
প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই পোস্ট কাউকে আঘাত করার জন্য বা কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য নয়। আমি ভলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনা ও বাঙালি মোল্লাদের কিছু বিষয় তুলে ধরব । বাংলাদেশের সমস্ত ভালো ও মুমিন মওলানাদের প্রতি সম্মান রেখে এই পোস্ট দিচ্ছি। আমি চট্টগ্রামের ছেলে। বাংলাদেশের অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে এই জেলার মানুষ বেশী ধর্মপ্রাণ। হবেনা বা কেন ? এটা যে ১২ আউলিয়ার পুণ্যভূমি। সুতরাং আমাকে নাস্তিক ধর্মদ্রোহী এসব উপাধি দিয়ে লাভ নাই। তো সানির আগমন উপলক্ষে মোল্লারা কি করছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই । তবে আমি তারা কি কি বয়ান দিয়েছেন তার খন্ড বিশেষ গুগল এর সাহায্যে পাঠক এর সুবিধার্থে এখানে কপি করছি ।
২০১৫ সালের কথা কি মনে আছে ? সে সময় সানি লিওন আসার কথা ছিল একটা কনসার্টে যোগ দিতে ? সে সময়ের সানি সম্পর্কে মোল্লাদের একটা নোংরা লেখা শেয়ার করছি।
অলমোস্ট সব মোল্লা একই কথা বলেছেন, তবে এই লিংকে সব কথা এক সাথে পাওয়া গেলো। যদিও লেখাটা ২০১৫ সালের। সে সময় আমাদের সামুর ব্লগার নাঈম মুসা একটা সামুতেও একটা পোস্ট লিখেন। পোস্টটি পড়ুন এখান থেকে।
এবার আসুন পড়ি তারা কি বলছেন/ লিখছেন দেখিঃ
প্রশ্ন ১ সানি লিয়ন কে?? ★প্রশ্ন ২ কেন? তার আগমনে আলেমগন প্রতিবাদ করেন?? ★প্রশ্ন ৩ তার আগমনে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কারা??? , # উত্তর, ১, সানি লিয়ন,প্রকাশ্যে যিনাকারিনী, তার বড় পরিচয়, সে পৃথিবীর সকল বেস্যা বা পতিতাদের সর্দারিনী। , # উত্তর ২, আলেমগন দায়িত্যপ্রাপ্ত, তারা নবীগনের ওয়ারিস, কেহ মানুক বা না মানুক তাদের কাজ হল মানুষকে দুনিয়াবী ও পরকালীন ক্ষতির ব্যাপারে সতর্ক করা, এবং সাধ্য অনুযাই প্রতিবাদ করা। তাই তারা প্রতিবাদ করছেন। , # উত্তর ৩, সানি লিয়ন এর আগমনে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমার সমাজ, আমার মা, বোন, আমাদের যুব সমাজ, নষ্ট হবে বাংলাদেশের ইমেজ, নষ্ট হবে মা, জাতীর ইজ্জত, বেড়ে যাবে ইভটিজিং, ধর্ষন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরু বাংলাদেশ। কারন!! ভারতে আর কোন ভাল গেষ্ট নেই?? যাকে দাওয়াত করে সম্মানের সাথে আনাযায়!! অবস্যই রয়েছেন। তবে কেন? একজন বেস্যাকে আনাহবে? অতিথি করে!! , এই বেস্যা সানি লিয়ন যেখানে থাকে সেখানের, অপরাধ প্রবনতা বেড়ে যায়। প্রমান দেখুন!! , পরিসংখ্যান অনুযায়ী, , ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়। বলিউড পর্দায় নারী চরিত্ররাই এর জন্য দায়ী বলে সরাসরি দাবি করেছে বিশেষজ্ঞ মহল । , এমনকি দেশটির এক কুখ্যাত ধর্ষক পর্যন্ত নিজ মুখে স্বীকার করেছে, বলিউডি সিনেমাগুলো তাকে ধর্ষণ করতে উৎসাহ দিয়েছে। আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও নারী ও শিশু ধর্ষণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে । সংবাদপত্রের পাতা খুললেই ধর্ষণের খবরগুলোবড় করে চোখে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। , বিবিসির দেয়া তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৮০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। , == এমতাবস্থায়, ঢাকায় আসছে অভিশপ্ত সানি লিওন, বাংলাদেশ হবে কলংকৃত, আগামী মাসে ‘সানী লিওন’ নামক এক কথিত বলিউডি বেস্যা অভিনেত্রী নাকি বাংলাদেশে আগমণ করবে, তার বেস্যাকর্ম ( চামড়া ) শো দেখতে টিকিটের সর্বনিম্নমূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা ! , বলাবাহুল্য সারাবিশ্ব যখন পর্নোগ্রাফীর ক্ষতি সম্পর্কে নিন্দা জানাচ্ছে, পর্নোগ্রাফী নিষিদ্ধের জন্য আইন করছে, সেখানে বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফী পরিবেশ তৈরী করতে সানি লিওনদের প্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। , জনগণকে কথিত পর্নোতারকাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। , উল্লেখ্য, ভারতে ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে সবাই দায়ি করেছে তাদের বলিউডের নোংরা জগতকে,এবং শীর্ষ নোংরা সানি লিয়নকে। , এটা স্পষ্ট বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসা আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন করে কথিত বলিউডি পর্নো , তারকাকে বাংলাদেশে এনে জনমণে পর্নোতার বিষ ঢুকিয়ে দিতে চাইছে একটি মহল, বাংলাদেশকেও তারা বানাতে চাইছে ভারতের মত ধর্ষণের দেশ। , আমার ইচ্ছা, যারা সানি লিয়নকে আনার ব্যাবস্থা করছে, তাদের কে ইভটিজিং ও ধর্ষনের মত জগন্য কর্মে সহায়তার অভিযোগে আইনের আওতায় আনা হোক। , প্রিয় সুধীঃ এবার আপনি বলুন!! সানি লিয়ন প্রতিরোধে একমত??? , হেফাজতে ইসলাম যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি আপনার, অবস্থান থেকে প্রতিবাদের আওয়াজ তোলুন, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, বেস্যার আগমন, মানিনা, মানব না। মাতৃভূমি নষ্ট ( ধর্ষিত ) হতে দিব না। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,, মুনাফিকরাই নিরব থাকবে।
শেষের লাইনটি খেয়াল করুন ।আমি আবার কোট করছিঃ বিঃদ্রঃ সানি লিয়ন বেশীর ভাগ যৌনমিলন করেছিলেন খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের সাথে। বাংলাদেশে আসলে হুজুরদের কি অবস্থা হয় আল্লাহ ভালো জানেন।
এই হল সানি সম্পর্কে বাংলাদেশী মোল্লাদের অপপ্রচার, মিথ্যাচার, নিন্দা ও ঘৃণার একটা সংক্ষিপ্ত সারমর্ম।
এখন আমার বক্তব্য বলছি । আপনি অবাক হবেন কিছু তথ্য জানলে । আপনি কি জানেন এ দেশে মোল্লারা এখন পর্যন্ত কতজন শিশু ধর্ষণ করেছেন ? সঠিক তথ্য দেয়া মুশকিল । তবে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ এর এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য আমার কাছে আছে ।
মাদ্রাসায় ১৫ মাসে ধর্ষণের শিকার ৬২ শিশু, এদের জুলুম সহ্য করতে না পেরে মা গেসে ৩ জন শিশু। আসলে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ১ বা একাধিক শিশু বলৎকার এর শিকার হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখার কারণে সর্বমোট কতজন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে তা বলা কঠিন। অধিকাংশ ঘটনা ঘটাচ্ছে মধ্যবয়সী মাদ্রাসা শিক্ষক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা।এ ঘৃণ্য অপরাধীরা গ্রেফতার হলেও ধর্ষণ আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই নোংরা কাজ যারা করছে তাদের একমাত্র ঢাল ধর্ম। মাদ্রাসা ও মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় কাজটা তাদের পক্ষে খুবই সহজ। কাছে আরও তথ্য থাকলে মন্তব্যে দিবেন । মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের কে জায়েজ করার জন্য এর নামকরণ হয়েছে শিশু বলৎকার। বলাৎকারের নির্মমতায় নিষ্পেষিত মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুরা।

এবার আসুন পুরুষ শিশু বলৎকার করার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন কি বলে দেখি: ‘বিশ্ববাসীর মধ্যে কেন তোমরাই কেবল পুরুষদের নিকটে (কুকর্মের উদ্দেশ্যে- আ‘রাফ ৭/৮১) এসে থাক ? ' অর্থাৎ কোরানে দোহায় এরা দিতে পারবেনা। ইসলাম পবিত্র ধর্ম। কোরানে পুরুষ ধর্ষণের/ সমকামিতার ব্যাপারে চরম হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
যে সব অসহায় শিশুকে বলৎকার করা হয় তাদের ৯৮ % এতিম। মা নাই বাবা নাই । এই অসহায় ৩ থেকে ১০ বছরের শিশুদের উপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনায় থাকা খাওয়ার সুযোগ বহাল রাখতে এই কোমল-মতি শিশুরা নীরব থাকতে বাধ্য হয়। হয়তো মহান আল্লাহকে নালিশ করে। ধর্ষণ শেষে ভয়ে কিংবা আতঙ্কে অনেকে ধর্ষিত শিশুটিকে খুন পর্যন্ত করে ফেলে। আমরা হয়তো ১০% থেকে ১৫ % জানি। আমরা শুধু পত্র পত্রিকায় সেসব শিশু বলৎকার এর খবর পায় যাদের মা-বা আছেন। এতিমদের নির্যাতনের কথা কেউ জানেনা।
পবিত্র রমজান মাস। পোস্ট যখন লিখছি তখন সেহেরির সময় হতে মাত্র ৫০ মিনিট বাকি। এখন সময় রাত ২ টা ৮ মিনিট। এই সময় নাকি আল্লাহ সুবাহানাতাআলা সপ্ত আসমানের সবচেয়ে নীচের আসমানে এসে বান্দাকে ডাক দিতে থাকেন । আছো কি কেউ যে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দিব। এই তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহর কাছে চাওয়া হে আল্লাহ তুমি এই নিষ্পাপ এতিম শিশু গুলোকে কুকুরের চেয়েও ঘৃণ্য শিশু বলৎকার কারীদের থেকে রক্ষা কর। ধর্ষণের বাইরেও নানা রকম অমানবিক মধ্যযুগীয় নির্যাতন করা হয় শিশুদের উপর। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা, শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে জোড়া বেত দিয়ে পিটানো, তুলে আছাড় মারা, উদম শরীরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা সহ নানা রকম অমানবিক নির্যাতনের শিকার এই শিশুগুলো হয়। যেখানে ধর্মীয় জ্ঞান শিখে আলেম হওয়ার জন্য পাঠানো হয় সেখানে গিয়ে বিকৃত যৌনাচারের শিকার হচ্ছেন নিষ্পাপ কোমল-মতি শিশুরা। এই হিংস্র নোংরাদের উপযুক্ত বিচার না করলে আমাদের আদরের শিশুরা দম দেয়া পুতুলে পরিণত হবে।
শুধু মাদ্রাসার পিচাশদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের অভিভাবকগণ ও কম দায়ী নয়। কথিত জান্নাতে যাওয়ার লোভে এরা নিজের শিশুকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ? প্রমাণ দিচ্ছি । চলতি বছরের ৫ই মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত চট্টগ্রামের বোয়াল-খালীতে মাত্র ৮ বছর বয়সী ইফতেখার মালীকুল মুশফিক কে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে ৩ জন মোল্লা। কারণ সে তার বড় ভাইকে হুজুরদের কৃত কুকর্ম আংশিক বলে দিয়েছিল। এসব ঘটনা বললে আসলে চোখে পানি চলে আসে।
প্রিয় পাঠক আপনার নিকটস্থ মাদরাসায় খোঁজ নিন। মাদ্রাসার কোমল-মতি শিশুদের সাথে কথা বলুন। কোন সন্দেহ হলে সাথে সাথে প্রতিবাদ করুন।জনগণের অনুদানে পরিচালিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উগ্রবাদী যৌন বিকৃতদের তাড়িয়ে দিন। ধর্মশিক্ষার জায়গা হোক পবিত্র। আসলে অনেক কিছু লেখা যায় কিন্তু লিখতে ইচ্ছা করছেনা। এখন পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন কে বেশী পবিত্র ? সানি লিওনা নাকি বাংলাদেশী হুজুর নামক শিশু ধর্ষক গন । সানি তো মাদ্রাসার হুজুরদের মত মুখোশ পড়েনি। তাই আমি মনে করি সানি এসব হুজুর নামধারী ধর্ষকদের চেয়ে বেশী পবিত্র।
বিঃদ্রঃ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, ফেসবুক ও ইউটুভ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১ম ছবিটি গুগল থেকে ২য় ছবিটি ব্যক্তিগত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


