মানুষ পরিবেশের অংশ এবং প্রত্য সুফল ভোগকারী। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে মানুষই তিগ্রস্থ হয়, মানুষের ব্যবহার্য প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হয়, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। তাই সুস্থ্য শরীর ও মন বিনির্মাণে বিপর্যয়মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি প্রয়োজন। পরিবেশ সংরনে ও দূষণ রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে; তাহল-
1। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
2। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং নূন্যতম পর্যায়ে নামিয়ে
আনা।
3। পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা রয়েছে এরূপ প্রতিটি শিল্প-কারখানার ব্যবস্থা
নিশ্চিত করা।
4। ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচী প্রনয়ন করা।
5। শব্দ দূষন রোধে শব্দ নিয়ন্ত্রন এবং সুনাগরিকতার বিকাশ ঘটানোর জন্য
জনসচেতনা সৃষ্টি।
6। শিল্পবর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
7। জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। বিকল্প জ্বালানী উদ্ভাবন
করা।
8। সঠিক রনাবেনের মাধ্যমে যানবাহন থেকে কালো ধোয়া নির্গমন
বন্ধ করা এবং উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
9। পরিবেশ সংরনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে
রাজনৈতিক অঙ্গীকার সুনিশ্চিত করা।
সুতরাং পরিবেশকে দূষনমুক্ত রাখতে হলে আমাদেও সম্মিলিত প্রচষ্টা প্রয়োজন। প্রয়োজনে পরিবেশ আদালত এবং বন আদালত স্থাপন করতে হবে। আসুন আমরা আমাদের বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ার জন্য অঙ্গীকার করি। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষ ুদ্র প্রয়াস বিরাট শক্তিরূপে অজিত হতে পারে।
________***_________
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




