আগের চেয়ে হয়তো কিছুটা কমেছে, কিন্তু এখনও ব্লগে এলে কয়েকটা নাস্তিকের কিছু উলটাপালটা পোস্ট দেখে মেজাজটা গরম হয়ে যায়। একেকটা পোস্ট পড়ি, আর মাথার সবগুলা চুলই খাড়া হইয়া যাইতে থাকে। সামনে এসে কথা বলার সাহস নাই খালি ব্লগে আইসা যত পণ্ডিতামি। একদিনও যদি এদের একটারে সামনে পাইতাম তবে যে কয়টুকরা করে ফেলতাম কোন ঠিক নাই। খাইয়া দাইয়া কোন কাম পায় না খালি অন্যের ধর্ম নিয়ে মাতব্বরি ফলায়। যতসব ...
কথাগুলো সত্যি। ব্লগে আসার সাথেই যদি এমন কিছু লেখা পড়তে হয়, মেজাজ তখন চরমে উঠতেই পারে। তাই এইসব নাস্তিকদের যন্ত্রণা থেকে সকল আস্তিক ও ধার্মিক ব্লগারদের মুক্তি দেয়ার আশায় আমি একটি আপনাদের একটি পরামর্শ দিতে চাই। এইসব নাস্তিকরা তাদের মাতব্বরি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখালেও এরা সবচেয়ে বেশি মজা পায় মনে হয় ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে বা অন্যের ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ করে। আর এর মাধ্যমে তারা আঘাত করে সাধারণ মানুষের ধর্মানুভুতিতে। ধার্মিকদের বলছি, দেখুন আপনারা ধর্ম নিয়ে বেশি প্যাঁক প্যাঁক করেন বলেই, এই নাস্তিকগুলা এদের কলমে এত জোড় পায়। দুনিয়ায় এত গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় থাকতে আপনাদের এই ধর্মের পিছনেই পড়ে থাকা লাগে কেন বলুন তো। আপনারা যদি ধর্ম নিয়ে এত বেশি লেখালেখি
না করেন তাহলে নাস্তিকদেরও আর ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখার প্রয়োজন পড়ে না। কাজেই সবার উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা যদি ব্লগে লেখালখি করতে চাই তবে একটু চেষ্টা করলেই লেখার মত অনেক বিষয় খুঁজে পেতে পারি। ধর্ম নামক এই বুলশিট ( বা মাদক যাই বলেন আপনার ব্যাপার) নিয়ে ফাইজলামি আশা করি সবাই পছন্দ করে না। সবাই আছেন নিজেদের ধর্মের যৌক্তিকতা আর সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার পিছনে কিছু হাস্যকর যুক্তি তুলে ধরার নেশায়, আর ওই নাস্তিকগুলা এসে যখন ওই যুক্তিগুলোর অসারতা তুলে ধরে তখনই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়ার।
তবে নিজ ধর্মের সপক্ষের ওইসব দুর্বল যুক্তি তুলে ধরে হাস্যরস বাড়ানোকেই যদি ব্লগাররা নিজেদের লক্ষ্য বলে স্থির করে নেন, সেক্ষেত্রে অবশ্য আমার কিছু বলার নেই। এমনিই কি আর বলা হয়, ব্লগে নির্মল বিনোদনের অভাব কখনই অনুভুত হয় না।