somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার "হল" নামা..............(২য় কিস্তি)

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ২য় সেমিস্টার শুরু হল। আমাদের প্রথম সেমিস্টার এ বলা হত ১-১(ওয়ান ওয়ান)। ২য় সেমিস্টার এ বলা হত ১-২(ওয়ান টু)। তো ১-২ তে একটু সিনিয়ার হলাম। হল এ একটু ভাব নিয়ে চলতাম। নতুন সেমিস্টার এসেছে হল এ, তাদের সামনে একটু ভাব না নিলে কী আর চলে? কিন্তু, সিনিয়ার দের মাঝে আমরা(আমার ব্যাচ) সবার জুনিয়ার। তাই ইচ্ছা থাকলেও খুব একটা কিছু করতে পারতাম না। ১-১ এ আমরা যা করতাম(মুটামুটি ১-১ এর জন্য নিষিদ্ধ ), ১-২ তে এসে ১-১ কে ওই সব করতে দেখলে রাগে গা জ্বলে যেত। ভাবতাম ধরে নিয়ে এসে র‌্যাগ দেই। কিন্তু সাহস পেতাম না। এর মাঝে ১-১ কে ডেকে নিয়ে এসে হল এর নিয়ম-কানুন গুলো জানিয়ে দিলাম। ডাইনিং এ এই কাজ টা করা যাবে না, টিভি রুম এ ঐ কাজ টা করলে খবর আছে, পেপার এর রুম এ নিঃশব্দে পেপার পড়তে হবে, মিটিং এ সবার আগে যেতে হবে, নিচে বসতে হবে, সিনিয়ার ভাই দেখলে সালাম দিতে হবে, সিড়ি দিয়ে উঠা-নামা করার সময় বড় ভাই দেখলে একপাশে সরে জায়গা দিতে হবে, মাথা নিচু করে চলতে হবে, চুল বড় রাখা যাবে না, জুলপি বড় রাখা যাবে না, নিয়মিত শেভ করতে হবে, থুত্নির নিচে দাড়ি রাখা যাবে না, ফ্রেঞ্চ-কাট দাড়ি রাখা যাবে না(আরো কত কী)। এর মাঝে দুম করে একদিন আমার "হল-র‌্যাগ" হয়ে গেল। সারারাত ধরে র‌্যাগ। রাত ১টা থেকে ৪-৩০ পরযন্ত। কী সব অদ্ভুত প্রশ্নের মোকাবেলা করতে হয়েছিল! এখন মনে পরলে হাসি পায়! আমরা ৬ জন র‌্যাগ খেয়েছিলাম ঐ রাতে(আমি, প্রনয়, অনিক, মুনিম, সানি, স্বপ্নীল)। র‌্যাগ শেষে কী আনন্দ! ৪ জন(সানি, স্বপ্নীল বাদে) গেলাম স্টার এ নাস্তা করতে। নাস্তা শেষে হল এ ফিরে ঘুমাব, কিন্তু ঘুম তো আসে না। আনন্দে- উত্তেজনায় ঘুম আসছে না। বাকি ব্যাচ-মেটদের সাথে ঘটনা শেয়ার করে অবশেষে ঘুমাতে গেলাম। পরদিন থেকে হল এ ফ্রী। কী আনন্দ! র‌্যাগ এর পর তো ১-১ দের সাথে আরো ভাব নিয়ে চলতাম। ভাবখানা এমন "মুই কী হনু রে"। তার উপর ঐ সেমিস্টার এ হল এ পিসি নিয়ে এসেছিলাম। সে কি গান-বাজনা, মুভি দেখা। লেখাপড়া সব বাক্স বন্দি করে দিলাম। আনন্দে আনন্দে কেটে গেল ২য় সেমিস্টার.................চলবে
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×