somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশ কাঁপানো বিস্মৃত কয়েক জন বাঙ্গালী বীর

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা সময় ছিল রবীন্দ্রনাথ বাঙ্গালীদের ঘরকুনো এবং ভীরু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।কিন্তু পরবর্তীতে এই বাঙ্গালীরাই ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে সাহসিকতার প্রমাণ দেন নিজের জীবন দিয়ে। আসুন পরিচিত হয় এমনি কিছু বাংলাদেশী বৈমানিক যোদ্ধার সাথে যারা একসময় আকাশে তাদের সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখে আকাশকে করেছিল ধন্য। পাকিস্তানী এয়ারফোর্সে খেতাব প্রাপ্ত বৈমানিকদের মধ্যে বেশীরভাগই ছিল বাংলাদেশী অরিজিন। এতেই বোঝায় যায় আমাদের বাঙ্গালীদের সাহসিকতা। এখনো যখন এইসব সাহসী বীরদের রোমঞ্চকর অভিযানের কথা পড়ি তখন গর্বে আমার বুক ভরে যায়। আসুন পরিচিত হই সেইসব বীরদের সাথে।

প্রথমেই রাখবো আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে।কিন্তু আমার উদ্দেশ্য অজানা কিছু বীরদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।যেহেতু মতিউর রহমানের ব্যপারে আমরা সবাই জানি তাই এই পোস্টে তার কথা রাখলাম না। তারপরো সবাই চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন এখান থেকে ।এছাড়া কলকতায় জন্মগ্রহনকারী প্রথম বাঙ্গালী ফাইটার ইন্দ্রলাল রায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন নেটপোকার এই ব্লগটি থেকে ।এছাড়া আরো একজন বাঙ্গালী সুব্রত মুখার্জী যিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম অধিনায়ক ছিলেন তার ব্যপারে জানতে পারেন উইকি থেকে ।এখন দেখি বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া বীরদেরকে।

১) সাইফ উল আজম(দা লিজেন্ডারী ঈগল অফ দা স্কাই):
পাবনায় জন্মগ্রহনকারী এই বীর বৈমানিক আকাশ যুদ্ধের জগতে তার বীরত্বের স্বরূপ রেখেছেন অনন্য কিছু রেকর্ডের মাধ্যমে।একজন বাংলাদেশী হিসেব গর্বে বুকটা ভরে উঠলো যখন জানতে পারলাম সাইফ উল আজম সম্পর্কে। সাইফ উল আজম ১৯৬০ সালে কমিশন লাভ করেন পাকিস্তানী বিমানবাহিনীতে।পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এরিজোনার লুক এয়ারফোর্স বেস থেকে এফ-৮৬ এয়ারক্রাফট চালানো শেখেন এবং কৃতিত্বের সাথে টপগান সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তার সহপাইলটরা তাকে ডাকতো বর্ন পাইলট হিসেবে।


সাইফ উল আযমের টপগান সনদপত্র
১৯৬৫ সালে ফ্লাইং অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তিনি ভারতে একটি গ্রাউন্ড এট্যাক শেষ ফেরার পথে তার ফরমেশন দুটি ভারতীয় ফল্যান্ড ন্যাট দ্বারা বাউন্সড হয় এবং তার মধ্যে একটিকে তিনি শুট ডাউন করেন।তার ভিকটিম ফ্লাইং অফিসার মায়াদেবকে পরে পাকিস্তান যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করে। তার এই সাহসীকতার জন্য তৎকালীন পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান তাকে সিতরাত-এ-জুর্‌রাত(পাকিস্তান ডিফেন্স ফোর্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার) প্রদান করেন।


সিতরাত-এ-জুর্‌রাত নিচ্ছেন সাইফ উল আজম

সাইফ উল আযম তার কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধেও।আরব ইসরায়েল যুদ্ধে পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন না করলেও ষোল জন পাইলটের একটি দল ডেপুটেশনে পাঠিয়েছিল জর্দান এয়ারফোর্সে।সাইফ উল আযম সেই ষোল জনের দলে ভলান্টিয়ার হিসাবে যোগদেন।


জর্দানী এয়ারফোর্সের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় সাইফ উল আযম

৫ জুন ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলী এয়ারফোর্স জর্দানের মাফরাখ এয়ারফোর্স বেস আক্রমণ করে। শুরু হয় ইসরায়েলী এয়ারফোর্স এবং জর্দানী এয়ারফোর্সের মধ্যকার ডগফাইট বা আকাশ যুদ্ধ।সাইফ উল আযম সেই যুদ্ধে একটি ইসরায়েলী বিমান শুট ডাউন করেন এবং আরেকটিকে আংশিকভাবে বিধস্থ করেন।যা থেকে ধোয়া বের হতে থাকে এবং পরবর্তীতে ইসরায়েল এর দিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। সাইফের এমন বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে জর্দানের বাদশা হুসাইন তার ব্যক্তিগত গাড়িতে সাইফকে নিয়ে বের হন আরেক পাকিস্তানী অসুস্থ(আহত নয়) পাইলটকে দেখতে এবং ৪০ কিমি যাত্রাপথে সাইফকে বাদশাহ ছোটভাই হিসেবে সম্বোধন করতে থাকেন। জর্দান তার বীরত্বের পুরস্কার স্বরূপ তাদের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রিয় পুরস্কার Wisam al-Istiqla-এ ভূষিত করে।


ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বাদশাহ হুসাইনের পুত্র প্রিন্স আবদুল্লাহকে(বর্তমান বাদশাহ) বিমানের ককপিটে উঠতে সাহায্য করছেন সাইফ

এর দুদিন পরে ইরাকী এয়ারবেস H-3 তে হামলা চালায় ইসরায়েলী এয়ারফোর্স।কিন্তু তারা জানতেন না তাদের দুঃস্বপ্ন বাঙ্গালী সাইফ সেদিন একটি ইরাকী হান্টার নিয়ে উড়ছিলেন ইরাকের আকাশে শত্রু সন্ধানে।সাইফ এর ফরমেশন চারটি বম্বার এবং তাদের এস্কর্ট করা দুটি মিরেজ এর মুখোমুখি হয়।একটি ইসরায়েলী মিরেজের আঘাতে সাইফ এর টেইলিং বিমানটি বিধস্ত হয়।কিন্তু সেই ইসরায়েলী মিরেজের পাইলট, ক্যাপ্টেন গিডেওন দ্রোর পরিণত হন সাইফ এর শিকারে।দ্রোর এর বিমান সাইফের হান্টারের আক্রমণে বিধস্ত হলেও দ্রোর প্যারাসুট দিয়ে নিরাপদে অবতরণ করেন এবং যুদ্ধবন্দী হিসেবে ইরাকী বাহিনীর নিকট আটক থাকেন। একই সময়ে সাইফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আরেকটি ইসরায়েলী বম্বার যার পাইলটও ইজেক্ট করেন। পরবর্তীতে ইরাকের কাছে বন্দী দুই পাইলট এর বিনিময়ে ইসরায়েল ৪২৮ জন জর্দানী বন্দীকে মুক্তি দেয় । ২০০৩ সালে ইরাকী মিউসিয়াম থেকে উদ্ধারকৃত একটি ইসরায়েলী বিমান বাহিনীর হেলমেট নিয়ে বিবিসি একটি নিউজ করে । সে নিউজে ক্যাপ্টেন দ্রোর(বর্তমানে ইসরায়েল এর একটি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনে কর্মরত) বলেন সে সময়ের দুঃসহ স্মৃতি কিছুই তার মনে নেই।

তার এই কৃতিত্বের জন্য ইরাকী সরকার তাকে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার নাওয়াত আল সুজাতে ভূষিত করেন।

ভিনদেশে গিয়ে পাকিস্তানের মুখ উজ্জ্বল করার কারণে দেশে ফেরার পর পাকিস্তান সরকার পুনরায় এই অকুতভয় বাঙ্গালীকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রিয় পুরস্কার সিতরাতে বাসালাত প্রদান করেন।

সাইফ উল আযমের ইউনিক রেকর্ডগুলো হল তিনটি দেশের রাষ্ট্রিয় পুরস্কার প্রাপ্তি(পাকিস্তান,জর্দান,ইরাক,জর্দান) তার মধ্যে পাকিস্তানেরই দুবার।ইসরায়েলী এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী কিল। দুটো ভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে স্কোর করা(ইসরায়েল এবং ভারত)।যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স লিভিং ঈগল হিসেবে স্বীকৃত দেয় সাইফ উল আযমকে।সারা বিশ্বে লিভিং ঈগল আছেন আর মাত্র বাইশ জন।

১৯৭১ সালে সাইফ উল আজম অন্যান্য বাঙ্গালী পাইলটদের মত গ্রাউন্ডেড থাকেন।পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে যোগদান করেন এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন হয়ে অবসর গ্রহন করেন।তিনি সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান,চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রধান এবং ৯১ সাল থেকে ৯৬ সাল নির্বাচিত সাংসদের দায়িত্ব পালন করেন।এই অসীম সাহসি মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা।


সাইফ উল আযম

২) সরফরাজ আহমেদ রফিকী: ১৯৬৫সালের পাক ভারত যুদ্ধে শহীদ হন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এই পাইলট। তার বড়বাই ইজাজ রফিকীও পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে ছিলেন(তার ব্যাচের বেস্ট পাইলটের কৃতিত্ব স্বরূপ সোর্ড অফ অনার প্রাপ্ত) এবং প্লেন ক্র্যাশে মারা যান। রাজশাহীতে জন্ম নেন এই সাহসী বৈমানিক।তার বাবা ছিলেন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে কর্মরত।মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্কাউট আন্দোলনের এর অংশ হিসেবে ফ্রান্স সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তিনি ভ্রমণ করেন।

১৯৫৩ সালে তিনিও বড় ভাই এর মত সোর্ড অফ অনার পেয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।১৯৬৫ সালে স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি ১৪ নং স্কোয়াড্রনে।এবং তার উপর দায়িত্ব পড়ে ভারতীয় এয়ারফোর্স বেস হালওয়ারা এয়ার বেস আক্রমণের।তিনি এবং তার সাথের আরো তিন পাইলট সেই আক্রমণে শহীদ হয়।আরেকজন বীর বাঙ্গালীর মৃত্যু ঘটে সেই দিনে। কিন্তু তিনি নিজে দুইটি ভারতীয় বিমানকে তার আগে শুট ডাউন করে নিজের কৃতিত্ব এবং সাহসীকতার পরিচয় রেখে যান।
পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম এয়ারফোর্স তার নামে নামকরণ করা হয়। পাকিস্তান ডিফেন্সের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার পান তিনি।


সরফরাজ আহমেদ রফিকী

৩) মুহাম্মদ মাহমুদ আলম: মুহাম্মদ মাহমুদ আলম পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এয়ার কমোডোর পদে থেকে অবসর গ্রহন করেন। পাকিস্তানী এয়ারফোর্সের পাইলটদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী কিল তার(নয়টি)।কিন্তু এই ভদ্রলোক ৭১ এর পর পাকিস্তানেই থেকে যান। পাকিস্তান এয়ারফোর্সে তাকে দেবতা সুলভ দৃষ্টিতে দেখা হয়।পাকিস্তান ডিফেন্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার সিতরাত-এ-জুর্‌রাত পান তিনি। বাঙ্গালী হওয়াতে ১৯৭১ সালে তাকেও গ্রাউন্ডেড করা হয়।


এম এম আলম

৪) আলাউদ্দীন 'বুচ' আহমেদঃ তার নিক নেম ছিল বুচার।দৈহিক গঠন ছিল ছোটখাট কিন্তু তার হৃদয় ছিল সিংহের।ডেয়ারিং সব ফ্লাইং এক্রোব্যাট এর জন্য তিনি ছিলেন কুখ্যাত।শহীদ হন ৬৫ এর পাক ভারত যুদ্ধে।।তিনিও পাকিস্তানের রাষ্টিয় খেতাব সিতরাত-এ-জুর্‌রাত এর অধিকারী। ১৯৬৫ সালে স্কোয়াড্রন লিডার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।তার দায়িত্ব পড়ে ভারতীয় বাহিনীর সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়া।কম্যান্ড অনুযায়ী ভারতের গুরুদাস পুরে একটি ফেইট ট্রেইনের উপর আক্রমণ চালানোর সময় ফ্রাগ্মেন্ট এসে লাগে তার বিমানে।এবং তার ককপিট ধোয়ায় ভরে যায়।ইজেক্ট করলেও পরে আর তার খোঁজ মেলেনি। এভাবেই আরেকজন আকাশের বীরের মৃত্যু ঘটে।



আলাউদ্দীন আহমেদ

৫) ওয়ালিদ এহসানুল করিমঃ চট্টগ্রামের কক্সবাজারে জন্ম নেওয়া আইনজীবি,রাজনীতিবিদ,মেয়র এবং ক্যাপ্টেন ফজলুল করিম এর সন্তান এই দেশপ্রেমিক পাইলট শহীদ হন ৬৫ এর পাক ভারত যুদ্ধে । তিনি তার ব্যাচের সেরা পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হলেও সোর্ড অফ অনার নিতে পারেননি কারণ একাডেমী আয়োজিত একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনের কারনে। ফ্লাইং অফিসার ওয়ালিদ বিখ্যাত ছিলেন F-86 সাবরে নিয়ে তার বিপজ্জনক স্ট্যান্ট এর কারণে। তিনি রাউয়াল পিন্ডি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে প্যারাডেও অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ওয়ালিদ পাকিস্তানী এয়ারফোর্সের বাস্কেটবল টীমের ক্যাপ্টেনও হন। ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানী ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীকে জন্য কভার দেওয়ার জন্য সদ্য মেইন্টেইন্যান্স করা একটি বিমান স্মোক বম্ব ড্রপ করতে মিশনে যান ভারতের গুজরাটের অভ্যন্তরে রান্‌ কুচ নামক স্থানে। কিন্তু পরবর্তীতে ফেরার সময় ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দিলে তিনি ও তার বিমান নিখোঁজ হন আরব সাগরে করাচীর খুব কাছে। দুই মাস পর তার বিমানের রাডার উদ্ধার করা হয় সেই স্থান থেকে।ওয়ালিদ বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান মমতাজ উদ্দীন আহমেদ এর কোর্স মেট ছিলেন।


ওয়ালিদ তার এফ-৮৬ সাবরের সামনে।


ওয়ালিদ,মতিউর এবং মমতাজ উদ্দীন।
৬) এয়ার মার্শাল গোলাম তোয়াব : পাকিস্তান এয়ারফোর্সে গোলাম তোয়াব আলী লিজেন্ডের মর্যাদা পেয়ে থাকেন। পাক ভারত যুদ্ধে তার কৃতিত্বের জন্য তাকে সিতরাত-এ-জুর্‌রাত(পাকিস্তান ডিফেন্স ফোর্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার) দেওয়া হয়।তোয়াব আলী জিয়াউর রহমানের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হন।কিন্তু জিয়াউর রহমান এর সময়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করার ক্ষেত্রে তার সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে পড়তে পারেন পিয়াল ভাই এর এই পোস্টে


গোলাম তাওয়াব।

******অনেক বড় পোস্ট মন দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।কোন টাইপো এবং কোন ভুল ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব। ******
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১২
৪১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×