যখন দেখি বিচারকে অথর্ব করে সরকারী খুনী বাহিনী খুন করে – সেই খুনকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে পরিবেশন করা হয় আর যারা দেশের দন্ডমুন্ডের কর্তা তারাও খুনের আনন্দে উল্লাশ করে।
তখন সত্যই হতাশ হতেও ভয় হয়।
বাংলাদেশ এই বিচারবর্হিভুত খুনের বিষয়টা নিয়ে মুলত পাকিস্তান থেকে – নাওয়াজ শরীফ দেশের আইন শৃংখলা রক্ষার জন্যে শর্টকার্ট হিসাবে খুন করেদমন করার পথ বেছে নিয়েছিলো। পরে জোট সরকার এই পথ ধরে বাংলাদেশের জন্যে। এরা চাঁদাবাজ খুন করে – কিন্তু চাঁদাবাজীর কারনকে লালন করে। বিচার ব্যবস্থা আর পুলিশের সমস্যা সমাধান না করে তাকে আরো জটিল করে ফেলে যাতে খুনের বিষয়টা আরো যৌক্তিক হিসাবে দেখা দেয়।
আমরা জানি খুন খুনই। আর জবাবদিহীতার বাহিরে থাকা এই খুনী বাহিনীর মতো পুলিশের ভিতরে খুনের জন্যে বিশেষ স্কোয়াড তৈরী করা হয়েছে – যারা খুনের ভয় দেখিয়ে তাদের ঘুষের অংকটা কয়েক গুন বাড়িয়ে নিয়েছে। শুনা যায় – র্যাব পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে মানুষ খুনের ঠিকাদারী নেয়। এই পর্যন্ত অনেক র্যাব সদস্য চাঁদাবাজীর অভিযোগে আতে হাতে গ্রেফতারও হয়েছে – কিন্তু মানুষের জানার বাইরে আরো কতকিছু ঘঠছে তা সহজেই অনুমেয়।
সেই লাগামহীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত খুনী বাহিনীর কর্মকান্ডকে সমর্থন করে যখন নির্বাচিত কোন মানুষ কথা বলে – তখন হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ছাড়া আর কি কোন আলোক দেখা যাবে?
আজ দেখলাম খবরে -
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিশ্ব নৌ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এনকাউন্টারে সন্ত্রাসী মরলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বর্তমানে এনকাউন্টারের কারণেই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ রয়েছে।”
খবরের আরো জানায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকার জানায়, গত নয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অধিকার বলছে, মূলত: ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এ ধরনের বক্তব্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
র্যাবের এক পরিসংখ্যানে সম্প্রতি জানানো হয়, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ বিশেষ ওই বাহিনী গঠিত হওয়ার পর থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭২টি ঘটনায় ৫৭৭ জন ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে।
আরেকজন গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিধির বন্তব্য দেখুন -
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “ক্রসফায়ার বলতে কিছু নেই। ক্রসফায়ার নিয়ে যে সব কথা বলা হয় তা আদৌ ক্রসফায়ার নয়। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আত্মরক্ষার সময় এসব মৃত্যু ঘটে।”
যতটুকু জানি নেশার সবচেয়ে খারাপ স্থর হচ্ছে হিরোইন। সেই হিরোইন আসক্ত হয়ে গেছে দূর্নীতিগ্রস্থ অব্যবস্থাপনার জন্যে কুখ্যাত বাংলাদেশের প্রশাসন। এই খুনের নেশা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পথ না খুঁজে হিরোইন সরবরাহ করার পথকেই সহজ পথ হিসাবে নিয়েছে।
এইটা বিরাট ভুল। সভ্যসমাজের মুল ভিত্তি হলো ন্যয়ের শাসন -আর বিচার বিভাগ হলো একটা সমাজের বিবেকের মতো। সেই বিবেককে এড়িয়ে খুনীদের পক্ষে সাফাই গাইছে যে ক্ষমতাশীন রাজনীতিকগন -তাদের জন্যে রইল ঘৃনা।
আশা করি বাংলাদেশের মানুষের বিবেক জাগ্রত হবে – মানুষ উপলদ্ধি করবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে একটা ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য এই বিচার বির্হিভুত হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




