somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোয়াখালী সেচ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে

৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাটির দেশ হিসাবে পরিচিত বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা পলিমাটি বিধৌত উর্বর কৃষি প্রধান এলাকা। এ উর্বর ভূমিকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদনে কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ আজ অবধি কেউ গ্রহণ করেনি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় এ লক্ষ্যে কয়েকটি সেচ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হলেও আজও সেগুলো তিমিরেই বন্দী হয়ে আছে। বিভিন্ন সরকারের আমলে দফায় দফায় নানান আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত নোয়াখালী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ৩৭০ বর্গমাইল এলাকা সেচ সুবিধা পাবে এবং প্রতি বছর ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে বলে পরিকল্পনাবিদরা মনে করছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী এ পর্যন্ত হিসাবে টাকার অঙ্কে যা দাঁড়ায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকারও বেশী। এ এলাকার মূল ভূ-খন্ডকে রার জন্য লক্ষীপুরের চর রমনীমোহনে মেঘনা নদীর মোহনায় রহমতখালী খালের উপর রেগুলেটর তৈরী করা হয় ১৯৭২ সালে। রেগুলেটরের সাহায্যে প্রয়োজন মত পানি বের করা যায়। কিন্তু মেঘনার পানি খালে প্রবেশ করার সুযোগ নেই।
বর্তমানে মেঘনা নদীতে লবণাক্ততা নেই। কিন্তু রেগুলেটরের সাহায্যে খালে পানি প্রবেশের ব্যবস্থা না থাকায় শুকনো মৌসুমে নোয়াখালী ও লীপুর জেলায় সেচের জন্য পানি সংকট দেখা দেয়। এজন্য রহমতখালী রেগুলেটরে একটি 'নেভিগেশন লক গেইট’ নির্মাণ এবং কামতা খালের উপর একটি পাম্প হাউজ নির্মাণ করলে শুকনো মৌসুমে ৯২ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা পাবে। এ প্রকল্পটি সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। কামতাখালের উপর পাম্প হাউস নির্মিত হলে ডাকাতিয়া নদীর পানি খালের মাধ্যমে ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পাম্পের সাহায্যে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। বিগত সব সরকার প্রধানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সময় এই সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেও আজ পর্যন্ত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।
এখনো একটি সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূর্ভোগ মোচনের প্রহর গুনে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভাটি অঞ্চলের ৪০ লাখেরও অধিক মানুষ। ৫০ বছর ধরে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভাবে এলাকাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। বঞ্চিত হয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার ৪০ লাখেরও অধিক মানুষ। জলাবদ্ধতার নির্মম দুর্ভোগের কারণে এ অঞ্চলে কৃষি ও শিল্প খাতে ব্যাপক কোন উন্নতি হয়নি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এর কাজ শুরু করে। এর জন্য প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য টাকা বরাদ্দও হয়েছিল কিন্তু পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের সরকারগুলো মানুষের দাবির মুখে বেশ কয়েকবার কাজ শুরুর প্রক্রিয়া দেখালোও অজানা কারণে মাঝপথে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে। বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন নামও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোন কাজই হয়নি।
১৯৮০-৮১ সালে কামতা ও মজনাঘাট রেগুলেটর তৈরীর মাধ্যমে এলাকায় সেচ উন্নয়নের জন্য লীপুরের একটি পানি উন্নয়ন বিভাগীয় দফতর চালু করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন অর্থবহ ভূমিকা নেই। নাম পরিবর্তন করে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপের অজুহাতে স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যবস্থায় খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় যে সামান্য কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছিলো তাও এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত চালু প্রকল্পগুলোর চেয়ে উক্ত প্রকল্পের এলাকাটির সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ঢাকা থেকে ৭০/৮০ কিলোমিটার ভাটিতে দেশের দণি-পূর্বাঞ্চলীয় বিস্তৃত মেঘনা নদী বিধৌত ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বিস্তৃত ব-দ্বীপমালা নিয়ে এ প্রকল্পটি তৈরী করা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ৪০ লাখেরও বেশী অধিবাসী এ অঞ্চলে বাস করে। এরা অধিকাংশই কৃষিজীবি। মেঘনা ও সাগর বিধৌত এ অঞ্চলের ভূমি অত্যন্ত উর্বর। পলি মাটি সমৃদ্ধ এ উর্বর অঞ্চলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি ফসল ফলে। পূর্বে মুহূরী সেচ প্রকল্প, পশ্চিমে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প, দক্ষিণে উপকূলীয় বাঁধ বেষ্টিত এলাকার চাষাবাদ এবং বসবাসযোগ্য ভূমির পরিমাণ প্রায় ছয় লাখ একর। জলাবদ্ধতা এবং বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস এ অঞ্চরের মানুষের অন্যতম সমস্যা। এ জন্য বাংলাদেশের দণি পূর্বাঞ্চলের ৪০ লাখের বেশী লোক দুর্ভোগ মোচনের প্রহর গুনছে এ সেচ প্রকল্প প্রত্য করার জন্য।
চৌমুহনীর অনেক সড়ক পথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে, সড়ক পথে মাল পরিবহনের খরচ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। এর কারণে এই নৌপথের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু একশ্রেণীর অবৈধ ব্যবসায়ী খালের দিকে তাদের ঘরগুলো সম্প্রসারণ করে পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাব কেন্দ্রের সঙ্গে এই বিশাল অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার নৌযোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রটির অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে খালের উপর অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ এবং খালের উপর ছোট ছোট নীচু পোল নির্মাণসহ কোথাও কোথাও পানি চলাচল বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ বিশাল এলাকার নিম্নাঞ্চলে প্লাবন দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাঘাট। প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর জমির ফসল। চৌমুহনী বড় পুল এলাকাটি তিনটি খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে চৌমুহনী-ফেণী খাল এবং উত্তরে চৌমুহনী- ছাতারপাইয়া খাল এবং দক্ষিণে নোয়াখালী খাল। এই তিনটি খাল হচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এই তিনটি খালের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে অসংখ্য শাখা খালের। বর্ষা মৌসুমে ফেণীসহ নোয়াখালীর পূর্বাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের চাপ পড়ে উক্ত খালগুলোর উপর। উক্ত খালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে লক্ষীপুরের রহমতখালী খালের। আবার রহমতখালী খালের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে মেঘনার সঙ্গে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো অর্থাৎ ফেণী-চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া ও চৌমুহনী-নোয়াখালী খাল ভরাট করে অবৈধভাবে দোকানপাট বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। ফলে ফেণী ও ছাতারপাইয়ার পানির চাপে বর্ষা মৌসুমে বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ ডুবে যায়। ডুবে যায় হাজার হাজার একর জমির ফসল, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট।
চৌমুহনী, ফেণী খালের পাশ দিয়ে চলে গেছে চৌমুহনী ফেণী সড়ক। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি সেই খাল ভরাট করে খালের উপর পুল ও ইটভাটার রাস্তা করার কারণে চৌমুহনীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের নৌযোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সোনাইমুড়ি থেকে চাটখিল রামগঞ্জ হয়ে মহেন্দ্র খালটির সংযোগ রয়েছে মেঘনার শাখা নদী ডাকাতিয়ার সাথে। এ শাখা খাল গুলোর জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং সেচ সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘নর্থ-সাউথ ইরিগেশান প্রজেক্ট’ নামে স্বাধীনতার পর একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো। সে প্রকল্পটিও আজও আলোর মুখ দেখেনি।
একসময় চৌমুহনীর মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্রের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ছাড়াও নৌ যোগাযোগের সুন্দর ব্যবস্থা ছিল। নৌপথে খরচ কম ও নানান সুবিধার কারণে ব্যবসায়ীরা সাধারণত নৌপথেই মালামাল পরিবহনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু খালের অকার্যকরণের ফলে নৌপথ ব্যবহার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন এই অবৈধ বাড়ীঘর ও খালের উপর রাস্তা অপসারণ করে নৌ চলাচলের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা গেলে চৌমুহনীসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা কেন্দ্র গুলো চাঙ্গা হয়ে উঠবে। উপকৃত হবে নিম্নাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষক, রক্ষা পাবে হাজার হাজার একর জমির ফসলা। প্রতিবছর সংস্কার করতে হবে না হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তাঘাট। এ ব্যাপারে জনগণ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপরে কাছে অসংখ্যবার আবেদন নিবেদন করলেও কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি।

প্রথম আলো
৩১ আগষ্ট, ২০০৮




সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×