
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন - ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন - ওর নাম তানজিয়া জামান মিথিলা। আমার চোখে বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ফিমেল র্যাম্প মডেল। গতবছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে বাংলাদেশ কে রিপ্রেজেন্ট কিরা একমাত্র ফ্যাশন মডেল সে। একটা কারণেই সে শ্রেষ্ঠ কারণ সে অন্য কেউ শ্রেষ্ঠ হলে তাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা রাখে। ওর সাথে সর্বশেষ কাজ হয়েছে ২০২১ সালে। ও বাংলাদেশের একমাত্র মডেল যে পবিত্র রমজান মাসে হাজার হাজার মানুষকে খাবার কিনে খাওয়ায়। যে মেয়েগুলো ছেলেদের সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিল পে করে তাদের মত স্মার্ট আর কেউ নেই। মিথিলা ওরকম। কখনই আমি অন্য স্টারদের তাকে হিংসা করতে দেখিনি। অথচ ওরে কম বেশী সবাই হিংসা করে। মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট সে উপকার করে ছোট লোকদের মতো খোটা দেয়না।
সেরারা নিজ যোগ্যতায় ও গুণাবলীর কারণেই সেরা। আমরা মানুষ। রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। আমাদের আবেগ আছে। অনুভূতি আছে। আমাদের ব্লাডে হিংসা আছে। অন্যকে হেয় ও ছোট করার বিশ্রী ভাইরাস আছে। একজন সফল মানুষকে টেনে নীচে নামিয়ে ফেলার ঘৃণ্য মানসিকতা আছে।
কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে নিজ গুণে ও যোগ্যতা বলে সেরা। দেশের ৯৮% মানুষ অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না। কারও ভালো দেখলেই তাদের জ্বলে। তো ২% অসাধারণ মানুষের কথা বলতেছিলাম। এরা আমার কাছে সেলিব্রেটি। কারণ এরা অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে। অন্যের সফলতাকে এপ্রিসিয়েট করতে পারে। অন্যের সুখে হাসে অন্যের দু:খে কাঁদে।
আমি এই ব্লগে এসে দেখেছি একজন মানুষ কতটা হিংসাত্মক আচরণ করতে পারে শুধু মাত্র মতের অমিলের কারণে বা ব্যক্তিগত ভাবে অপছন্দের কারণে। আমি শতাধিক অনলাইন ইনফ্লুয়েঞ্জার এর সাথে সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কানেক্টেড। অনেকের সাথে কাজও করা হয়েছে। আমি দেখেছি এদের অধিকাংশই একে অপরকে হিংসা করে। টেনে নীচে নামিয়ে ফেলতে। ইউটুবার সালমান মুকতাদির ও তাহসিনেশান এর একে অপরের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ আমি দেখেছি। কথায় আছে এক কুকুর নাকি আরেক কুকুরের খাবার দেখতে পারেনা ফলে কামড়াকামড়ি করে। মানুষ তো আর কুকুর নয় সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা কেন কুকুরের মত আচরণ করব?
হ্যাঁ এটা সত্য যে আমাকে কোন কুকুর কামড়ালে আমি তাকে উলটো কামড় দিতে না পারলেও একটা লাথি মারি। কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায় এই থিউরি আমি মানিনা। বর্তমানে সে থিউরি মানলে এতো বেশী পরিমাণের কুকুর বেড়ে গিয়েছে যে আপনাকে কামড়িয়ে ছিড়ে ফেলবে।
নীচের স্ক্রিনশটটি দেখুন। বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রডিউসার মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী "মহানগর' ফিল্ম এর প্রডিউসার "আশফাক নিপুণকে" কি অসাধারণ ভাবে ইনস্পায়ার করছেন।কিভাবে "মহানগর - ২" এর ব্রান্ডিং করে দিচ্ছেন। এখানে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর শ্রেষ্ঠত্ব। সহকর্মীর সাথে ইথিক্যাল প্রতিযোগিতা করে তার সফলতাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা সবার নেই। যাদের আছে তারাই শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়।
আমাদের অনেক ব্লগার এখন ফেসবুকে লিখেন। ব্লগে আসেন না। আমি কোন ব্লগার নই। আমি এখানে লেখা না লেখা সমান। তবে একজন ডেডিকেটেড এক্টিভিস্ট আমি।সময় পেলেই সর্বপ্রথম ব্লগে আসি।সিন্ডিকেট লিডারের মাল্টি থেকে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ এর ফলে ব্লগে লেখার ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলতে হচ্ছে। কতজন এভাবে ব্লগের প্রতি ইন্টারেস্ট হারিয়ে লেখা বন্ধ করে অনিয়মিত হয়ে গেছে তার হিসেব নেই।
ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ বিরোধের পোস্টে আসে। সেখানে অযৌক্তিক ভাবে লেখা হয় ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ করে শুধু একজন। ৪/৫ জন ছাড়া অধিকাংশ সে হাস্যকর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে। কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করলে সিন্ডিকেট করে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ করে। সাইবার আইন অমান্য করে ব্যক্তিগত বিষয় ব্লগে নিয়ে আসে নর্দমার নোংরা কীট গুলো।মাল্টি থেকে ব্লগিং করে এই নোংরামি গুলো করে থাকে বাস্টার্ড গুলো। ফলে আইনের আশ্রয় নেওয়া যায় না। এটারই সুযোগ নেয় ওরা।
অনেক ব্লগার ফেসবুকে ব্লগে সেলেব্রিটি ব্লগার হওয়ার ভান ধরে। অথচ এই শিক্ষাটা অর্জন করেনি যে - শ্রেষ্ঠ হওয়ার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল অন্য কেউ শ্রেষ্ঠ হলে তাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা। অন্য ব্লগারের ব্লগীয় ক্যারিয়ার যারা ধ্বংস করে দিতে চায়, হিংসাত্মক হয়ে কারও লেখার প্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে তাকে দল বেঁধে বিতাড়িত করতে চায় তারা কখনই শ্রেষ্ঠ হতে পারে না।
নোট:
১) ব্লগে কোন সেলিব্রিটি নেই।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



