বেশি পানিতে পারা কম পানির মাতস্য মনে হয়।

ছাত্ররা এই আক্কাস স্যারকে নিয়ে বেশ মজা করে । স্যার ক্লাস নিতে আসলে ঘেমে-নেয়ে অস্থির হয়ে যান। দুরুদ শরীফ পড়তে পড়তে ক্লাসে প্রবেশ করেন আর এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে বের হয়ে যান।

ছাত্র-ছাত্রীদের তার একান্ত আজ্ঞাবাহী মনে হয়। ছাত্রীদের দিকে তিনি ‘বাহিবা মাত্রই দিতে বাধ্য থাকিবে’ ভেবে বসেন। কিন্তু যাক্কাস ভার্সিটির মেয়েরা বিরাট ত্যাদর। এরা ভাঙেও না মচকায়ও না। এদের তিনি একান্তে রুমে ডাকলে এক হালি বন্ধবি নিয়ে হাজির। যদি কেউ একা যায় আর সে গিয়েই বলে- ‘স্যার আপনি আমার গুরুজন। পিতৃসম। বাড়িতে থাকেন জন্মদাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি।’

তিন বছর পর তিনি মনের মতো একজন ছাত্রী পেলেন। সুন্দরী। সে অস্বভাবিক হারে বেশী নাম্বার পাওয়া শুরু করলো। একই ব্যাচের আরও দুই রুপবতী অস্বাভাবিক হারে নাম্বর কম পায়। কারণ ওরা তার মনের মনের মতো না।

আক্কাসের বউ শেয়ানা কম না। একদিন ডিপার্টমেন্টে হাজির। বেশী নাম্বার পাওয়া মেয়েকে খুজে বের করে। চুলের মুঠি ধরে বলে- আমার জামাই নিয়ে আর টানাটানি করলে তোর জান নিয়া আমি টান দিব।

এই ঘটনায় ভার্সিটি তোলপাড়। চারদিকে রী রী। পত্রিকায় নিউজ হয়। কেলেংকারী করাবার। কিন্তু আক্কাসের কিছু আসে যায় না।

আফ্রিকার গহীন অরণ্যে গন্ডার নামে এক জন্তু আছে। এর চামড়া অত্যন্ত পুরো। কিন্তু আক্কাস ভার্সিটির শিক্ষক। তার চামড়া যদি গন্ডারের চেয়ে পুরো না হয়, তাহলে এই জাতির কি হবে?

আক্কাস শিক্ষক রাজনীতির সাথে জান-প্রাণে ইনবলভ হন। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে তিনি এক রাতে টিভি টকশো-তে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ আসে। টক-শো শেষে তিনি সেই চ্যানেলের সিএনই-র কক্ষে গেলেন দেখা করতে।

সিএনই বলেন- আপনি দেখছি ভালোই কথা বলতে পারেন। তৃতীয় শ্রেণীর কতিপয় রাজনীতিবিদ আছেন যারা টকশো-তে এসে কথা না বলে ঘেউ ঘেউ করেন। আপনি শিক্ষক মানুষ। ভেবে ছিলাম জ্ঞান গর্ভ কিছু বলবেন। আপনি এককাঠি বাড়াতি। ঘেউ ঘেউযের পাশাপশি কামড়া কামড়ি করলেন। জলাতঙ্কের জীবনু স্প্রে করলেন। আপনাকে আর কীভাবে ডাকি!

যাওয়ার সময় আক্কাস সিএসই`র পা ধরে সালাম করেন। এতে কাজ হয়। রাস্তার ফকির থেকে শুরু করে মহাপুরুষরা পযন্ত তৈল মর্দন পছন্দ করে। সিএনই`র মন খুশি হয়ে যায়-ছেলেটা খুবই মাইল্ড, ভার্সিটির শিক্ষক হয়েও তার পা ধেরে সালাম করে গেল।

তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আক্কাসকে আবার ডাকবেন। একশ্রেণীর দর্শক আছে যারা ঘুমাবার আগে টিভিতে কামড়া কমড়ি না দেখে ঘুমাত পারেন না। কামড়া কামড়ি হয় টিভিতে। কিন্তু জলাতঙ্কের জীবানু টিভির স্কৃণ ভেদ করে পুশ হয় তাদের রক্তে। এতে রাতে গভীর ঘুম হয় তাদের।

সেই কেলেংকারীর পর আক্কাস অনেক দিন চুপ। কেটে যায় কয়েক বছর। হাঠাত তার স্ত্রী প্রেগনেন্ট। আক্কাসের মাথা গরম। এপাশ-ওপাশ সাররাত। ঘুম হয় না।

সুযোগ আসে আক্কাসের। এক ছাত্রী অসুস্থতার জন্য মিডটার্মমে অংশ নিতে পারেনি। ফলে ফাস্ট হাফে খুবই কম না্বার পায়। কোর্স শিক্ষক আক্কাস। এক রাতে সেই ছাত্রীর ফোন- ‘স্যার, আপনি আমাকে বাঁচান। যদি ফাইনালে ভালো নাম্বার না পাই তাহলে আমি শেষ। আমার বিয়ে ঠিক, বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।’

আক্কাস বলেন, ‘ঠিক আছে আমি দিব। তুমি আমাকে কিছু দিবে।বুঝেই-তো গিভ এন্ড টেকের যামানা। এখন তুমি কি ড্রেস পরে আছ?’

‘আমার মাথা পরীক্ষার টেনশানে নষ্ট। এসব বলতে পারছি না স্যার!’

আচ্ছা, ‘তোমাকে একাটা মানসিক সাজেসান্স দিচ্ছি। চোখ বন্ধ কর। আমাকে চিন্তা কর। দেখতে পাচ্ছ আমাকে?’

‘জ্বী স্যার। দেখতে পাচ্ছি। পরীক্ষার হল। চোখ গরম করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।’

‘না, তুমি একটু রোমান্টিক ওয়েতে চিন্তা করো না।’

‘স্যার, আই কান্ট হেল্প ইট নাউ। পরীক্ষায় আগে পাশ করিয়ে দেন। তার পর আপনি যা চান।’

আক্কাস পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেন। অনেক দিন চেষ্ট তরবিরের পর ছাত্রীকে রাজি করান।

আজ সেই দিন। তিনি ঘেমে নেয়ে ঘরির কাটার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছেন। অনাগত উত্তেজনায় তিনি বারবার কাঁপছেন।

নির্ধারিত অনেক আগ পেরিয়ে গেছে। মেয়েটা আসছেনা। আক্কাস বারাবার ফোনে ট্রাই করলেন। মোবাইল অফ।

আক্কাস বিছানো পটিতে শুয়ে পড়েন। তার অস্থির অস্থির লাগছে। গাড়াগড়ি খান। বালিশ চেপে ধরেন। উঠে কয়েকবার বুক ডান দেন। অস্থিরতা বিন্দুমাত্র কমে না। তার মনে কষ্ট চেপে ধরে। পীড়াদায়ক একটা ঢেউ তার রক্তের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হয়। তিনি বিলাপ করে কেঁদে উঠেন। হাঁপুস হুপুস নয়নে তিনি কাঁদতে থাকেন। তার আহাজারিতে অর্ধশতাব্দি পুরোনো ভবনে অন্ধকারচ্ছন্ন কক্ষটি ভারি হয়ে উঠে!

পুনশ্চ: কাল্পনিক গল্প। কাকতালীয় ভাবে মিলে গেলে অপমান গেয়ে নেবেন না। আমারা কেউই দোষ-ত্রুটি মুক্ত নই!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×