(এ লেখাটি ব্লগার ক্ষতিগ্রস্থ এর একটি লেখার মন্তব্য হিসাবে লেখা। পরে এটাকে নিজের ব্লগে রাখতে ইচ্ছে হলো)
সেনাবাহিনী ছিলো আমাদের শেষ আশ্রয় স্হল । তাদের দুর্নীতি কে ও যদি বৈধতা দিতে হয়, তবে সাধারন আম জনতার কোন ভরসার স্হান থাকেনা। ১/১১র সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ আমার মতে আমাদের সেনা বাহিনী। কিছু সংখ্যক কর্মকর্তার লোভ এর কারনে সেনাবাহিনী তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ, জনগনের বিশ্বাস, সেটা হারিয়েছে। যে কারনে সেনাবাহিনীর যে কোন পদক্ষেপ এখন আরো বেশি স্কুটিনাইজড হবে, তাদের যে কোন কর্মকান্ড চ্যালেন্জড হবে। ফলাফল, সেনা বাহিনী ও জনগন মুখোমুখি হবে, যার কিছু নমুনা আমরা রূপগন্জে দেখেছি।
১/১১ তে জনগন সামরিক বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলো। কিন্তু আর্মির হঠকারি ও গাজোয়ারি মনোভাবের জন্য খুব দ্রুতই তারা অপ্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলশ্রুতি তে আমরা বিডিআর বিদ্রোহের প্রথম ২ দিন আর্মির বিরুদ্ধে জনরোষের নমুনা দেখেছি। আমি দুঃখিত যে আমাকে এ কথাটা বলতে হচ্ছে - ৫৭ জন অফিসারের করুন মৃত্যু ব্যাসিক্যালি আর্মিকে কিছুটা হলেও কমফোর্টেবল একটা কুশন দিয়েছে। যদি তারা না মারা যেতেন, তবে আজকে আর্মিই থাকতো জনগনের কাঠগড়ায়, বিডিআর নয়। (অবশ্য নিয়মিত আদালতে বিডিআরেরই বিচার হতো, কারন তারা আলটিমেটলি দুর্বল পক্ষ)।
রুপগন্জের ঘটনায় সাধারন মানুষের প্রতিক্রীয়া প্রমান করলো যে মানুষ যদিও ৫৭ জন জন অফিসারের করুন মৃত্যুর জন্য সহানুভুতিশিল, যদিও মানুষ কৃতগ্গচিত্তে মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অবদান স্বীকার করে, তবু, সাধারন গাজোয়ারি মনোভাবের কারনে মানুষ আর্মিকে আর পছন্দ করছেনা। সামরিক বাহিনীর বোঝা উচিৎ যে তারা অনেক বড় একটা লস করে ফেলেছে, যেটা আসলে শুধু তাদের লস নয়, গোটা বাংলাদেশের লস।
এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সেনা বাহিনী কেই প্রথমে তার ক্লীন ইমেজ টা আবার এস্টাবলিশ করতে হবে । সে জন্য রুপগন্জের মত হঠকারি কোন পদক্ষেপ আর নেয়া যাবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





