
নারী ন্যাচারাল লুকে বেশি সুন্দর হলেও বাস্তবতা তাদের মেকআপ সুন্দরী বানায়।পুরুষ যতই বলুক না কেন, নারী দেখতে নেচারালি সুন্দর, মেক আপ সুন্দরীদের বাজে দেখায়,সেগুলো মিথ্যা কথা। প্রতিটি পুরুষই নারী কে সুন্দর রূপে দেখতে চায়।নেচারাল লুকে খুব কম মেয়ে কেই মেক আপ সুন্দরীর চেয়ে বেশি সুন্দর দেখায়। যতই মহাপুরুষ ভান ধরুক না কেন চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল থাকলে, ফেস তৈলাক্ত থাকলে অধিকাংশ পুরুষ নাক উঁচা করে।
মেকআপ এর জন্য আইলাইনার, শ্যাডো, হাইলাইটার, ফাউন্ডেশন সহ মেকআপের অনন্ত ফিরিস্তি নিয়ে আয়নার সামনে মেয়েরা প্রচুর সময় দেয়।এটা খুবই দুঃখজনক। কারণ এখন অধিকাংশ মেয়েরা মেক আপ করে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে রিপ্রেজেন্ট করে ছেলেদের চোখে সুন্দর দেখানোর জন্য। এটা ঠিক নয়।বুঝতে হবে সৌন্দর্য ভেতর থেকে প্রতিফলিত হয়।মন সুন্দর হলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে সুন্দর লাগে।কারো জন্য নিজেকে সুন্দর করা পুওর পারসোনালিটির বৈশিষ্ট্য।
এটা সত্য যে, পরিমিত, সিম্পল ও ন্যাচারাল মেকআপ ছাড়া খুব কম নারী ঘর থেকে বের হয়। একেবারে মেক আপ ছাড়া শুধুমাত্র সে সব মেয়েরা ঘর থেকে বের হয়, যারা ভেতর থেকে কনফিডেন্ট, স্মার্ট এবং আত্ম নির্ভর শীল।এই ধরণের মেয়েরা আমার খুব প্রিয় ও সম্মানিত আমার কাছে। আমার অধিকাংশ মেয়ে বন্ধু এরকম। (মডেলরা ছাড়া)|আসলে মেক আপের মাধ্যমে একটি মেয়ে/ছেলে সম্পূর্ণ চ্যাঞ্জ করা যায়।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে অধিকাংশ মেয়ের ড্রিম বয় বিসিএস ক্যাডার(ক্ষেত হলেও সমস্যা নাই) বা ৬ ডিজিট সেলারি পাওয়া ধনী ছেলে অথবা লম্বা ফর্সা বিল্ডার ছেলে। ফলে ড্রিম বয় পাওয়ার জন্য মেক আপ এর আশ্রয় নেয়।
তবে টু বি ভেরি অনেস্ট, মেক আপ যেন একটা যাদু।এক একজন মেক আপ আর্টিস্ট যেন এক একজন যাদুকর। ব্রাইডাল, পার্টিমেক আপ অনেকেই করতে পারেন, একটু প্রাকটিস করলে ২/৩ মাস টিউটোরিয়াল করলে, ট্রেনিং নিলে যে কেউ মেক আপ আর্টিস্ট হতে পারেন। তবে অনন্য শৈল্পিক হলো ফ্যাশন মেক আপ।এটা শেখা সহজ কাজ নয়। প্রচুর সাধনা করতে হত।এই মেক আপ শিল্পীদের হাতে সত্যি যাদু আছে।আপনার বয়স কতো এটা কোন ব্যাপারই না। এমন ভাবে এরা মেক আপ করে বয়স রেগুলারের ৭/৮ বছর কম দেখাবে।বেশি দূর যেতে হবেনা। জয়া আহসান প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট।
যাদুকরী মেক আপ দেখুনঃ
১)

ছবি- নগর বাউল জেমস
মডেল- জুই।
মেকাপ- ভুবন
২)
একই মডেলের আরেকটি মেকআপ দেখুনঃ

ছবি- আমি।
তবে অতিরিক্ত সবকিছুই বিশ্রী। অনেকে এমন ভাবে মেক আপ করে মানুষ নাকি পুতুল বুঝা যায়না।অফিস থেকে বের হয়ে একটু আফমি প্লাজা গেসি। মার্কেটটির পাশে যেখানে সিগারেট ও চা বিক্রি করে সেখানে দাঁড়িয়ে আছি। পরিচিত একজন পারসোনা থেকে ব্রাইডাল মেক আপ করছে। আমার সামনে পড়ার পর হাই দেয়ার পর চিনিনাই। ও নাম না বললে সত্যি চিনতাম না। আচ্ছা এই মেক আপ ৮ ঘণ্টা পর চলে যাবে। তখন তো আসল রূপ টা দেখবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। হুদাই নিজেরে পুতুল বানালো কেন? এদের দেখে জেমসের 'ও সে রঙ করা পুতুল' গানটি মনে পড়ে। আসলে অরজিনাল টাই ক্লাসি। ফেক সবকিছুই জঘন্য। বি রিয়েল। রঙ করা পুতুলের মতো হলে রঙ চলে গেলে অবেহেলিত হতে হবে হয়তো।দুঃখের বিষয় অধিকাংশ ফেকদের পেছনে ছুটে প্রতারিত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




