
ছবি - সুগার ড্যাডি নামক বানানো একটি ইউটব ভিডিও থেকে।
আসুন প্রথমে জেনে নেই সুগার ড্যাডি আসলে কি?
সুগার ড্যাডি হল সে সব ধন কুবের যারা একান্তই নিজের মতো করে সময় কাটানোর জন্য নিজের মেয়ের বয়সী একটি মেয়েকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়ে থাকেন, এবং সে মেয়েকে টাকার বিনিময়ে নিজের মতো করে পান। এতো টুকু ভদ্র ভাষায় বললাম। একটু অভদ্র ভাষায় বলি, যে সকল পুরুষ টাকার বিনিময়ে নিজ মেয়ের বয়সী একটি মেয়েকে কিনে নেয়, তাকে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করে তাকে সুগার ড্যাডি বলা হয়।
সুন্দর মেয়েরা সুগার ডেডি কেন রাখেঃ
ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে অধিকাংশ সুন্দর মেয়েদের সুগার ড্যাডি মেন্টেন করার এক দুঃখজনক ও হতাশাজনক ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। এই ট্রেন্ড শুরু হওয়ার প্রধান কারণ হলো এখনে মেয়েদের মাথায় ঢুকে গেসে যেভাবেই হোক না কেন? একটা লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করতেই হবে। দেশের এক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুখোড় মেধাবী ও সুন্দর মেয়ে সুপার ডেডি মেন্টেন করে শুধুমাত্র ফিনানশিয়াল সিকিউরিটির জন্য। যারা এসব ধন কুবের সুপার ডেডি মেন্টেন করে তাদের লাইফ স্টাইল দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। যেমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের বাবা যতই ধনি হোকনা কেন? তিনি মেয়েকে প্রতিদিন লা মেরিডিয়ানে লাঞ্চ ডিনারের খরচ দিবেন না। যে সব ধন কুবের এই পোস্ট পড়ছেন তাদের কাছে প্রশ্ন দিবেন আপনার মেয়েকে প্রতিদিন দেশের লাক্সারিয়াস সব হোটেল/রেস্তোরাঁয় চেক ইন দেয়ার খরচ?হয়তো অনেকেই বলবেন, বয়ফ্রেন্ড দেয়। অসম্ভব। ২২/২৫ বছরের বয়সের মেয়েদের বয়ফ্রেন্ড এর বয়স হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। এই বয়সে খুব কম ছেলের পক্ষে তার জি এফ কে এভাবে ফাইনানশিয়াল সাপোর্ট দেয়া অসম্ভব। আর ২৭-৩০ বছ বয়সে একটি ছেলে বিয়েই করে, গার্ল ফ্রেন্ড মেন্টেন করবে কেন? যেখানে ৯৭% রিলেশনশিপই ফেক। যে সব মেয়েরা সুগার ডেডি মেন্টেন করে তাদের পার্সে যে পরিমাণ টাকা থাকে তা অবশ্যই বাংলাদেশে আপনার মাসিক ইনকামের চেয়ে বেশী। একটি মেয়ের একাধিক সুগার ড্যাডি থাকতে পারে। সুতরাং এটা নিশ্চিত মেয়েরা নিজস্ব বেনিফিট এর কারণে বয়ষ্ক পুরুষদের সাথে শারিরীক ও ও মানসিক সম্পর্ক করে থাকে।
কিভাবে এটা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে সর্বনাশ করে দিচ্ছেঃ
দেখুন এই সুগার ডেডিগণ কারো না কারো স্বামী, কারো না কারো পিতা। এরা নিজ স্ত্রীকে শুধু ঠকাচ্ছেনা, নিষ্পাপ সন্তান্দের সাথেও অন্যায় করছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এদের মেয়েরাও একদিন সুগার ড্যাডি মেন্টেন করবে।একজন বয়ষ্ক পুরুষ যখন একটি কম বয়সি নারীর প্রতি ঝুঁকে তখন আস্তে আস্তে তার নিজস্ব স্ত্রী কে ইগনোর করতে থাকে। খুব কাছের মানুষের ইগনোর সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। যারা একান্তই অসাহায় হয়ে সব মেনে নিতে বাধ্য হয় তাদের ভেতরটা মরে গেসে সে কবে। তারা যেন অনুভুতি হীন এক একটি ডামি। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনে।আজ ডিভোর্স এর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। আমাদের ব্লগের ২ ব্লগার ডিভোর্সড হওয়ার কারণে বিষন্নতায় ভুগসেন। পরিবার গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু স্বামী বা স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি অনিহা। মেন্টাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং না হওয়ার কারণে অন্য নারীর মাঝে সুখ খোজে। ফলে সম্পর্ক গুলো নষ্ট হয়ে যায়। ঘর সংসার গুলো ভেঙ্গে যায়। অনেক মেয়ে পারিবারিক কলহ, প্রেমে ভাঙন, মানসিক অশান্তি, একাকীত্ব, বয় ফ্রেনফ্রেন্ডের তার চেয়ে বেশি সুন্দর মেয়ের প্রতি দুর্বলতা, ড্রাগ এডিকশান থেকে সুগার ডেডি মেন্টেন করে।
একজনের প্রতি অন্যজন জুলুম করে। প্রকৃতি সব ক্ষমা করলেও জুলুম ক্ষমা করে না। মানুষ ঠকানো ও জুলুমের রিটার্ন প্রকৃতি খুব ভয়ংকর ভাবে দিয়ে থাকে। সম্পর্ক গুলো টিকে থাকুক। এমন সর্বনাশা বিধ্বংসী সংস্কৃতি বাংলাদেশের মতো একটা দেশে একটা মহামারী, আপনার কন্যা, স্ত্রী ও ভালো বাসার মানুষের যত্ন নিন।
সুগার ড্যাডি নিয়ে চমৎকার ভিডিও টি দেখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



