somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পঞ্চাশ পার হলো

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।

আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!

বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে পারি।

কয়েকটা দিনের জন্য রেল লাইন হয়ে বিশাল আকাশের নিচে শুয়ে থাকতে থাকতে স্বপ্ন দেখবো,
আমি খুব সুখে আছি।

একশ একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে মিথ্যে মিথ্যে জন্মদিন পালন করতে পারি একদিন।

শহরের সব পোস্ট অফিসে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিতে পারি
আমার নামে কোনো চিঠি পড়ে আছে কিনা বছরের পর বছর।

আমার সমস্ত বিষণ্নতা পঁচিশের কোনো এক তরুনকে ধার দিতে পারি কিছুদিনের জন্য।

সরকারি গোরস্থানে একটা কবর ভাড়া নিয়ে কিছুদিন থাকার অভ্যেসটা করে ফেলতে পারি আগেভাগে।

সারাজীবনের জমানো বুকের সব হাহাকার ঢেলে দিতে সমুদ্রের কাছেও যেতে পারি একবার।

সকালে বিদঘুটে তিতা কফির বদলে দুধ চা খাবো কয়েকদিন,
শেষ বয়সে একটু ভালোমন্দ খাওয়ার চেষ্টা আর কী!

বউ বাঁধা দিলেও যখন তখন টেনে নিবো বুকে,
বুড়োর ঢং দেখ! বলে হয়তো দূরে ঠেলে দিতে চাইবে,
তাতে আমার কিচ্ছু আসবে যাবেনা।

কিছুদিন বন জঙ্গলে গিয়ে গাছেদের সাথে গাছ সেজে দাঁড়িয়ে থাকবো একটা গাছের জীবনের জন্য।

কিছুদিন মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াবো,
খুব শখ আমার
অন্তত একবার হলেও দেখতে চাই
মানুষ হবার কষ্ট সহ্য করতে পারিনা কিনা।

একদিন ছায়াটাকে ঘরে আটকে রেখে ছায়াহীন হয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াবো।

পঞ্চাশ পার হলো,
এভাবে একেকদিন মেঘ বৃষ্টি জল হবো,
তারপর জলের মতো গড়াতে গড়াতে মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর পার করে
মাটির সাথে মিশে একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যাবো একসময়।

পঞ্চাশ পার হলো,
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর-
জীবনের মোহ কেটে গেছে
তবুও মায়া কাটেনা।
——————-
র শি দ হা রু ন
২৫/০৮/২০২২
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সনজিদা খাতুনের শেষকৃত্য

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৪

আমি যেমন একজন মুসলিম, আমি যখন মারা যাব, আমার এক্সপেক্টেশন থাকবে আমাকে গোসল দিয়ে কাফনে মুড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়ে আমাকে কবর দেয়া হবে। আমি খুবই ধন্য হবো যদি জানাজার নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের বাজেট ২০২৫: সংকট কাটিয়ে স্থিতিশীলতার পথে?

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৩১


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া, বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তার ছায়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং রাজস্ব ঘাটতি যেন অর্থনীতির জন্য এক ধাঁধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপসকামী বিরোধী রাজনীতিবিদদের জন্য পাঁচ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়.....

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০১


..... বলেছেন নাগরিক জাতীয় পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। নাহিদ মিয়া বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস ও ফখরুল সাহেব কে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন। নাগরিক জাতীয় পার্টির নেতারা নিজেদের পচানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সফলতার গফ শোনান ব্যর্থতার দায় নেবেন না?

লিখেছেন সোমহেপি, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪৩

মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট নিতে চান ভাল কথা, লুটপাট ও পাকিস্তানের বিপরীতে ভারতের স্ত্রী হয়া ঠাপ খাওনের দায়টাও নেন। অপ্রকাশিত সবগুলো চুক্তিপ্রকাশ করেন। ইন্ডিয়ার হাসফাস দেখে মনে হচ্ছে হাসিনা তাগো অক্সিজেন ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা যদি পুড়ি, তবে তোমরাও আমাদের সঙ্গে পুড়বে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০১


২২ বছর ধরে একচ্ছত্র ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দখল, বিরোধীদের দমন—এরদোয়ানের শাসনযন্ত্র এতদিন অপ্রতিরোধ্য মনে হতো। কিন্তু এবার রাজপথের তরুণরা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তুরস্ক এখন বিদ্রোহের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×