আজ সকালে মানুষটাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বারান্দায়,
পত্রিকার হকার বারান্দায় তাকে মৃত পড়ে থাকতে দেখেছে।
মানুষটি সারাজীবন একাই ছিলেন,
প্রতিদিনই একা একা মরতে মরতে অদৃশ্য হয়ে বেঁচে ছিলেন এতদিন,
তাই তার বুকের ভেতর আহত একটা কবিতা সারাদিন ডানা ঝাপটাতো।
সবই ছিলো তার
শুধু ছিলো না মন রাখবার জায়গাটুকু।
হয়তো কাল সারারাত বারান্দায় বসে বসে চাঁদের বিষণ্ন আলোতে নিজেকে খুঁজেছিলেন,
সূর্য উঠার আগেই বোধহয় মারা গেছেন তিনি।
এই মানুষটা নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন কিনা জানা হলো না,
তিনি এখন কফিনে শুয়ে আছেন সাদা কাফনে মোড়ানো অবস্হায়।
মাঝে মাঝে তার কিছু পরিচিত মানুষজন
তাকে শেষ দেখতে চান মুখের কাপড় সড়িয়ে ।
সেই সময়ও তার চোখ দু’টো পুরোপুরি খোলা ছিলো।
সবাই চেষ্টা করেও মৃত মানুষটার চোখের পাতা দু’টো
কোনোমতেই বন্ধ করতে পারছে না!
যতবার তার মুখের কাফনের কাপড় সড়ানো হয়
ততবারই সবাই আশ্চর্য হয়ে দেখেন,
মৃত মানুষটার চোখ দু’টো যেন এখনো আকাশ দেখছে!
মনে হয় আহত কবিতাটি ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে আকাশে উড়ছে,
আর তিনি পাখিটাকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।
প্রিয় পাঠকগণ,
একটা না লেখা কবিতা চোখে নিয়ে একজন মানুষ চলে যাচ্ছেন
না দেখা আরেক রহস্যময় জগতে।
অথচ এই মানুষটার আশ্রয়হীন মনটা
এখনো পৃথিবীর পথে পথে ঘুরছে,
শুধু একটু বিশ্রামের জন্য।
———————
র শি দ হা রু ন
০৯/০৬/২০২২
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৫