প্রফেসর এম. ডি. ফারুক পাঠান
প্রফেসর অ্যান্ড হেড অব ডিপার্টমেন্ট
ডিপার্টমেন্ট অব এন্ডোক্রাইনোলজি
বারডেম হাসপাতাল
রোজা রাখার আধ্যাত্মিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। রোজার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনের সুযোগ আসে। দেহ, মন পবিত্র হয়। অনুশীলন করা যায় আত্মসংযমের। কিন্তু কিছু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে রোজা হয়। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তবে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু উপদেশ মেনে চলুন। প্রয়োজনে নিকটস্থ চিকিৎসক অথবা ডায়াবেটিস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১. রোজা রাখলে দেহে কী ঘটে? একবার খাওয়ার পর ৮ ঘণ্টা কোনো কিছু না খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে আমাদের শরীর সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করতে থাকে। বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রেই এটি ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে এবং আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু ট্যাবলেট বা ইনসুলিন নেন তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া) উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। এ বছর প্রতিটি রোজা অনেক সময় ধরে রাখতে হবে। তাই হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও পানি স্বল্পতার উচ্চ ঝুঁকি আছে। ডায়াবেটিসের রোগীদের আর একটি সমস্যা হতে পারে। তা হলো ইফতার ও সেহেরি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও পানিশূন্যতা উভয়ই বিপজ্জনক হতে পারে।
২. আমার ডায়াবেটিস আছে। আমি কি রোজা রাখতে পারি? স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে এমন অনেক লোক বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখেন না । রোজা রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। কিন্তু এটি অবশ্যই আপনার ডায়াবেটিস চিকিৎসকের পরামর্শে ঠিক করতে হবে। রোজা রাখার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের কী কী সমস্যা হতে পারে তা উচ্চ ঝুঁকি, মধ্য ঝুঁকি ও নিম্ন ঝুঁকি অনুযায়ী নিচে ভাগ করে দেখানো হলো: আপনি যদি নিম্ন ঝুঁকিতে থাকেন অর্থাৎ আপনার ডায়াবেটিস যদি খাবার বা ট্যাবলেট দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে আপনি রোজা রাখতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি উচ্চ ও মধ্য ঝুঁকিতে থাকেন তবে চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই রোজা রাখতে পারবেন না, কেন না এতে আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা রোজা রাখার আধ্যাত্মিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। রোজার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনের সুযোগ আসে। দেহ, মন পবিত্র হয়। অনুশীলন করা যায় আত্মসংযমের। কিন্তু কিছু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে রোজা হয়। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তবে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু উপদেশ মেনে চলুন। প্রয়োজনে নিকটস্থ চিকিৎসক অথবা ডায়াবেটিস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১. রোজা রাখলে দেহে কী ঘটে? একবার খাওয়ার পর ৮ ঘণ্টা কোনো কিছু না খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে আমাদের শরীর সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করতে থাকে। বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রেই এটি ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে এবং আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু ট্যাবলেট বা ইনসুলিন নেন তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া) উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। এ বছর প্রতিটি রোজা অনেক সময় ধরে রাখতে হবে। তাই হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও পানি স্বল্পতার উচ্চ ঝুঁকি আছে। ডায়াবেটিসের রোগীদের আর একটি সমস্যা হতে পারে। তা হলো ইফতার ও সেহেরি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও পানিশূন্যতা উভয়ই বিপজ্জনক হতে পারে।
২. আমার ডায়াবেটিস আছে। আমি কি রোজা রাখতে পারি? স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে এমন অনেক লোক বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখেন না । রোজা রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। কিন্তু এটি অবশ্যই আপনার ডায়াবেটিস চিকিৎসকের পরামর্শে ঠিক করতে হবে। রোজা রাখার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের কী কী সমস্যা হতে পারে তা উচ্চ ঝুঁকি, মধ্য ঝুঁকি ও নিম্ন ঝুঁকি অনুযায়ী নিচে ভাগ করে দেখানো হলো: আপনি যদি নিম্ন ঝুঁকিতে থাকেন অর্থাৎ আপনার ডায়াবেটিস যদি খাবার বা ট্যাবলেট দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে আপনি রোজা রাখতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি উচ্চ ও মধ্য ঝুঁকিতে থাকেন তবে চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই রোজা রাখতে পারবেন না, কেন না এতে আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তাই রোজা রাখার আগে আপনার নিকটস্থ চিকিৎসক অথবা ডায়াবেটিস চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। উচ্চ ঝুঁকি (রোজা না রাখার পরামর্শ): টাইপ-১ ডায়াবেটিস, দিনে দুই বারের বেশি ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহার করলে, ডায়াবেটিসের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ খুব দুর্বল হলে, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায়ই যদি কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার জন্য আপনি যদি গত ছয় মাসের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি কমে যাওয়ার জন্য যদি গত ছয় মাসের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, আপনার যদি কোনো উপসর্গ ছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে, আপনার বৃক্ক, যকৃত, হার্ট বা স্বল্প দৃষ্টির সমস্যা থাকে, ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন বা ফুট আলসারসহ বিভিন্ন সমস্যায় খুব বেশি অসুস্থ থাকেন এবং যদি গর্ভবতী থাকেন। মধ্যম ঝুঁকি (চিকিৎসক রাজি না হলে রোজা রাখবেন না): আপনার যদি ডায়াবেটিসের ওপর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকে, গ্লিক্লাজাইডের মতো ট্যাবলেট দিয়ে যদি ডায়াবেটিস সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদী ইনসুলিন যেমন- ট্রেসিবা ব্যবহার করে যদি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। নিম্ন ঝুঁকি (পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে পারেন): নিয়ন্ত্রিত খাবারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিছু ট্যাবলেট যেমন- মেটফরমিন, সিটাগ্লিপ্টিন, লিনাগ্লিপ্টিন, পাইয়োগ্লিটাজোন ও ডাপাগ্লিপ্টিন এবং লিরাগ্লুটাইডের মতো ইনজেকশনে যদি ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইনসুলিন ব্যবহারে যদি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মনে রাখবেন, এখন রোজা রাখতে না পারলে পরে যেকোনো সময় (যেমন-শীতকালে) তা পূরণ করতে পারবেন। চিকিৎসকের সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও উপদেশ নিশ্চিত করুন যাতে আপনি এ মাসের সর্বোচ্চ আশীর্বাদ নিশ্চিত করে নিরাপদ থাকতে পারেন। যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনো ইনসুলিন নিতে হয় তবে প্রস্তুতি গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫