আমি রঙ দেখি... এই কালো চোখের মনি জুড়ে কতবর্ণের রঙ - ছোটবেলা থেকেই রঙ দেখেই কোন জিনিষ মনে রাখতাম। আকার দিয়ে মনে রাখা যায়, গন্ধ দিয়ে মনে রাখা যায়, আকারের গঠন দিয়ে মনে রাখা যায়, শব্দ দিয়ে মনে রাখা যায়। কতভাবেই না মানুষ মনে রাখে।
ছোট্ট বেলায় জানালার ঘুলঘুলিতে একবার চড়াই ছানা দিয়েছিল - তার একটা নিচে পড়ে গেলে ভাইয়া সেটিকে নিয়ে কি লাফালাফি- দ্রিম দ্রিম শব্দে আমার বুকের কাছটায় বাড়ি দিচ্ছিলো - আহা ছানাটা - কেমন অসহায় চোখ - কেমন কাপছিল - ভাইয়াটা এমন দস্যি কোনদিন আমার কথা শুনবে -আমার শত বলাতেও ও শোনে নি- কিছুন আমোদ জাগিয়ে ও মরে গেলো- আমি চড়াইটিকে আজো মনে করতে পারি কালচে খয়েরী আর ছাই ছাই রঙের মিশেলে, এই রঙ গুলোর মিশেল এখনও আমার কাছে অসহায় কোন দৃষ্টির চিহ্ন মনে হয়।
মেয়েদের কি বেশি মায়া? আমি দেখেছি ছেলেরা কেমন জানি নিষ্ঠুর মজা করতে পারে-দস্যির মতো। দস্যিপনার রঙ কি জানেন? ফর্সা শ্যামলা বললে যে রঙ ভাসে সেই রঙ - আমার ঠিক বড় বুনো ভাইটার গায়ের রঙ। এখন ও কতো শান্ত বরঞ্চ আমি ওর তুলনায় আজ একটু বেশিই নিষ্ঠুর , সেই ছোটবেলায় গড়া ছবি আজো পালটাতে পারে নি।
একটা কথা মনে হয় হয়ত মানবেন হয়তবা না- মেয়েরা বড় হলে বুঝি একটু বেশি নিষ্ঠুর হয় কোথাও কোথাও, বিশেষ করে ছোট ছোট ব্যাপারে হয়তবা ছোট গন্ডিতে থাকতে থাকতে ছোট ব্যাপারগুলিই তাদের জীবনে অনেক বড় হয়ে যয়ি, খুটিনাটি আর খুটিনাটি থাকে না- গভীরতা পায় বিস্তৃতির তুলনায়, গভীরতার রঙ কি- আমার কাছে ফরসা লালচে একটা রঙ ,আমার মায়ের মুখের রঙ।উদাসীনতার রঙ ম্যামলা- সে রঙ আমার বাবার আপনাদের এই রঙভাবনা হয়ত বোকার মতো মনে হতে পারে কিন্তু এই এতদিনেও ছোটবেলার রঙ যে কথা বলেছিল রঙ সেই কথাই যে এখনও বলে যায়।
লিখতে চেয়েছিলাম আরো অনেক রঙের কথা কিন্তু সোনালী রঙটা ঝামেলা বাধালো। ছোটবেলায় আমার দাদু একটা সোনালী রঙের ঘড়ি দিয়েছিল তাই দেখে আমার সময় মেনে চলতে হতো - সেই থেকে সময়ের রঙ সোনালী
আর সোনালী রঙ এখন আমায় অন্যকোথাও ডাকছে।।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



