যেসব ব্লগারের বয়স "ত্রিশ-কি আশপাশ " তাদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করার কথা হার্টথ্রুব কার্টূন ছবি "থান্ডার ক্যাটস"। কার্টুন নেটওয়ার্কের কল্যাণে প্রায় কুরি-পচিশ বছর পর এক দুপুরে আবার থান্ডার ক্যাটস দেখার সৌভাগ্য হলো। দেখছি আর ভাবছি এই কার্টুনের কি প্রভাবই না ছিলো জীবনে! মনে পড়ে, কাপাশি (বাঁশের চল্টা) বা বেতী দিয়ে তলোয়ার বানাইছিলাম। যার সবচে আকর্ষনীয় পার্ট ছিলো হ্যান্ডেলের জায়গাটা। সেখানে কী ভুজুংভাজুং কর্লে থান্ডারক্যাটসের নায়ক লায়োনোরটার মতো হৈবো দেখতে, সেইটা নিয়া চলতো গবেষণা। মজার ব্যাপার হৈলো, কয়েক দোস্তো মিল্ল্যা থান্ডারক্যাটসের যে ভারশনটা মঞ্চায়িত করার চেষ্টা করা হৈতো, সেইখানে সবাই লায়োনো সাজতো! কেওই চিটারা, কিংবা টাইগ্রা, বা প্যান্ড্রো, (আরো দুইটা ছোট ছোট বাচ্চা..কি জানি নাম, মনে নাই) সাজতে চাইতো না!...............তো থান্ডার ক্যাটস দেখতে দেখতে এইসব ভাবাভাবিটা জইমা উঠলো বউ নাক গলানীতে।
জায়গাটাও দারুন! ছদ্মবেশি জাত-শয়তান মাম্রার হাতে পৈড়া ছোটমোডু একটা চাক্কু হয়া গেছে তলোয়ার। থান্ডার ক্যাটস সেইটারে হাতে নিয়া দুই চোউখ্যের মাঝখানে নাক বরাবর তলোয়ার্টারে ধরলো..বিরবির কৈরা কি কি জানি কৈলো..সাইড বাই সাইড----ইত্যাদি!!! এরপরই সেই বিখ্যাত...থান্ডার থান্ডার থান্ডার..আর তলোয়াও বাড়ে একটু একটু কৈরা।
এই দেইখা বউ কৈতাছে, আরো কি কি জানি কৈতাম মনে আইতাছে না ঠিক! আমি জিগাইলাম, তোমরা কি কি কর্তা?সে কয়, শুইন্যা আবার হাসবা না-তো?কৈলাম আরে...না।
লাল জাইঙ্গা পৈড়া এইঘর ঐ ঘর দৌড়াদৌড়ি...লায়েনোরে নকল কৈরা বাম হাতে একটা মোজা পড়া থাকতো!

এইসব স্মৃতি মনে পড়াতে একটা বিষয়ে নিশ্চিত হৈলাম, বাচ্চাদের দেখার চোখ আর বড়োদেরটা এক না। তাদের দেখার চোখ এবং বোঝার ক্ষমতা অনেকগুন বেশি। থান্ডারক্যাটস দেইখ্যা কি কি বিষয় নকল করার আছে, এইসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয়ে তাদের সাথে কুলায়া উঠা সম্ভবনা।