জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, "বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে।"
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বর্তমানে ছয়টি– ইংরেজি, ফরাসী, রুশ, স্প্যানিশ, চীনা এবং আরবি।
একটি ভাষাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি দেশের যে বিপুল অর্থ এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব দরকার হয় – তার কতটা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব? জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বাংলা ভাষার মর্যাদা বা গুরুত্ব কতটা বাড়বে, আর কীভাবেই বা জাতিসংঘে তা ব্যবহৃত হবে? এ প্রশ্ন নিয়েই বিবিসির পুলক গুপ্ত কথা বলেছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশের এই স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম হচ্ছে জাতিসংঘের দাপ্তারিক ভাষা হিসেবে একটি ভাষা যখন অর্ন্তভুক্ত হবে, তখন সকল সদস্য দেশ এর ব্যয় বহন করবে। আর এই বিষয়টি নির্ভর করছে অন্যেরা কিভাবে দেখছে তার ওপর।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, জাপান, জার্মান, ভারত চেষ্টা করলেও তারা পারেনি। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। কয়টি সদস্য দেশ সমর্থন করছে ,না করছে বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এসময় তিনি আরো বলেন, "কবে হবে এমন দিনকাল ঠিক নেই তবে এটা চলমান প্রক্রিয়া।"সূত্র এখানে