Fact : যেসব কিডনী রোগে কিডনী স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে যেমন-urinary tract infection (UTI), kidney stones সেসব ক্ষেত্রে liberal diet এর সাথে প্রচুর পানি ও ডাবের পানি দেয়া হয়।কিন্তু যেসব রোগে কিডনী ঠিকমত কাজ করতে পারে না যেমন -chronic kidney disease এ আরও restricted diet দেয়া হয়।
Myth-২: রক্তচাপ কমানোর জন্য salt substitutes ব্যবহার করা যাবে।
Fact : কিডনীর কার্যক্ষমতা কম থাকলে salt substitutes ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এগুলোতে পটাশিয়াম আছে যা কিডনী রোগীদের হৃদক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।সাধারন আয়োডিন যুক্ত লবণ ব্যবহার করতে হবে। তবে লবণ কতটুকু গ্রহন করা যাবে তা নির্ভর করে কি পরিমান সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তার উপর। বেশী সোডিয়াম যুক্ত খাবার গুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
Myth -৩ : কিডনী যেহেতু ঠিকমত কাজ করছে না তাই প্রচুর পানি খেতে হবে।
Fact : কিছু রোগীদের তরল গ্রহণ সীমিত করতে হয়, অন্যদিকে কারো কারো ক্ষেত্রে রোগী যত টুকু খুশী তরল পান করতে পারে।
যখন কিডনীর কার্যক্ষমতা কমে যায় তখন কিডনী আগের মত ইউরিন তৈরী করে দেহ থেকে বের করে দিতে পারে না, ফলে দেহে পানি জমতে থাকে।
আবার যেসব রোগীদের কিডনীর কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রয়েছে এবং urinary tract infection (UTI), kidney stones এ প্রচুর পানি খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।অতিরিক্ত পানি যেসব উপাদান পাথর তৈরী করে তা কিডনী থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
Myth -৪: দুর্বল অনুভূত হওয়ায় ফল, ফলের রস,শুকনো ফল, নারকেল পানি, সুপ ও দুধ খাওয়া উচিত।
Fact: ফল, ফলের রস, সবজি সুপ ,ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমান পটাশিয়াম থাকায় এগুলো chronic kidney diseaseএর রোগীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শুকনো ফল, বীন, মটরশুটি, দুগ্ধজাত খাবারে ফসফরাসের পরিমান বেশি থাকায় এসব বাদ দিতে হবে অথবা পরিমিত পরিমানে খেতে হবে।
কিন্তু যেসব রোগীদের kidney stones রয়েছে তাদের জন্য পটাশিয়াম যুক্ত খাবার উপকারী। অতিরিক্ত লবণ, প্রাণীজ প্রোটিন,এলকোহল,carbonated পানীয়, পালং শাক , বাদাম,চকোলেট বাদ দেয়া উচিৎ।
Myth - ৫: টমেটো, বেগুন, ঢেড়স খাওয়া যাবে না।
Fact: বেশীর ভাগ সবজিই খাওয়া যায়। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমান বেশী তাদের জন্য সবজি সিদ্ধ করে পানি ঝড়িয়ে খেতে হবে। kidney stones এর রোগীরা সব সবজি পরিমিত পরিমানে খেতে পারবেন।
Myth -৬ : ডাল একদম বাদ দিতে হবে।
Fact : পাতলা ডাল সীমিত পরিমানে গ্রহন করা যায়।
ডায়ালাইসিস নিচ্ছে এমন রোগীদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য ডাল/দই/মাছ/মুরগী দিতে হবে (তবে পরিমান নির্ভল করবে রোগের তীব্রতার উপর) ।
এছারা ডায়ালাইসিসের সময় ক্যালরি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান গ্রহনের ব্যাপারেও মনযোগ দিতে হবে।
Myth -৭: কিডনী রোগ হলে হাটা বা ব্যায়াম করা যাবে না।
Fact :রোগী অস্বস্থিবোধ না করলে হালকা ব্যয়াম বা হাটা -চলা করতে পারেন। দৈনিক রুটিন মাফিক কাজ গুলো করলে রোগী উৎফুল্ল থাকেন এবং এতে কিডনীর কোন ক্ষতি হয় না
তথ্য ও ছবি সূত্র : ইন্টারনেট