বাংলাদেশের বিচারের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনার ঐতিহাসিক নজির সৃষ্টি করলেন বর্তমান ইন্ট্রিম গভর্নমেন্ট। ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সকল আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।এবং বিচারিক প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে!
এর অর্থ যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে ২৪ জন মানুষ কোন ঘটণা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করেছে! কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে তা মিথ্যা।এখনও স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে বেঁচে আছেন যারা তাদের অস্তিত্ব নেই! তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আহত হননি!
পচাত্তরের পরে যেমন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়েছিলো। এবার তার চাইতেও জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এনজিওগ্রাম সমন্বয়ক সরকার। আশা করি এই সরকার ও আওয়ামী বিরোধী সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকবে।আওয়ামিলীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কোনোদিন আর বাংলাদেশে আসবে না!
পৃথিবীর যে কোন দেশে যদি বিচারিক প্রক্রিয়া ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হতো। তাহলে সেই জন্যই বিচার করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হতো। জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ হোতে দেখিনি আমরা। সব কিছুই ছিলো আমাদের মস্তিষ্কের ভুল ধারণা থেকে! ২০০১ থেকে ২০০৬ তৎকালীন সরকার স্বর্গের মত ।অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছিল রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য!
২০২৪-এসে জনৈক কর্ণেল আব্দুল হকের নতুন তত্ত্বে আমি চমৎকৃত হলাম!শেখ হাসিনা নাকি জনৈক ব্যক্তি’কে প্রশিক্ষিত করে এনেছিলেন ভারত থেকে! সেই জনৈক ( নাম বলেননি মৃত ব্যক্তির সন্মান রক্ষার্থে)ব্যাক্তির নেতৃত্বে নিখুঁত পরিকল্পনা করে ।শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা করার পরিকল্পনা ছিল। পুরো প্ল্যান নাকি হাসিনার! ভ্যানিটি ব্যাগ তত্ত্ব নিশ্চিই মনে আছে আপনাদের। আর্জেস গ্রেনেড নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন উনি।সেগুলো নাকি ভারতে তৈরি ‼️
হাসিনার কিছু ভুল । এদের এমন সুযোগ করে দিয়েছে ।এখন ছেলেরা শিশু গর্ভে ধারন করে এটা হাসিনার আমলে সম্ভব। এবং এর পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনার! এখন বুঝতে পারছি জজ মিয়া নাটকের স্রষ্টা কারা।
ইতিহাস কখনো বিদায় বলেনা । ইতিহাস বলে আবার দেখা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে আরও হবে।৩রা নভেম্বর জেল হত্যার বিচার হবে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার হবেই। শুধু তাই নয় ২০২৪-এর প্রতিটি হত্যার বিচার হবে ইংশাআল্লাহ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু॥
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২