নরওয়ে ডিপ্লোমেট সিডসেল ব্লেকেন এর নাম অনেকেই জানেন। অনেকেই চিনেন উনাকে।আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। চট্টগ্রামে একবার কিছু প্রোগ্রামে এটেন্ড করতে এলে কোম্পানির তরফ থেকে উনাকে রেসপেকটিভ সিকিউর হসপিটালিটি এনসিউর করার দায়িত্ব পড়ে আমার উপর। চট্টগ্রামের লোকজন এমনিতেই অতিথিপরায়ণ তার উপর একজন এম্বাসেডর। যার কারণে ওয়েল অরগানাইজড ছিল সবকিছু।সেটিসফেকটেবল হস-পিটালিটি নিশ্চিত করার পর, সেটিফেকশান লেভেল মার্কিং করার সময় বলেছিলেন চিটাগাং ইজ দ্যা সিটি অফ বিউটি এন্ড হসপিটালিটি। মিটিং ও সেমিনার এটেন্ড করার পর ঘণ্টা দুয়েক চট্টগ্রাম শহর ঘুরে দেখানোর ও সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলায় নরওয়ের আর্থিক সহযোগিতায় একটা মঞ্চ নাটক উপভোগ করার সুযোগ হয়। কিছু আলাপচারীতা হয়।৬৩ বছর বয়সী ভদ্রমহিলা অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। কিছু নারীর কর্মকান্ড দেখে আজ উনার কথা খুব মনে পড়ছে। যখন একজন নারীরঙ্প্রকিছু আচরণ তার প্রতি আমার সম্মানটাই নষ্ট করে দিচ্ছিল তখন এই নারীটির মুখ খুব বেশি মনে পড়ছে। ব্লেকেন মাম এর একটা কথা এখনো কানে বাজে-
" সে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নারীদের মধ্যে একজন, যে সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন ভাবে হাসে যে, কেউ কল্পনা পর্যন্ত করতে পারবেনা গতরাতে সারারাত সে কেঁদেছিল"
আমাদের সাথে এক আপু পড়ালেখা করতেন। আমার ৫ বছরের সিনিয়র। খুব সম্মান করতাম। কোন সিনিয়র আপুর উপর ক্রাশ খাওয়া ঠিক নয় ,নাহলে ক্রাশই খাইতাম। আচার আচরণ ছিল শিশুসুলভ। কেউ বুঝতে পারবেনা তিনি আমার সিনিয়র। আজ আপুটার সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল। কারণ আপু দেখতে অনেক সুন্দর ক্লাসি কিন্তু অপরের সুখ দেখতে পারেনা। কোন কারণ ছাড়াই মানুষের সাথে ঝগড়া করে। আবার কিছুক্ষণ পর ঠিক হয়ে যায়। কি কারণে ঝগড়া করে আবার কিভাবে ঠিক হয় আমি জানিনা। আপু ভার্সিটি যাওয়ার সময় সাঁটল ট্রেনে ঝগড়া করেননি এরকম কোন দিন নেই। আপুটা মেয়েদের খুব দেখতে-পারতেন, স্নেহ করতেন, ছেলেদেরও করতেন। কিন্তু কিছু কিছু ছেলেদের কেও জেলাস করতেন। ছেলেদের কেন জেলাস করতেন এই গোলক ধাঁধার রহস্য আজ অবধি আমি আবিষ্কার করতে পারিনি।
যাই হোক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ হলো আমার সম্মানের একজন বড়ভাই এর লেখার কলম টা উনি ভেঙ্গে ফেলসেন। আপুকে কি করে বুঝাই? কারো কাছ থেকে তার প্রিয় জিনিস কেড়ে নিতে নেই। মানুষের চোখের পানির অভিশাপ থেকে কারো নিস্তার নেই। এমন কাউকে আমি আর কখনো সম্মান করবোনা বা ভালোবাসবনা যে অন্যের বাক স্বাধিনতা কেড়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়েই সমাধান করা উচিত। সাময়িক জয় লাভ করার জন্য বহিরাগত দের আনা হলে ক্যম্পাস থেকে কখনো বিশৃঙ্খলা যাবেনা। আমি আপুকে চিনি। ২ দিন যেতে না যেতেই যার লেখার কলম কেড়ে নিয়েছে উনার জন্য তার প্রাণ কাঁদবে। কিন্তু আমি আর কথা বলবনা উনার সাথে এই অভ্যাসটা বাদ না দেয়া পর্যন্ত। ক্যাম্পাসে লীগ থাকবে , দল থাকবে, জাসদ থাকবে, বাসদ থাকবে। শুধু একদল থাকলে কোন মজা নেই।
১ম ছবিতে ছোটবোন মডেল মায়শা ফেসবুক থেকে। ও ২য় ছবিতে সিডসেল ব্লেকেন।