এই মিষ্টি ভাষা, রাজশাহীর চাঁপাই নবাবগঞ্জেও চালু এখনও ।
শুধু এই ভাষা কেন, বাংলার কত যে উপভাষা নিশ্চিহ্ন হচ্ছে, তার কোনো খবর আমরা রাখি না ।
গ্রামে বা গঞ্জে ভাষার কোনো শ্লীলতা হয় না । বরং নিজের ভাবে জোর আনার জন্য তথাকথিত “ অশ্লীল” শব্দ ব্যবহার হয়/ হতো ।
মহিলারাও এই সবে কিছু মনে করেন/ করতেন না, বরং এটাকে সমর্থন করতেন/ করেন ।
এই শ্লীলতা/ অশ্লীলতা আমার মনে হয়- ব্রিটিশ মিশনারিদের আনা, যার ফল আমরা ভোগ করছি আর তার ফলে গোটা ভাষাটাই অবলুপ্তির দিকে এখন ।
এত কথা বললাম একটা ঘটনা বলতে ।
মালদার ছেলের বিয়ে হয়েছে, কোলকাতার খোদ শ্যামবাজারে ।
জামাই এসেছে অষ্ট মঙ্গলায় শ্বশুরবাড়ীতে । শ্বাশুড়ী মা খেতে দিচ্ছেন ।
ম্যার ! এত্তা ভাত কেনে দিছেন জী ? খেইতে লারবো ।
এরকম বলেই যাচ্ছে ।
রাতে বৌ বলল :- তুমি এত শিক্ষিত, ভালো সরকারি চাকরি করো-অথচ এই ভাষায় কথা বলে হাস্যাস্পদ হচ্ছো এটা বুঝতে পারছো না?
ম্যার শালার ব্যাটা শালা ! মাতৃভাষায় কথা কহছি, এত্তা সানকাছো ( ঘাবড়ে) কেনে?
বৌ রাগ করে আর মালদাতে ফিরল না । বলল ;- যেদিন তুমি শুদ্ধ বাংলা বলবে সেদিন আমি তোমার সাথে মালদা ফিরবো ।
ছেলেটি মনের দুঃখে মালদায় ফিরে এসে বাংলার অধ্যাপকের কাছে মন দিয়ে “শুদ্ধ” বাংলা শিখতে লাগলো ।
সাতদিন পরে কোলকাতায় ফিরলো ছেলেটি ।
তা শাশুড়ি যথারীতি খেতে দিয়েছেন ।
ভাত বেশী হওয়াতে ছেলেটি বলল :- থাক মা, আর অন্ন দিতে হইবে না । ব্যাঞ্জনও প্রচুর হয়েছে ।
শাশুড়ী বজ্রাহতর মত চুপ করে বসে ।
এটা দেখে ছেলেটি বলল :- ম্যার্! এতেই গ্যাঁড় ফেটে গেল ? এখনও তো ঘৃত আর মৎস কহিই নি !
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৬