
শিশুরা আমার সবসময় প্রিয়। তাদের খুব ভালোবাসি। আমাদের পাড়ার মসজিদে একটি মাদ্রাসার ৮০/১০০ জন ছাত্র একই সাথে জুমাহ এর নামাজ পড়তে আসে। সবার গায়ে পাঞ্জাবি ও মাথায় পাগড়ি থাকে। আমি যখন ছোট বেলায় গ্রামে যেতাম তখন দেখতাম আমার দাদু মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য রমজান মাসে প্রাই প্রতিদিনই ইফতারের সময় কিছু না কিছু রান্না করে পাঠাতেন। চট্টগ্রামের মানুষ এমনিতেই খুব ধর্মপ্রাণ। ধর্মপ্রাণ হওয়া কোন অপরাধ নয় ধর্মান্ধ হওয়া।
কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে অনেকে দেখেছেন যাকাত নাকি শুধু মুসলিম দেরকেই দেয়া যাবে। আমাদের ব্লগের সম্মানিত মডারেটর এই বিষয় নিয়ে সুন্দর পোস্ট লিখেছেন। অন্য ধর্মের লোকদের যাকাত দিয়ে সহযোগিতা করা যাবে না কি ভয়ংকর মিথ্যাচার। কি জঘন্য ভাবে ইসলামকে হেয় করছে এক শ্রেণীর ইতর।

আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রিয় বন্ধুর নাম লিনা।পেশায় একজন মডেল ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার। আজ ইফতারে ওর বাসায় আমার দাওয়াত ছিল। গিয়ে দেখি নিশপাপ পবিত্র কিছু রোজাদার ক্ষুদে ইমামকে দাওয়াত করা হয়েছে। ইফতারের আগে সাউন্ড প্লেয়ার থেকে পবিত্র কোরানের আমার সবচেয়ে প্রিয় সুরা সুরা ওয়াকিয়ার সুমধুর সুর ভেসে আসছিল। কি পবিত্র ও সুন্দর একটি মুহুর্ত ছিল।
ব্লগে অনেক সহব্লগার (বিম্পি ভেক ধরা জংগী জামাত আমাকে ভুল বুঝলে কিছু যায় আসেনা) আমাকে ভুল বুঝেন কাঠমোল্লাদের গদাম দেই বলে। গদাম দেয়ার পেছনে অত্যন্ত যৌক্তিক কারণ আছে। আপনি যদি মাদ্রাসায় যান তবে এই নিশপাপ শিশু গুলোর দিকে তাকালে আপনার চোখে পানি চলে আসবে। এদের উপর কথিত হুজুরগুলো বিশেষভাবে করে এতিম শিশুগুলোর উপর এতো অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে যে আপনার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে।
ভালো হুজুর বা ইমাম যে একেবারে নেই তা নয় তবে অধিকাংশই শিশু ধর্ষক। এদের গদাম দেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। আমাদের মা বাবা গুলো জান্নাতের লোভে সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়তে পাঠান। অথচ কোরানে বলা হয়েছে জ্ঞান আহরণ করার জন্য। মাদ্রাসাতেই পড়তে হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

ফুড ডেকোরেশন ও ছবি - আমি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



