somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জিএম হারুন -অর -রশিদ
আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

সেক্রিফাইজ

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কৈশোরে মহল্লায় যখন নতুন কোনে ভাড়াটিয়া আসত
আমরা বন্ধুরা সবাই সেদিন গোয়েন্দা হয়ে যেতাম।
সে‌ই ভাড়াটিয়ার ঘরের খবর জানতে গিয়ে আমাদের শুধু নজর থাকত
কোনো কিশোরী মেয়ে আছে কিনা সেই নতুন ভাড়াটিয়ার।

যে বন্ধু আগে খবর আনত সেই কিশোরী মেয়েটির সে বিবিসির গোয়েন্দা সংবাদদাতার মতো ভাব ধরে বলতো- “ফার্স্ট বুকিং!”
বাকি সব বন্ধুদের হিংসা হতো তাকে।
সবাই পিছিয়ে আসতাম
আর অপেক্ষায় থাকতাম নতুন কোন ভাড়াটিয়ার।
একে আমরা বলতাম “সেক্রিফাইজ!”
অথচ কী আশ্চর্য!
কিশোরী মেয়েটি অথবা তার পরিবার কেউই জানত না আমাদের এই সেক্রিফাইজের কথা।

প্রেমের নিয়ম কিন্তু রহস্যময়।
এতো গোয়েন্দাগিরি
এতো দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দেবার সব প্ররিশ্রম
সবই বৃথা হয়ে যায়,
যখন অন্য মহল্লার কোনো কিশোরের সাথে সেই কিশোরীকে একই রিকশার হুড তুলে আড়ালে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তে দেখা যেত।
অথবা একদিন হঠাৎ করেই সেই বাড়িতে টু-লেট ঝুলতে দেখা যেত।

এভাবেই আমাদের সব বন্ধুরা আস্তে আস্তে সিগারেট টানতে শিখল।
শিখল অন্যের মহল্লার কিশোরের জন্যও “সেক্রিফাইজ!”

জেনে রাখুন,
জলে ডুবতে ডুবতে মানুষ একদিন ঠিকই সাঁতার শিখে ফেলে।
আমাদের বন্ধুদের মধ্য থেকেও কেউ অন্য মহল্লার কোন কিশোরীর সাথে একদিন একই রিকশার হুড তুলে পাঁচ মিনিট ঘুরে আসে!
আর আমাদের বন্ধুদের সাথে সেই গল্পই করত পাঁচ ঘন্টা যাবত,
সাথে একটু ছোঁয়াছুয়ি আর চুম্বনের গল্প থাকতই।

আমাদেরও বুকের ভিতরে গোপনে প্রচণ্ড হিংসা হতো সেই বন্ধুর জন্য।

যতই হিংসা হোক
আমরা সব বন্ধুরা হাতে হাতে সিগারেট টানতে টানতে
মনে মনে সেই বন্ধুর জন্য বলতাম
“সেক্রিফাইজ!”
——————
র শি দ হা রু ন
২৮/০১/২০২২
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×