somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভৌতিক রুম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনার্স প্রথম বর্ষের কথা। মৌলানা ভাসানী হল।
হলের ১১৬ নাম্বার রুমে উঠেছি। গণ রুম যাকে বলে। মনে পড়ে - তখন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন মিলে উঠেছিলাম সেই রুমে। অনেক রাত জাগা,আর অনেক আড্ডাবাজির পর রাত দুইটা - আড়াইটার দিকে পুরো হল ই তখন নিস্তব্ধপ্রায়। আমিও এপাশ ওপাশ করছিলাম। অনেকক্ষণ যাবৎ বেজে যাওয়া কোনো এক বড় ভাইর রুম থেকে ভেসে আসা গানটাও বন্ধ হয়ে গেল। একটুপর ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য উঠতে হলো। তখন হলে নতুন , মাত্র এক দিন আগেই উঠেছি হলে। তারপর ও রুম গুনে গুনে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ফিরে আসার সময় চারিদিকের নিস্তব্ধ পরিবেশে গা টা ছম ছম করে উঠলো। মনে পড়লো গতদিন একজন বলছিলো হলের পেছনের সেই অশ্বথ গাছটার কথা, সাথে সাথে একটা গরম হাওয়া যেন মুখের মধ্যে ঝাপটা দিয়ে গেলো। যাই হোক তাড়াহুড়ো করে রুমের দিকে পা বাড়ালাম।
রুমের সামনে এসে দেখি - রুমের দরজা বন্ধ। ভাবলাম কে আবার দরজাটা বন্ধ করে দিল !নক করলাম , বেশ জোরেই আবার নক করলাম।

কিন্তু এ কি ! আমার রুমটাতে ঝুলছে বিশাল এক তালা !

আমার মাথা তখন ঘুরছে , মাথার ওজন মনে হচ্ছিল বেড়ে গেছে দশ গুন। আমি কিছুতেই রহস্যের কিনারা করতে পারছিলাম না। দাড়িয়েছিলাম কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার , রুমের তালাটি একদম পুরনো , মনে হয় বহু বছর ধরে কেউ ছুয়েও দেখেনি। অন্ধকার রুমের ভেতরে দেখলাম পুরোনো আসবাবপত্র রাখার কিছু এলোমেলো অবয়ব। একসময় উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি সেটা রুম নাম্বার ১২০ !

তখন-ই দে ছুট ,... খুঁজে পেলাম আমার গণ রুম ১১৬।

এর পরদিন এক বড় ভাইর কাছে থেকে জানতে পারলাম - সেই ১২০ নাম্বার রুমে বেশ কিছুদিন আগেই একজন ছাত্র মারা যায়। খুব সম্ভবত তা সুইসাইড / মার্ডার ছিল। এর পর থেকে সেই রুমটাতে যারাই থাকতো বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনার শিকার হতো। হল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে একপর্যায়ে রুমটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

ঘটনা শুনে আমি তো পুরাই বোকা --- হয়ে গেলাম ! মনে মনে ভাবলাম - এত রাতের বেলায় ভুত বাবাজির দরজায় নক করে তার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়ে গেলামনা তো !
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×