শরীরের ঘাম সম্পর্কিত পণ্যসমূহের বিজ্ঞাপনগুলো টিভি চ্যানেলে যেরকম কুরম্নচিপূর্ণভাবে দেখানো হয়, তা নিয়ে সমালোচনা হয় এমনকি উন্নত বিশ্বেও। কুরম্নচিপূর্ণ টিভি বিজ্ঞাপন তৈরিতে 'রেক্স্রোনা' অন্যদের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে। বাহুমূলে এই কোম্পানীর এন্টিপারস্পির্যান্ট ঘষে সবার সামনে হাত উঁচু করে বেড়ানো ভীষণ স্মার্টনেসের পরিচয় বহন করে! অনত্দত বিজ্ঞাপনে এমনটি দেখানোর চেষ্টা করা হয়! এসব এন্টিপারস্পির্যান্টের বিজ্ঞাপন দেখে যারা বিভ্রানত্দ হন (নূ্যনতম রম্নচিবোধ থাকলে না হওয়ারই কথা) তাদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গবেষকরা। তারা বলেছেন, শরীরকে যদি দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চান তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর নির্ভর করম্নন, ঘাম নিরোধক কোনো পণ্যের উপর নয়। এসব পণ্য ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার পর্যনত্দ হতে পারে। এছাড়া কৃত্রিমভাবে ঘাম আটকানোর জন্য হতে পারে এমন সব স্থায়ী ৰতি যার জন্য চড়া মাসুল গুনতে হতে পারে। গবেষকরা শরীরের ঘাম এবং দুর্গন্ধের ব্যাপারটির পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যই ঘর্মগ্রন্থি ঘাম তৈরি করে। এটা অবশ্যই উপকারী একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার বিরম্নদ্ধে যুদ্ধে নামাকে তারা নিবর্ুদ্ধিতা বলে বর্ণনা করেছেন। ঘাম সৃষ্টি হওয়া মানেই যে দুর্গন্ধ ধেয়ে আসা এমনটি নয়। একজন মানুষ যদি ঠিকমত পরিচ্ছন্ন থাকে তবে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। একটানা অনেৰণ অপরিচ্ছন্ন থাকলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘামের কণাগুলো ভেঙে এর মধ্যকার এমোনিয়া উন্মুক্ত করে দেয়। গন্ধটা এই এমোনিয়ারই, ঘামের নয়। ডিওডোরান্ট প্রথমত এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মেরে ফেলে। দ্বিতীয়ত, নিজের সুগন্ধ দিয়ে অন্যসব গন্ধ ঢেকে ফেলে। অপরদিকে এন্টিপারস্পির্যান্ট যা নারী-পুরম্নষকে বাহুমূলে ঘষার জন্য বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়া হয়, তা শরীরের ঘাম বের হতে বাধা দেয়। গবেষকরা বলেছেন, ডিওডোরান্টের চেয়ে এই পণ্যটি তাই অনেক ৰতিকর। এসব পণ্য সেসব স্থানে ঘষা হবে সেসব স্থানের রন্ধ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ত্বকের জ্বলীয় অংশ বের হতে পারে না যা অবশ্যই ৰতিকর। অপরদিকে সম্পূর্ণ অপসারণ না হওয়া পর্যনত্দ এসব রন্ধ্র দিয়ে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। সূত্র: ইত্তেফাক
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



