somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'প্রথম পরিচয়েই সাঈদী ভাইকে একজন অতি সজ্জন মানুষ মনে হলো' - মাহমুদুর রহমান

২১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ক’দিন ধরে সেল থেকে বার হতেই ইচ্ছে করে না। ডিভিশন ওয়ার্ডের ছোট্ট আঙিনায় চেয়ার পেতে বসে দেয়ালের বাইরের বন্দি আর কারারক্ষীদের চলাচল দেখতে দেখতে এক ধরনের একঘেয়েমি ভর করেছে। এটাও বোধ হয় দীর্ঘ কারাবাসের অবধারিত সিনড্রম। তাছাড়া এখানকার প্রশাসনের লোকজনের আচরণও বিরক্তিকর ঠেকছে।

অন্যান্য জেলে সুবেদারের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত কক্ষ থাকে। গাজীপুর একটা ছোট্ট ডিস্ট্রিক্ট জেল হওয়ায় এখানে এসবের বালাই নেই। আমার চালানের আগ পর্যন্ত ডিভিশন ওয়ার্ড সুবেদারের বিশ্রামকক্ষ এবং সাময়িক দর্জিদফা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

আমি আসার পর যাবতীয় সেলাই মেশিনসহ দর্জিদফা অন্যত্র স্থানান্তরিত হলেও দুই সেলবিশিষ্ট ডিভিশন ওয়ার্ডের আরেকটি সেল এখনও সুবেদার তার দখলে রেখেছেন।

এ পর্যন্ত যে সাতটি জেল ঘুরে এসেছি, তার মধ্যে ছয়টিতেই সুবেদারকে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখেছি। গাজীপুরের কুদ্দুস এদিক দিয়ে ব্যতিক্রমী মানুষ। দিনের অর্ধেক সময় ডিভিশন ওয়ার্ডের আঙিনায় চারদিকে গোটা ছয়েক সেবক নিয়ে চেয়ার পেতে বসে থাকে। কেউ দাড়ি কামিয়ে দিচ্ছে, কেউ পাকা চুল কালো করতে ব্যস্ত, কেউ জুতো পালিশ করছে, কেউ আবার সরাসরি পদসেবায় নিয়োজিত। আমার সামনেই জমিদারসুলভ আচরণ করতে লোকটিকে কোনো সঙ্কোচ বোধ করতে দেখি না। হয়তো আমাকেও গাজীপুর জেলের আর দশজন সাধারণ কয়েদির অতিরিক্ত কিছু বিবেচনা করে না। ফলে অস্বস্তি বোধ করে আমিই সরে আসি।

অনেক ভেবে-চিন্তে স্বেচ্ছায় ২৪ ঘণ্টা লকআপের সাজা গ্রহণ করেছি। চব্বিশ ঘণ্টা লকআপের সাজা শুনে অন্য কয়েদিরা ঘাবড়ে গেলেও আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় ছোটবেলা থেকে একাই বড় হয়েছি। মনে আছে, আমাকে একা একা ক্যারাম খেলতে দেখে গেন্ডারিয়ার সমবয়সী বন্ধুরা সেই সময় বেশ খ্যাপাত। সেলে কাজের মধ্যে পড়া, ঘুমানো আর খাওয়া। দিন-রাতের মধ্যে পড়ার বইপত্র ভাগ করে নিয়েছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বুড়ো বয়সের ছাত্রের মতো আইনের বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকি। মাগরিবের পর শুয়ে শুয়ে পারভীনের সাপ্লাইকৃত বাংলা-ইংরেজি গল্পের বইয়ে মগ্ন থেকে সময় কেটে যায়। এই সময়ের মধ্য থেকে দিনে দুটো ঘণ্টা রেখে দেই পাঠকের সঙ্গে গল্পগুজব করার জন্য। যেমন এখন করছি। আমার একাকিত্বপ্রিয়তা দেখে কারাপ্রশাসনের লোকজনও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে। অবশ্য দু’বেলা দুজন ডেপুটি জেলার পালা করে কুশল জেনে যায়।

অপ্রত্যাশিতভাবে কাল গভীর রাতে আমার একজন প্রতিবেশী এসেছেন। প্রতি রাতের মতো কালও বিছানার পাশে চার্জার বাতি জ্বালিয়ে বই পড়ছিলাম। এগারোটার দিকে সেলের বাইরে অনেক পায়ের আওয়াজ পেয়ে একটু উদ্বিগ্ন বোধ করলাম। প্রথমেই আশঙ্কা হলো, এত রাতে হয়তো আমাকেই অন্য কোথাও পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

কেউ একজন বাইরে থেকে জানালার পর্দা তুলে উঁকি দিতেই জোরে ধমক দিয়ে বলে উঠলাম, কে ওখানে? বিদ্যুিবহীন অন্ধকার বারান্দা থেকে জবাব এলো, স্যার আমি।

এরপর শুয়ে থাকা আর সমীচীন নয় ভেবে সেলের দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।

দেখলাম সুবেদার কুদ্দুসের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন কয়েদি এবং কারারক্ষী পাশের সেল পরিষ্কার করছে।

বেশ অবাক হয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, এত রাতে এসব মালপত্র টানাহেঁচড়া করছেন কেন? উত্তর শুনে বিস্ময়ের পরিমাণ বাড়ল। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে এখানে আনা হচ্ছে। আজই রাত ন’টার পর আইজির অফিস থেকে গাজীপুর জেল কর্তৃপক্ষকে ডিভিশন ওয়ার্ডে নতুন আসামির আগমনের সংবাদ জানানো হয়েছে। আট মাস জেল খেটেও কারাপ্রশাসনের এসব নাটকের হেতু এখনও বুঝতে পারিনি। দিনের বেলা মাওলানা সাঈদীকে পাঠালে কি কেউ পথিমধ্যে তাকে ছিনিয়ে নিত? রাত একটা পর্যন্ত ঘষা-মাজা চলতেই থাকল। সেই শব্দ শুনতে শুনতে আমিও একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে সেবক আলমগীর জানাল, শেষ পর্যন্ত রাত দুটোয় মাওলানা সাঈদীকে সেলে আনা হয়েছে। আলমগীরও কাল রাতে ওনার সেলেই ঘুমিয়েছে।

সাতটার একটু পরে মাওলানা সাঈদী নিজেই আমার সঙ্গে পরিচিত হতে এলেন। ঢাকা জেলে দুজন একই সময় থাকলেও কখনও মুখোমুখি দেখা-সাক্ষাত্ হওয়ার সুযোগ ঘটেনি। সেই সময় আমার সেবক সালাহউদ্দিনের মাধ্যমে নিজের লেখা কোরআনের তফসির পাঠিয়েছিলেন। সালাম ও কুশল বিনিময়ের পর তার এই জেলে আসার কাহিনী শুনলাম। জানুয়ারির ২০ তারিখে মাওলানা সাঈদী এবং জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব আলী আহসান মুজাহিদকে ঢাকা জেল থেকে যথাক্রমে মুন্সীগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলে পাঠানো হয়। দশ দিন না যেতেই মাওলানা সাঈদীকে আনা হলো গাজীপুর জেলে। দীর্ঘ আট মাস পর অপ্রত্যাশিতভাবে জেলে একজন প্রতিবেশী পেয়ে আমি আনন্দিত হলেও গাজীপুর জেলের সমস্যাগুলো সাঈদী ভাইকে আগাম জানিয়ে রাখলাম। এখানকার বাবুর্চির রান্না গলাধঃকরণ করাও যে একপ্রকার নির্যাতন, সে সম্পর্কে তাকে বিশেষভাবে সাবধান করলাম। প্রথম পরিচয়েই সাঈদী ভাইকে একজন অতি সজ্জন মানুষ মনে হলো।

আজ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন, আমার বন্দি জীবনের নবম মাস শুরু হলো।

তারচেয়ে বড় কথা, আমার নতুন প্রতিবেশী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আজ ৭১তম জন্মদিন। সকালে দেখা হতেই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলাম। এ মাসেই সাঈদী ভাইয়ের পরিবারে আবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সে সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নিলাম। মাওলানা সাঈদীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাফিক বিন সাঈদীর জ্যেষ্ঠা কন্যার বিয়ে হচ্ছে। তৃতীয় প্রজন্মের প্রথম বিয়েতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না, তাই পরিবারের সবারই মন ভার। এর নামই জীবন, কারও জন্যই সে থেমে থাকে না। মড়া বাড়িতেও প্রিয়জনের লাশ পাশের ঘরে রেখে শোকবিহ্বল আপনজনদের বেঁচে থাকার জন্য খেতে হয়। এমনিতেই বিয়ের দিন কন্যাগৃহে বিদায়ের বিষাদ ঘিরে থাকে। কল্পনা করার চেষ্টা করছিলাম, বিশেষ ওই দিনটিতে সাঈদী ভাইয়ের গৃহে সবার কাছে দুঃখের বোঝা কতটা ভারী মনে হবে। এশার নামাজে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করলাম তার নাতনি যেন স্বামীগৃহে সুখী হয়। পিতৃগৃহ থেকে বিদায় মুহূর্তে স্নেহময় পিতামহের অনুপস্থিতির বেদনা যেন সে সইতে পারে।

গাজীপুর জেলে খাবারের দুরবস্থায় সাঈদী ভাই দুই দিনেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

আগেই বলেছি এখানকার রান্না আসলেই গলা দিয়ে নিচে নামানো কঠিন। আমি সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই জেলে এসেছি। রিমান্ডে প্রায় অভুক্ত থেকে একটানা দুই সপ্তাহ পার করে দিয়েছিলাম। সাত কেজি ওজন কমলেও পরোয়া করিনি। এখানেও নির্বিকারভাবেই অখাদ্য গিলে চলেছি। কিন্তু, মাওলানা সাঈদী তিরিশ বছরের ডায়াবেটিসের রোগী। রাতে আমাদের চামড়ার মতো শক্ত যে রুটি দেয়া হয়, সেটা খাওয়ার চেষ্টা আর জুতোর শুকতলি চিবানোর মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। সবজির নামে তৃণভোজীদের ডায়েটও ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।

যেমন—ফুলকপির ডাঁটা, পাতা, ইত্যাদি। মুরগির গোশতের মধ্যে নখসুদ্ধ পা দেখে বমনেচ্ছা হলে সাঈদী ভাইকে দোষ দেয়া যায় না। অসহায় হয়ে মাওলানা সাঈদী প্রস্তাব করলেন, ডিভিশন ওয়ার্ডের রান্নাঘরেই না হয় আমরা রেঁধে খাই। এখানে রান্নাঘর থাকলেও হাঁড়ি-পাতিল, কড়াই ইত্যাদি কিনতে হবে।

জেলার সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাকে আমাদের প্রস্তাব জানানো হলো। ভদ্রলোক অমত না করলেও আমতা আমতা করে জানালেন ডিভিশন ওয়ার্ডে রান্নার সরঞ্জাম কেনার জন্য তার বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলাম, কোনো সমস্যা নেই, টাকা আমরাই দেব। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে একদিনের মধ্যে আমাদের জেলখানার সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র কেনা হয়ে গেল। পরিবারের সদস্যসংখ্যা পাঁচ। সাঈদী ভাই, আমি, আলমগীর, বাবুর্চি আর হেলপার। ফেব্রুয়ারির তিন তারিখ সকালে রান্নাঘরের উদ্বোধন হলো। কারারক্ষী চাঁদ মিঞাও মহাউত্সাহে আমাদের রান্নায় যোগ দিল। রুটি ভাজা আর ডিমের ওমলেট বানানোর দায়িত্ব আমি নিলাম।

মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ার সুবাদে জীবনে কুটো গাছটি ভেঙে দুটো করতে হয়নি।

বিয়ের পর স্ত্রী কোনো দিন গেঞ্জিটাও কাচতে দেয়নি। মনে আছে জাপানে ১৯৮৬ সালে লেখাপড়া করার সময় তিন বন্ধু বছরখানেক রেঁধে খেয়েছিলাম। সেখানেও আমার কাজ ছিল থালা-বাসন ধোয়ামোছা করা। রান্নার কাজটা বাকি দুজন পালা করে চালাত।

১৯৮৯ সালে হঠাত্ মুন্নু গ্রুপের চাকরি ছেড়ে তিন মাসের শখের বেকার জীবনে মা এবং বউয়ের বিরক্তি উত্পাদনের জন্য রান্নাঘরে ঢুকে ভাজাভুজির চেষ্টা করতাম। সেই থেকে আর কখনও হেঁসেলে উঁকিও বোধ হয় দেইনি।

আজকের রন্ধন প্রচেষ্টার অবধারিত ফল হলো রুটি ফুলল না, ওমলেট ওল্টাতে পারলাম না। খেতে বসে দেখলাম, মন্দ লাগছে না। তার কারণ অবশ্য একটাই, এতদিন এখানে যা খেয়েছি তারচেয়ে বিস্বাদ রান্না কারও পক্ষে করা সম্ভবই না। সাঈদী ভাই অবশ্য রুটি এখনও যথেষ্ট নরম হয়নি বলে কিছুটা খুঁত খুঁত করলেন। কতদিন যে বেচারাকে জেলে থাকতে হবে, সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন। গাজীপুর জেলে বেশিদিন থাকলে তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পড়াশোনা আর লেখালেখির বাইরে রান্নার কাজ পেয়ে আমার অবশ্য বড় ভালো লাগছে।

রান্নাঘর ভালোমত উদ্বোধন না হতেই মাত্র তিন দিনের মাথায় বিষণ্ন মনে বন্ধ করে দিলাম। আমার একার জন্য ওই ঝামেলা পোষাবে না। সবাই নাশতার পাট সাঙ্গ করে সুবোধ ছাত্রের মতো সবে বই খুলে বসেছি, আর সাঈদী ভাইয়ের প্রবেশ। চেহারা মলিন, চোখে অশ্রুর আভাস। শশব্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালাম। ধরাগলায় মাওলানা সাঈদী কোনোক্রমে বলতে পারলেন, আমার আবার চালান এসে গেছে, কোথায় এখনও জানি না। হতবাক হয়ে পড়লাম; হয়রানিরও একটা সীমা থাকা দরকার। পনেরো দিনের মধ্যে একজন প্রবীণ আলেম মানুষকে তিনবার চালান! এতে সরকারের টাকা-পয়সাও তো ব্যয় হয়। এমন ধারার কারাপ্রশাসনের হয় মস্তিষ্কের চিকিত্সা, নয় পশ্চাদ্দেশে বেতের বাড়ি দরকার। কেবল কারাপ্রশাসনই নয়, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের গণচিকিত্সার সময় এসে গেছে। সম্প্রতি আড়িয়ল বিলের লড়াকু জনতা সেই চিকিত্সার সামান্য উদাহরণ জাতিকে দেখিয়েছে। সাঈদী ভাইয়ের লটবহর আমার কয়েকগুণ।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। এই নিয়ে খানিকটা শুচিবাইগ্রস্ত মা, বউয়ের সঙ্গে আমার নিত্যদিনের খুনসুটি ছিল। জেলে সরকার যখন যে অবস্থায় রাখছে, নির্বিবাদে মেনে নিতে তাই আমার বিশেষ কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা আমাদের রসুলের সুন্নত। এই পাঁচ দিনে দেখেছি, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রসুলের অনেক সুন্নতের সঙ্গে পরিষ্কার থাকার সুন্নতটিও যথাযথভাবে পালন করেন। ফলে বিছানা, বালিশ, কার্পেট সবই ঘাড়ে করে তিনি জেল থেকে জেলে চালানে ঘুরছেন। আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন কয়েদি মিলেও বাঁধাছাঁদা শেষ করতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে গেল। ছোট্ট ডিভিশন ওয়ার্ডের মূল দরজা পর্যন্ত আমার স্বল্পকালীন প্রতিবেশীকে এগিয়ে দিয়ে বিদায় জানালাম।

সাঈদী ভাই দেখলাম নরম মনের মানুষ। আমাকে ছেড়ে যেতে তার কষ্ট হচ্ছিল, বুঝতে অসুবিধা হলো না। আল্লাহ্ আমার হৃদয় অনেক শক্ত ধাতু দিয়ে তৈরি করেছেন।

গাম্ভীর্যের আবরণে নিজেকে ঢেকে সুবেদার কুদ্দুসকে বলে দিলাম আজ থেকে রান্নার পাট শেষ, আমার খাওয়া পূর্ববত্ পিসি থেকে আসবে। আবার শুরু হলো স্বেচ্ছাআরোপিত চব্বিশ ঘণ্টার লকআপের কারাজীবন। আট তারিখে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজিরা রয়েছে। সে পর্যন্ত সেল থেকে বেরনোর কোনো প্রয়োজন দেখছি না।
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×