সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনবল বাড়ানোর জন্য সরকার মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু জনপ্রশাসনে থাকা কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের অসৎ কার্যক্রমের কাছে সরকারের সে উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকেই। সম্প্রতি প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে। ফলে সব শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার যে মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী নামে আরেকটি শ্রেণী চালু করা হবে। এজন্য সারাদেশের প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাড়া স্কুল গুলোতে অফিস সহকারীর পর্যায়ে একজন ও আরেকজন এমএলএসএস নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় পুল গঠন করে আরো ২০ হাজার খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাকে গণমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় প্রাথমিক শিক্ষায় এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু সরকারি এসব উদ্যোগের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। প্রথমেই নিয়োগ বাণিজ্য’র কারণে সরকারের এই উদ্যোগ ভেস্তে যাবে বলে জানিয়েছেন অনেকে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে এই আশঙ্কা তাদের। যদিও সুষ্ঠু শিক্ষা প্রদানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বাসা-বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্কুলে নিয়োগ প্রদানের কথা। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার কারণে সেই সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন নতুন শিক্ষকরা। সম্প্রতি সিলেটে নিয়োগ দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা এমন অনিয়ম আর বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এছাড়া ও শিক্ষা অফিসগুলোতে নিয়োগ নিয়ে চলে টাকা হরিলুট। অনেকে ঘুষ প্রদানে ব্যর্থ হয়ে বল প্রয়োগের সাহায্য নেন। অনেকে আবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যবহার করে বিনা ঘুষে পছন্দের জায়গায় পোষ্টিং নেন।
সরকার দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে মান সম্মত করে সব শিশুকে স্কুল মুখী করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারেরই প্রশাসনে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে সরকারের সেই উদ্যোগ যেন ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহবান সচেতন অভিভাবকদের।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





