somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

ব্লগের সেলিব্রিটিরা মিডিয়া সেলিব্রিটিদের মতো না। -২

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন - ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন - ওর নাম তানজিয়া জামান মিথিলা। আমার চোখে বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ফিমেল র‍্যাম্প মডেল। গতবছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে বাংলাদেশ কে রিপ্রেজেন্ট কিরা একমাত্র ফ্যাশন মডেল সে। একটা কারণেই সে শ্রেষ্ঠ কারণ সে অন্য কেউ শ্রেষ্ঠ হলে তাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা রাখে। ওর সাথে সর্বশেষ কাজ হয়েছে ২০২১ সালে। ও বাংলাদেশের একমাত্র মডেল যে পবিত্র রমজান মাসে হাজার হাজার মানুষকে খাবার কিনে খাওয়ায়। যে মেয়েগুলো ছেলেদের সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিল পে করে তাদের মত স্মার্ট আর কেউ নেই। মিথিলা ওরকম। কখনই আমি অন্য স্টারদের তাকে হিংসা করতে দেখিনি। অথচ ওরে কম বেশী সবাই হিংসা করে। মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট সে উপকার করে ছোট লোকদের মতো খোটা দেয়না।

সেরারা নিজ যোগ্যতায় ও গুণাবলীর কারণেই সেরা। আমরা মানুষ। রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। আমাদের আবেগ আছে। অনুভূতি আছে। আমাদের ব্লাডে হিংসা আছে। অন্যকে হেয় ও ছোট করার বিশ্রী ভাইরাস আছে। একজন সফল মানুষকে টেনে নীচে নামিয়ে ফেলার ঘৃণ্য মানসিকতা আছে।

কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে নিজ গুণে ও যোগ্যতা বলে সেরা। দেশের ৯৮% মানুষ অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না। কারও ভালো দেখলেই তাদের জ্বলে। তো ২% অসাধারণ মানুষের কথা বলতেছিলাম। এরা আমার কাছে সেলিব্রেটি। কারণ এরা অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে। অন্যের সফলতাকে এপ্রিসিয়েট করতে পারে। অন্যের সুখে হাসে অন্যের দু:খে কাঁদে।

আমি এই ব্লগে এসে দেখেছি একজন মানুষ কতটা হিংসাত্মক আচরণ করতে পারে শুধু মাত্র মতের অমিলের কারণে বা ব্যক্তিগত ভাবে অপছন্দের কারণে। আমি শতাধিক অনলাইন ইনফ্লুয়েঞ্জার এর সাথে সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কানেক্টেড। অনেকের সাথে কাজও করা হয়েছে। আমি দেখেছি এদের অধিকাংশই একে অপরকে হিংসা করে। টেনে নীচে নামিয়ে ফেলতে। ইউটুবার সালমান মুকতাদির ও তাহসিনেশান এর একে অপরের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ আমি দেখেছি। কথায় আছে এক কুকুর নাকি আরেক কুকুরের খাবার দেখতে পারেনা ফলে কামড়াকামড়ি করে। মানুষ তো আর কুকুর নয় সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা কেন কুকুরের মত আচরণ করব?

হ্যাঁ এটা সত্য যে আমাকে কোন কুকুর কামড়ালে আমি তাকে উলটো কামড় দিতে না পারলেও একটা লাথি মারি। কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায় এই থিউরি আমি মানিনা। বর্তমানে সে থিউরি মানলে এতো বেশী পরিমাণের কুকুর বেড়ে গিয়েছে যে আপনাকে কামড়িয়ে ছিড়ে ফেলবে।

নীচের স্ক্রিনশটটি দেখুন। বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রডিউসার মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী "মহানগর' ফিল্ম এর প্রডিউসার "আশফাক নিপুণকে" কি অসাধারণ ভাবে ইনস্পায়ার করছেন।কিভাবে "মহানগর - ২" এর ব্রান্ডিং করে দিচ্ছেন। এখানে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর শ্রেষ্ঠত্ব। সহকর্মীর সাথে ইথিক্যাল প্রতিযোগিতা করে তার সফলতাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা সবার নেই। যাদের আছে তারাই শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়।

আমাদের অনেক ব্লগার এখন ফেসবুকে লিখেন। ব্লগে আসেন না। আমি কোন ব্লগার নই। আমি এখানে লেখা না লেখা সমান। তবে একজন ডেডিকেটেড এক্টিভিস্ট আমি।সময় পেলেই সর্বপ্রথম ব্লগে আসি।সিন্ডিকেট লিডারের মাল্টি থেকে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ এর ফলে ব্লগে লেখার ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলতে হচ্ছে। কতজন এভাবে ব্লগের প্রতি ইন্টারেস্ট হারিয়ে লেখা বন্ধ করে অনিয়মিত হয়ে গেছে তার হিসেব নেই।

ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ বিরোধের পোস্টে আসে। সেখানে অযৌক্তিক ভাবে লেখা হয় ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ করে শুধু একজন। ৪/৫ জন ছাড়া অধিকাংশ সে হাস্যকর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে। কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করলে সিন্ডিকেট করে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ করে। সাইবার আইন অমান্য করে ব্যক্তিগত বিষয় ব্লগে নিয়ে আসে নর্দমার নোংরা কীট গুলো।মাল্টি থেকে ব্লগিং করে এই নোংরামি গুলো করে থাকে বাস্টার্ড গুলো। ফলে আইনের আশ্রয় নেওয়া যায় না। এটারই সুযোগ নেয় ওরা।

অনেক ব্লগার ফেসবুকে ব্লগে সেলেব্রিটি ব্লগার হওয়ার ভান ধরে। অথচ এই শিক্ষাটা অর্জন করেনি যে - শ্রেষ্ঠ হওয়ার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল অন্য কেউ শ্রেষ্ঠ হলে তাকে এপ্রিসিয়েট করার মানসিকতা। অন্য ব্লগারের ব্লগীয় ক্যারিয়ার যারা ধ্বংস করে দিতে চায়, হিংসাত্মক হয়ে কারও লেখার প্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে তাকে দল বেঁধে বিতাড়িত করতে চায় তারা কখনই শ্রেষ্ঠ হতে পারে না।

নোট:
১) ব্লগে কোন সেলিব্রিটি নেই।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক
দায়হীন সরকারের শাসনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?


দিপু চন্দ্র দাস মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন—
“আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি, আমাকে মারবেন না।”
রাষ্ট্র তখন কোথায় ছিল?

আগুনে পুড়তে পুড়তে ছোট্ট আয়েশা চিৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×