ফেসবুকে দেখলাম গ্রামীণ আমেরিকার ব্রান্ড এম্বাসেডর হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জেনিফার লোপেজ। গ্রামীণ নাম দেখেই মোল্লা ব্যতীত সকলেই বুঝে গেসেন এর প্রতিষ্ঠাতা আমাদের ডক্টর ইউনুছ। চাইটগাইয়া ভাষায় আরার ইনুছ। ব্রান্ড এম্বাসেডর হওয়ায় লোপেজ খুবই পুলকিত ও উচ্ছ্বাসিত এমনটাই লিখেছেন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। গ্রামীণ আমেরিকা হচ্ছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুস ২০০৮-এ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামীণ আমেরিকা পরিচালনা করেন এ্যভন এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং সিইও আন্দ্রেয়া জুং। প্রতিষ্ঠানটি ঋণদান, সঞ্চয় পদ্ধতি, আর্থিক শিক্ষা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রধান করে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। অবশ্যই ঋণ গুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায় গঠনে ব্যবহার করতে হয়।গ্রামীণ আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত ঋণের অর্থ আয়-বর্ধক ব্যবসা শুরু কিংবা ব্যবসার বৃদ্ধিতে ব্যবহার করতে হয়। সাধারণ ব্যবসাগুলোর মধ্যে রয়েছে খাবারের দোকান, ফুলের ঝুড়ি, দর্জি,গহনা, কারুশিল্প এবং সেলুন অন্যতম।
জেনিফার লুফেজ এর মতো একজন বিশ্ববিখ্যাত সেলেব্রিটি একজন বাঙালীর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ আমেরিকার ব্রান্ড এম্বাসেডর হওয়া দেশের জন্য যেমন অনেক বড় সম্মানের ঠিক তেমনি পদ্মা সেতুও আমাদের অহংকার।
অভিযোগ উঠেছিল হিলারিকে দিয়ে পদ্মা-সেতুর টাকা আটকে দিয়েছিল ডঃ ইউনুছ !! তাঁর এতো ক্ষমতা !! ঘটনা যদি সত্য হয় তবে তাহা খুবই দুঃখজনক। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেনপদ্মা সেতু, আমি মনে এটা আমাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে, টেকনোলজির প্রতি দেশের মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারবো। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে এই ধারণাটা, এটাই বাংলাদেশের মর্যাদা সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে। ড. ইউনুস একটা এমডি পদের লোভে হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে এই পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করিয়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন যে আমরা এখানে তাদের শর্ত মেনে নেবো। কিন্তু আমি শেখ মুজিবের মেয়ে, অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি, করবো না। এই দেশকে এই দেশের মানুষকে ভালোবাসি। দেশের মানুষের মাথা হেট হোক এই কাজ কোনো দিন করবো না।
ডঃ ইউনুছ এর উচিত প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা। যদিও তিনি দেশকে যা সম্মান এনে দেয়ার এনে দিয়েছেন। কিভাবে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এরপরও উনার অবস্থান থেকে উনার দেশের জন্য সেরাটা দিতে হবে।
একটা অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি । আমাদের বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪র্থ বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। ফলে আমাদের কিছু কিছু মা বাবা নিয়ত করে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় দিবে। কিন্তু আমাদের দেশে শিশুদের মাদ্রাসায় পাঠানোর পরিবেশ কি আছ!! সমস্ত ভালো ও প্রকৃত আলেমদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি কোরানে একটা আয়াতও কি দেখাতে পারবেন যেখানে বলা হয়েছে ছেলেদের মাদ্রাসায় পাঠাও। কখনোই না। বলা হয়েছে আলেম বানাও। দুঃখের বিষয় হল আলেম বলতে আমাদের হুজুরগণ আমাদের শিখিয়েছেন যারা মাদ্রাসা থেকে আলিম কামিল ইত্যাদি পাশ করে তাদের আলেম বলা হয়। অথচ আরবি গ্রামার অনুযায়ী তারাই হলেন আলেম যারা প্রকৃত জ্ঞানী।প্রকৃত জ্ঞানী বলতে কি শুধু মাদ্রাসা থেকে যারা পাশ করে তারা ? প্রশ্নই তো আসেনা। আলেম শব্দের অর্থ যদি জ্ঞানী হয় তবে আজকের দিনের সব বিজ্ঞানীরা শ্রেষ্ঠ আলেম। কুরানেই নাকি বলা আছে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীনে যাও। আমাদের দরকার মুসলিম বিজ্ঞানী, মুসলিম খেলোয়াড় ইত্যাদি যারা মুসলিম বিশ্বকে পৃথিবীতে রিপ্রেজেন্ট করবেন।
ছবি ও তথ্য সূত্র - গুগল ও উইকি
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫