somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সেই আতঙ্ক ছিলো দেখার মত দৃশ্য!

৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে এই দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং ক্ষমতায় থাকার কোন বিকল্প নেই। (//আমি অরণ্য)

১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাস। সদ্য নির্বাচনে জিতে আসা বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। হঠাৎ করেই কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী নাসাকা বাহিনী বিনা উষ্কানিতে গুলি চালানো শুরু করে। পালটা জবাব দেয় বিডিআর। এরই মধ্যে উখিয়া বিডিয়ার ফাঁড়িতে রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই বিডিআর সদস্যকে হত্যা করে চোরের মত পালিয়ে যায় নাসাকা। সাথে সাথে ঢাকা থেকে রেড এলার্ট জারি করা হয়। সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধাবস্থা্র প্রস্তুতি নেয় বিডিআর। নাসাকা পিছু হটে যায়। এর কয়েকদিন পরেই সীমান্ত এলাকায় বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটায় মিয়ানমার। সাথে সকল প্রকার ভারী যুদ্ধাস্ত্র। সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে মার্চ শুরু করে অনেকগুলো ব্যাটেলিয়ান। গণতন্ত্রের পথে সদ্য যাত্রা শুরু করা একটা দেশের ক্ষমতাসীনদের তখন দিশেহারা যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা না হয়ে উলটো ঢাকা থেকে সর্বাত্বক পালটা জবাবের নির্দেশ দেয়া হয়। কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি থেকে আকাশে উড়াল দেয় এফ সিরিজের বাংলাদেশের যুদ্ধবিমানগুলো। আর্মি তখনো দৃশ্যপটে আসেনি। কারণ বিডিয়ারের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মিয়ামনারকে ঠেকাতে তারাই যথেষ্ট। কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়াতে মানুষের আতঙ্ক। কিন্তু নিশ্চল, দৃঢ়, অটল ভঙ্গিতে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে বিডিয়ারের সদস্যরা। সাধারণ মানুষ হাতের দা থেকে শুরু করে পাথর-লাঠি নিয়ে প্রস্তুত। নাফ নদীর উপর পৌঁছে গেলো বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান। সাথে সাথেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মার্চ থেমে যায়। মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশৃঙ্খল ভাবে উলটো দিকে চলে যেতে শুরু করে তারা। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সেই আতঙ্ক ছিলো দেখার মত দৃশ্য! এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের উপর প্রথম প্রত্যক্ষ সামরিক আক্রমণ অসাধারণভাবে মোকাবেলা করে সদ্য ক্ষমতায় আসা বিএনপি সরকার।

'৭৭-'৮১, '৯১-'৯৬, '০১-'০৬ প্রতিবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ব্যাপকহারে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো হয়। ভৌগোলিকভাবে এমন এক অঞ্চলে বাংলাদেশ বাস করে যেখানে যথাযথ সামরিক সক্ষমতার কোন বিকল্প বাংলাদেশের সামনে নেই। সামরিক সক্ষমতার বাইরে সামরিক কূটনীতিতেও অসাধারণ সাফল্য দেখায় বিএনপি। যার প্রমাণ হচ্ছে '৯১ পরবর্তী সময়ে চীনের সাথে দক্ষ কূটনীতির কারণে মিয়ানমার বনাম বাংলাদেশের উত্তেজনা প্রশমন। আর বিপরীতে ভারতীয় অনুগত শক্তি যখন ক্ষমতায় আসে তখন কি হয় তা জানার জন্য কি খুব বেশি দূরে যাওয়া লাগবে? ভারতীয় দালালরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন পিলখানায় ঠান্ডা মাথায় ৫৭ জন আর্মি অফিসার হত্যা করে বাংলাদেশ আর্মির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়। সীমান্তে অপ্রতিদ্বন্দী বিডিয়ার পরিণত হয় বিজিবি নামক লাঠি বাহিনীতে। গতকাল মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির এক নায়েককে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে এবং আজ তারা আক্রমণ করে উখিয়া সীমান্তে। যে মিয়ানমার '৯১ এর পর থেকে আর কোনদিন গুলি ছোঁড়ার সাহস দেখাতে পারেনি সীমান্তে, আজ তারা আমাদের সীমান্তরক্ষি বাহিনীর কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করে, সীমান্ত আক্রমণ করে। অবৈধ, জারজ, দালাল সরকারের ফল এটা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে এই দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং ক্ষমতায় থাকার কোন বিকল্প নেই।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×