somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(গল্প) মানুষটার ভুল মরন হয়েছে

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জামাল অপেক্ষায় করছে, কখন তার ডাক পড়বে, প্রায় দুই ঘন্টা হলো, তাকে ধরে আনা হয়েছে ।তার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা।চোখ কালো কাপড়ে ঢাকা।
রাত তখন প্রায় নয়টার মতো হবে,একা একা বাড়িতে ফিরছিলো রেল লাইনের রাস্তা ধরে। আর পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বাড়ি পৌঁছে যাবে, এমন সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে মাথাডা কেমন আউলাইয়া গেলো। আকাশভরা পূর্নিমার চাঁদ, আহারে মাথাডা কেমন জানি আউলা আউলা লাগছিলো সে সময়। বেসুর গলায় ভুল শব্দে দু’লাইন গান গেয়েছিলো তখন।মনে মনে দু’লাইন কবিতাও লিখেছিলো সেই সময়ই-
“ ওরে আসমানের চাঁন,একদিন তোর সাথে
আসমানে এক কাপ চা খাবো”
বাকী লাইনগুলো অবশ্য এখনো মাথায় আসেনি।

সেই সময়ই রেল লাইনের দু’পাশের মাটির সাথে প্রায় মিশে থাকা কিছু মানুষ তাকে ঝাপটে ধরে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ধরে নিয়ে আসে এখানে। আকাশের চাঁনটাই যতো নষ্টের মুল । না হলে সে সাবধানেই থাকতো, এতেগুলো মানুষ তাকে ধরার জন্য লুকিয়ে ছিলো, সে টের পেলো না, ঘটনাটা ঠিক তার সাথে যায়না।

জামাল ঠিক বুঝতে পারছেনা কারা তাকে ধরে এনেছে , চারিদিকে কেমন নীরবতা।
সে জোর গলায় চিৎকার করে বলে উঠলো,
আমারে কেনো ধইরা আনছেন, গরীব মানুষ একটা টাকাও আপনাগো দিতে পারবো না, দয়া করে আমারে ছাইড়া দিন। আমি ভুলবাল সুরে দু’লাইন গান গাইছিলাম,
আর চাঁনরে নিয়া মনে মনে কবিতা বানানের চেষ্টা করছিলাম, এই কাজ যে মারাত্মক অন্যায় আমি জানতাম না, আমারে ছা‌ইড়া দেন, ঘরে বৌ আর দু’ই মাইয়া আছে। আমি না গেলে ওরা বইস্সা থাকবো সারারাত।

হঠাৎ ঘরের ভিতর আওয়াজ শুরু হলো , মানুষের কথা বার্তা শুরু হলো।
১ম জন বললো - ঠিক মানুষ ধরেছ তো?
কোন ভুল হয়নি তো?
২য় জন-জ্বি স্যার ,ভুল হয় নাই, এটাই লেংড়া জামাল,দেখেন স্যার এর এক পা পোলিওতে ছোট।
পিছন থেকে কে যেনো তাকে ধরে দাঁড় করালো , তারপর বললো একটু সামনে হাঁট।এক পা পোলিওতে নষ্ট হওয়ায় একটু লেংড়াতে লেংড়াতে অন্ধের মতো হাঁটতে লাগলো সামনে।
২য়জন বললো -দেখলেন স্যার সঠিক মানুষই ধরেছি, লেংড়াইয়া ল্যাংড়াইয়া হাঁটে।

প্রথম জন- এই তোর নাম কি?
জামাল ভয় ভয় গলার স্বরে বললো- স্যার. কামাল । গ্রামের সবাই ল্যাড়া কামাল বলে, লেংড়াইয়া ল্যাংড়াইয়া হাঁটি বলে। ছোড বেলায় বাপ মায় পোলিও খাওয়াই নাই। পোলিও খাওয়ানোর দিন বাপে গ্রামের বাইরে কামে আছিল। মায় লইয়া যায় নাই।
দ্বিতীয় জন- এই চুপ মিথ্যা বলছে, তারপর আবার বেশি কথা। আরেক পাও মাইরা ছোট করে দিবো।
জামাল খুব খুশির ভাব ধরে বললো- স্যার খেয়াল রাইখেন ,
দুই পা যেনো সমান থাকে।
প্রথম জন জামালের কথা বার্তায় খুব কনফিউজড হয়ে দ্বিতীয় জনের দিকে বারবার তাকাচ্ছে।
এমন সময় আরেকজনের গলা শোনা গেলো
তৃতীয় জন-“আজ আমার বড় মেয়েটার জন্মদিন,একটু তাড়াতাড়ি বের হওয়া দরকার, গিফটের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে, মেয়েটা যা অভিমানী, ভুল হলে কথা বন্ধ করে দিবে।যা করার একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয় স্যার”।

এবার নতুন আরেকজনের কন্ঠ শোনা গেলো
চতুর্থ জন - “স্যার আমিও মোটামুটি শিউর এটা লেংড়া জামাল, আমার কাছে সোর্সের কনফার্ম খবর ছিলো। স্যার দেরি না করে চলেন কাজটা শেষ করি ।আমারও একটু তাড়া আছে স্যার। মা হাসপাতালে ভর্তি। আমি না গেলে রাতে ঘুমোবে না”।

জামাল মনে মনে ভাবলো
- বড় বাঁচা বেঁচে গেছে,
মা বাবা তার অনেক আগেই মরে গেছে,
না হলে জামালের চিন্তায় অযথাই
না ঘুমিয়ে জাইগ্গা বইস্সা থাকতো।

এবার ঘরের ভিতরের শেষ মানুষটার গলা শোনা গেলো
পঞ্চম জন- “স্যার এই ল্যাড়া এই পর্যন্ত পনের জনেরও বেশি মানুষ মারছে। ওর চেয়ে বড় কন্ট্রাক কিলার এখন আর পাবেন না। একহাজার টাকার জন্য মানুষ খুন করছে।চেহারা দেখে ভুল কইরেন না স্যার। খুবই ডেন্জারাস এই হারামজাদা।এরে দুইবার ধরা হইছে। সাক্ষীর ‌অভাবে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। এবার কোন সুযোগ দেওয়া যাবেনা। রাতের মধ্যেই কাজ সারতে হবে”।

প্রথম জন বললো - “আরেকটু শিউড় হওয়া দরকার, তারপর উপরে স্যারদের ফোন দিয়ে জানাতে হবে ঘটনাটা, কাজটা করতে হলে উপরের পারমিশন লাগবে।

প্রথম জন -“স্যার, পারমিশন দিলে আজ অপারেশনটা আমাকে করতে দিবেন দয়া করে ,
আমি এখনো কোনই স্কোর করতে পারিনি,
বউ এর কাছে মান সম্মান কিছুই থাকলো না, ও কথায় কথায় বলে,
-সবার কতো স্কোর, তোমার একটাও নেই,
আমাদের সমাজে ভাবীদের কাছে
ও তাই কোনো ইজ্জত্বই পায় না,
আজ দয়া করে আমাকে সুযোগটা দিয়েন স্যার”।

জামালের তখন নিজের বউ এর কথা মনে পড়লো, না খেয়ে এখনো বসে আছে বোধ হয় , দু’জন এক সাথে খাবো, এই আশায়,
তার ধারনা বউটা বড্ড বোকা,কখনো রাগ করে না,শুধু একটু আদর সোহাগটাই বেশী চায়।এই ল্যাড়া শরীরে অবশ্য কোন সমস্যা হয়না।

জামাল খুব আশা নিয়ে আছে,হয়তো শেষ মুহূর্তে বলবে,
“তোমাকে ভুল করে ধরে আনা হয়েছে,
গান গাও আর কবিতা যতো খুশি লিখো,
বাসায় চলে যাও, তোমার মেয়ে,বউ অপেক্ষা করছে”।

তৃতীয় জন বললো -“স্যার আজ প্রথমকে আমার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটা স্কোর এর সুযোগ দিন”
দ্বিতীয় জন - “যাও দিলাম, তৃতীয়র মেয়ের জন্য তুমি দোয়া করো”
প্রথম জন খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,
“ জি স্যার, মা’মনি অনেক বড় হবে,
অনেকদিন বাঁচবেন”।

প্রথমজন -হঠাৎ জামালকে বললো,
“এই চল, একটু হাওয়া বাতাস খেয়ে আসি”,
জামালের বুকটা ধক্ করে উঠলো, কলিজার মধ্যে একটা বড় কামড় দিছে, আইজ আর কোন রক্ষা নাই, তল পেটেও ব্যাথা শুরু হইছে- সে চিৎকার করে বলা শুরু করলো
“স্যার আমি কোনো খুনটুন করিনি,
আপনাগো কোথাও যেনো বড় ভুল হইছে,
আমার নাম কামাল , ল্যাংড়া কামাল, আমার আরেক জমজ ভাই আছে , হের নাম জামাল , হেও পলিও পায় নাই, তাই ল্যাংড়া, আমার মতোই দেখতে, বাড়িতে আসে না অনেক বছর, জামালে কি করে আমরা কেউই জানি না। আপনারা বোধহয় ওরে খুঁজতে আইসা আমারে ভুলে লইয়া আইছেন।
শেষ চেষ্টা হিসাবে জামাল বললো -“সকালে গ্রামে গিয়া খোঁজ করলেই সব সত্য ফকফইক্কা হইয়া যাইবো আপনাগো কাছে”।
দ্বিতীয় জন এবার সত্যি সত্যি বিভ্রান্ত হয়ে গেলো।

সবাইকে একরকম হুকুমের সুরেই বললো,
-“কাল ক্রশচেক করে কনফার্ম হতে হবে। ভুল হলে এখন সবাই ঝামেলায় পড়বো। মিডিয়া বড় ডিষ্ট্রাব করে আজকাল। এর মধ্যে আবার বিদেশিরা নিজের দেশ বাদ দিয়ে আমাদের নিয়ে নাক গলানো শুরু করছে”

সেদিনের মতো সবাই সিনিয়রের কথা মেনে নিলো , জামালকে এক নির্জন রুমে বন্দি করে বাহিরে ‌‌অস্ত্র সহ মাত্র একজনক পাহারায় ‌রেখে সবাই বাড়িতে চলে গেলো।
এই বাড়িটা আসলে একটা সেফ হাউজের মতো , বাহির থেকে দেখে সাধারন মানুষের কিছুই বোঝার উপায় নেই ভিতরে কি হয়। চারিদিকে উঁচু দেওয়াল ঘেরা। খুব কম মানুষ আসে এখানে। বেশি রাতে অনেক সময় বেশী লোকজন আসা যাওয়া করে।

তৃতীয় জনের মনটা খুবই খারাপ,
জন্মদিনের গিফট তার মেয়ের পচ্ছন্দ হয়নি।

প্রথম জন এর বউ তাকে প্রচন্ড আদর করেছে,
আর বার বার আগামী কালের স্কোরের গল্প করছে,
কোনো কিছু যেনো ভুল না হয়,
কাল গুলিটা আসামীর বুকে করবে না মাথায় সেটা নিয়ে পরামর্শ করছে দু’জন।তখন যেনো কোনমতেই হাত না কাঁপে। সমাজে ভাবীরা শুনলে পরে সবাই হাসাহাসি করবে এই ব্যাপারটা নিয়ে,
আসামীর কান্না কাটিতে যেনো কোনমতেই তার মন দূর্বল না হয়।

চতুর্থ জনের মা’র শরীরটা একটু বেশী খারাপ করেছে ,আইসিইউ তে এখন, কাঁচের দরজায় দাঁড়িয়ে মা’র জন্য সে কাঁদছে হাউমাউ করে এই মধ্য রাতের নির্জনতাকে নষ্ট করে।

জামালের মেয়ে দুটো জেগে আছে,তাদের বাবা আসলে তার গলা ধরে গান শুনতে শুনতে ঘুমোবে,তার বউ না খেয়ে দরজা খুলে এখনো বসে আছে,স্বামী আসলে এক সাথে খাবে।‌‌অনেকদিন পর পর উনি বাড়িতে আসে।মানুষডা প্রচন্ড ব্যাস্ত, কাম কাইজে পুরা দেশে ঘুরতে হয়।আইজ সকালেই বাড়ি আইছে। দুনিয়ায় বাজার সদাই করছে। এতো রাইত হইছে ,এখনো ঘরে ফিরলো না লোকটা, আহারে লেংড়া মানুষ, তাও কি খাটুনি না খাডে সংসারের লাগি। চিন্তা করতেই জামালের বউ এর চোখ দিয়া পানি পড়তে লাগলো।

পূর্ণিমার চাঁদের আলোর দিকে তাকিয়ে
জামাল হাঁটছে আর ভুল সুরে আবারো নতুন একটা গান গাওয়ার চেষ্টা করছে।মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে ‌অসমাপ্ত কবিতাটা মনে করার চেষ্টা করছে।

সেইফ হাউজের দরজাটা খোলা। জামালের কাছে হাতকড়া আর যে কোন তালা খোলা তার বাম হাতের খেইল। ও সব সময় লুঙ্গি পরে থাকে, লুঙ্গির উপরে চারিদিকে চিকন এক তামার তার দিয়ে পেচানো থাকে , এটা কোন মতেই বুঝার ক্ষমতা সাধারন মানুষের নেই। সেই তার দিয়ে সে হাতকড়ার তালা খুলেছে, তারপর তাকে আটকে রাখা লকারের তালাও খুলেছে সে নিঃশব্দ ভাবে,
দেখলে মনে হবে পাহারাদার মানুষটা ঘুমিয়ে আছে ঘরের ফ্লোরে,আসলে জামাল শুধু তামার তার তার দিয়ে ঘুমন্ত লোকটির গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে । কোন রকম শব্দ করার শক্তিও পায়নি লোকটি। লেংড়া জামালের শরীর দেখলে মানুষ ভুল করে , তার শরীরে জানোয়ারের মতো শক্তি। সারা জীবনে যতো মানুষ খুন করছে সব শুধু তামার তার দিয়ে পিছন থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে । সব খুনই করেছে টাকার জন্য।এই প্রথম খুনটা একেবারে মাগনা করলো, এই আফসোসটা মনে জ্বালাতন করছে তাকে।

জামাল খুব দ্রুত হাঁটছে, শেষ রাতের দিকে বাড়ি পৌছে গেলো।বাড়ি পৌছে দেখে মেয়ে দু’টি ‌অনেক আগেই ঘুমিয়েছে। বউ না খেয়ে তখনও বসে ছিলো। খাবার খেয়ে বউকে মন মতো আদর করলো সে। বউ ঘুমিয়ে পড়লে জামাল রাতের অন্ধকারেই আবার হাঁটা শুরু করলো।

জামাল সুস্থ মানুষের মতো হাঁটছে, একটুও ল্যাংড়াচ্ছে না। কেউ দেখলে ভুলে ও সন্দেহ করতে পারবে না এই লোক ল্যাংড়ার মতো করেও হাঁটে।মনে খালি আফসোস খুনটা একেবারে মাগনা করলো আজ।

সেফ হাউজে মৃত পাহারাদার মানুষটার মুখে পিপড়ে ডুকছে আর বের হচ্ছে খাবারের জন্য, দু’টো টিকটিকি ভেন্টিলেটার থেকে মাথা বের করে টিকটিকি করে অনেকক্ষণ ডাকলো.তারপর নারী টিকটিকিটি পুরুষ টিকটিকিটিকে বললো,
“এই মানুষটার কি হয়েছে বলতে পারবি?”
পুরুষ টিকিটিকিটি বললো,
“মানুষটার ভুল মরন হয়েছে”।
——————————-
রশিদ হারুন
মন্ট্রিয়াল, কানাডা
২১/১২/২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
৮টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী; অভিভাবক শূন্য হলো বাংলাদেশ |

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১২


খালেদা জিয়া। ইস্পাতসম বজ্রকঠিন দেশপ্রেমের নাম খালেদা জিয়া। যিনি ভালো বেসেছেন দেশকে, নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ভালো বেসেছেন। দেশের বাহিরে যার নেই কোন লুকানো সম্পদ। নেই বাড়ি, গাড়ি অথবা... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৫ সালের সেরা মশকরা কোনটি

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৪



ইয়ে মানে বছর শেষ। ২০২৫ সাল বিদায় নিচ্ছে । তা আপনার কাছে ২০২৫ সালের সেরা মশকরা কোনটি ?


আমার কাছে সেরা মশকরা হচ্ছে- এনসিপির জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করা।

আরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম খালেদা জিয়াঃ এক দৃঢ়চেতা, সাহসী অধ্যায়ের সমাপ্তি

লিখেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগ টিম, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭



প্রিয় ব্লগার,
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই, ইন্না লিল্লাহি ওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়া মরিয়া প্রমাণ করিলেন , তিনি মরেন নাই ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮


বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। এই খবরে জাতি শোকাহত। কিন্তু একদল মানুষ আছে যারা উনার মৃত্যুর পরেও নিজেদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে তার মৃত্যু নিয়ে ঘৃণ্য মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বদনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×