বর্তমান সময়ের (গত ২ বছর যারা নাটক দেখেনি তাদের কাছে অপরিচিত) একজন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেত্রীর বায়োগ্রাফি। পড়ে লাভ নাই মনে হলে এখানেই থেমে যান। শুধু শুধু সময় নষ্ট করে লাভ নাই ।
বর্তমান সময়ে জাতীর ক্রাশ নামে পরিচিত তাসনিয়া ফারিন এর জন্মদিন ও সাল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন কিছু মানুষ]।মাত্র ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মডেল ও অভিনেত্রীর জন্মদিন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে কিছু ব্যাক্তিবর্গ।তার ব্যাক্তিগত ব্যাবহার করা কোন ফেসবুক আই ডি না থাকায় এমন গুজব রটাতে পারছে বলে আমার ধারণা। ফেসবুক আইডি না থাকলেও ইনস্টাগ্রামে রেগুলার তিনি।
বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন।পুরো নাম তাসনিয়া জামিল ফারিন। তাসনিয়া ফারিন একজন বাংলাদেশী টিভি অভিনেত্রী যিনি মূলত বাংলা টিভি নাটক, মিউজিক ভিডিও ও শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেন। কাজল আরফিন অমির ব্যাচেলর ট্রিপে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি লাভ করে খ্যাতি অর্জন করেন। ফারিন এর জন্ম ৩০ জানুয়ারি ১৯৯৯। তার বাবা একজন ব্যাবসায়ী যিনি একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজ করছেন। তার মা একজন শিক্ষিকা। তার স্কুল এবং কলেজ ছিলো হলিক্রস। ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি লম্বা এই মডেল ও অভিনেত্রী বর্তমানে প্রাই সকলের পছন্দের ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশানালস এ মার্কেটিং এ বিবিএ করছেন। তিনি বর্তমানে পরিবারের সাথে ঢাকায় থাকেন। ফারিন মুলত তার মায়ের অণুপ্রেরণা থেকে শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। তাসনিয়া ফারিন অভিনিত আমরা ফিরবো কবে নাটকটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। শুধু ছুটির দিনে তিনি মিডিয়ায় কাজ করেন সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে করে এতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়া জাস্ট বিউটি উইথ ব্রেন।

ছোট বেলা থেকে স্কুলে বিভিন্নি কম্পিটিশনে নাছ গান অভিনয় আবৃত্তি চর্চা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে গ্রে বাংলাদেশে চাকুরি করা এক সিনিয়র আপুর সহযোগিতায় গ্রামীণ ফোন এর বিল বোর্ডে কাজ করে মিডিয়ায় প্রবেশ করেন তাসনিয়া ফারিন । এরপর কাজ করেন টিভিসিতে। ২০১৯ সাল পররন্ত তার করা টিভিসির সংখ্যা ছিল ৫০ টির ও বেশী। বিকাশ এর টিভিসি তে টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফির সাথে কাজ করেন তিনি।
তার অভিনয় করা প্রথম নাটক [link|শাফায়াত মনসুর রানার আমরা ফিরবো কবে ২০১৭ সালে এন টিভিতে প্রচারিত হলে প্রচুর হিট করে এবং তিনি ব্যাপক প্রসংসা অর্জন করেন। দর্শক এতোটাই তাকে পছন্দ করেছিল যে মাত্র ১ বছর ৭ মাসে ৪০ টিরও বেশী নাটকে মূল নায়িকা সহ বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম কাজ করেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোম্পানি গ্রামীন ফোনের বিলবোর্ডে । এই কাজটি করে ১০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন যা ছিল উনার জীবনের প্রথম রোজগার। পাইলট হতে চাওয়া তাসনিয়া ফারিন মাত্র ২১ বছর বয়সে এতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে তার মায়ের অনুপ্রেরণা ও পারিবারিক সমর্থন। জুটি-প্রথা বিশ্বাস না করে যে কোন গল্পে সব ভালো অভিনেতার সাথে ভালো অভিনয় করার মনোভাবই তাকে মাত্র দেড় বছরে প্রাই অর্ধশত নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হতে সহযোগিতা করেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি নিয়মিত নাটকে কাজ করা শুরু করেন। শুধু ২০১৯ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডেতেই তার ৫ টি নাটক রিলিজ হয়।নাটক গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এক্স বয়ফ্রেন্ড, ফার্স্ট ইয়ার ড্যাম কেয়ার ২, লাভ এন্ড লস্ট আরো দুইটা শর্ট ফিল্ম। এক্স বয়ফ্রেন্ড নাটকটি করেই তিনি আলোচনায় চলে আসেন। নাটকটির মূল নায়িকা তাজনিন তিশার অভিনয় এর নামে ন্যাকামি আর যৌন সুড়সুড়ি যতোটা বিরক্তিকর ছিল সাইড নায়িকা তাসনিয়া ফারিন এন মাত্র কয়েকটা শট এর অভিনয়ে বিউটি উইথ ব্রেন ততোটা এক্সপোজ হয়েছে।এবং দর্শক ও পরিচালকদের নজর কেড়েছে। "তুই শুধু আমারি" নাটকে অভিনয় করার শ্যূটিং চলা কালীন সময় একজন ফটোগ্রাফারের তুলা নীল শাড়ি পড়া একটি ছবি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তখন থেকে তাকে অনেকেই জাতীর ক্রাশ বলে মন্তব্য করেন।
উনাকে আমার ভালো লাগার একটা কারণ হলো সে প্রচুর বই পড়ে এবং গল্প বা উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেন, যা অন্য কোন বর্তমান সময়ের অন্যকোন টিভি নাট্য অভিনেত্রীর মধ্যে আমি দেখিনি। গল্প এবং চরিত্র পছন্দ না হলে তিনি ডাইরেক্ট রিজেক্ট করেন যার প্রমাণ পাওয়া যায় তার অভিনীত প্রতিটি নাটকই ভালো অথবা মোটামুটি দেখার মতো। খারাপ বলা যাবেনা। আর অভিনয় এর নামে নেকামি করেনা। ক্যারেক্টার এর মধ্যে ডুবে যাওয়ার চেষ্টা করে।
উনার প্রিয় অভিনেতা - মোশারফ করিম আর প্রিয় অভিনেত্রী- সুবর্ণা মোস্তফা। চমৎকার গানের গলা । সত্যি অসাধারণ। নজরুল সংগীত এবং উচ্চাঙ্গ সংগীতে দারুণ দক্ষতা। অভিনেত্রীর পাশাপাশি প্রতিষ্টিত সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার মতো মেধা রয়েছে এই বিউটি উইথ ব্রেন এর। বিউটি বলছি কারণ যে সৌন্দর্য কি তা বুঝে সে হয়তো স্বীকার করবে তার হাসিটা কতো সুন্দর। আর বিউটি না থাকলে গ্রামীণ ফোনের বিলবোর্ডে চান্স পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। ভবিষ্যতে একজন প্রতিষ্টিত সঙ্গীতশিল্পী হতে চান তিনি।
কথায় আছে যে এক শিয়াল_হু করলে সকল শিয়াল_হুকরে।
তাসনিয়া ফারিন এর জন্ম ৩০ জানুয়ারি ১৯৯৯ হলেও সবাই তাকে জন্মদিনের উইস করছে আরে ভাই,ভাই একটা মানুষের কয় বার জন্ম হয়। এসব গুজব আপনার কি জন্য রটাচ্ছেন।আমাদের কিছু কিছু বাঙালি জাতি জাতে মাতাল তালে ঠিক।দয়া করে কেউ গুজব রটিয়ে সকলের মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করবেন না।
অনুগ্রহ করে গুজব ছড়াবেন না।

ছবিঃ গুগল। তথ্য উপাত্তঃ ফেসবুক, গুগল, ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাক্ষাতকার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



