
রাজাকারী প্রপাগান্ডা চালানোর একটা ওয়েবসাইট থেকে একটা বই পেয়েছি । এক রাজাকারের একাত্তরের কর্মকান্ড নিয়ে লেখা বই । স্যরি, রাজাকার না । আল-বদর - । পুরা বইয়ে খুনী বদর নেতা নিজের কর্মকান্ডকে হালাল করার জন্য আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের বিষোদ্গার করে গেছে ।
১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকেই নাকি পাকিস্তান বিরোধী এবং ভারতের সাথে যোগাযোগ রাখতেন
২। সোহরাওয়ার্দী , জিন্নাহ.. এরা নাকি অনেকবার বলেছে , এই ছেলেটা একটা "সর্বনাশ" করবে ।
৩। আগড়তলা ষঢ়যন্ত্র মামলায় আসলেই ষঢ়যন্ত্রের কারনেই হয়েছিলো । বদর নেতার ভাষ্যে যেটা ষঢ়যন্ত্র, সেটা আসলে ছিলো বাঙালীর স্বাধীনতার জন্যই একটা পদক্ষেপ ।
৪। ৭১ এ পাকিরা শুরু থেকেই আওয়ামীলীগ নেতাদের মারার জন্য লিষ্ট নিয়ে তল্লাশী চালিয়েছে ।
৫। পাকিদের হাতে সাধারণ মানুষ খুব কমই নাকি মারা পড়েছে । যাদের মৃত্যু হয়েছে সব নাকি ছিলো "পাকিস্তান বিরোধী" আওয়ামীলীগ নেতা ও কর্মীরা ।
৬। গেরিলাবাহিনীতে তারাই যোগ দিয়েছে যারা আওয়ামীলীগ করতো ।
৭। সচরাচর যেখানে সব লেখকরা লিখেন 'মুক্তিবাহিনী' অমুক জায়গায় আক্রমণ করেছিলো.। এই আল-বদর লিখেছে "আওয়ামীলীগের গেরিলারা" অমুক ক্যাম্পে হামলা চালায়
৮ । ৭১ এর শুরুর দিকে "আওয়ামীলীগ" নেতাকর্মীরাই নাকি "লাখ-লাখ" হিজরত কারী বিহারী মুসলমানকে গনহত্যা করেছে । একারনেই নাকি পাকিদের হত্যাকান্ড জায়েজ ছিলো ।
তো, বদর নেতার এই পড়ে যা জানলাম তা হলো, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই বাঙালী জাতির মুক্তি ও সম্পূর্ণ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতেন । এবং আওয়ামীলিগের নেতৃত্ব ও ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আন্দোলন সংগ্রাম ও শসস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমেই সেই স্বপ্নের আমাদের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশ । কোথাকার কোন স্বাধীনতার ঘোষক ফোসক আর কিসের কি ? এই বাংলাদেশ , এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আওয়ামীলীগের অর্জন - বিএনপির রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা আর স্বাধিনতা বিরোধীদের মুখোশ পড়ার চেষ্টা কখনো আওয়ামীলীগের অর্জনকে মুছে ফেলতে পারবেনা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




