
মাইশা।বয়স ২৪।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সদ্য গ্রাজুয়েট হয়েছে। ভালো ফেসবুক রীল ও ভিডিও কনটেন্ট বানাতে পারে।।পরিবারের বড় মেয়ে। ছোট একটি বোন আর মা-বাবা নিয়েই ফ্যামিলি। এতোদিন বাবা একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করত।মাইশা ২ টি টিউশন করত। বোনটি এইবার এইচ এস সি পাস করেছে। দুই বোনই মারাত্মক ক্রিয়েটিভ। বেশ কিছুদিন ধরে নিজেই ব্যাবসায়ীক ভাবে লস খাওয়ার কারণে নিজেই অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। গত ৩ বছর ব্যাবসা না হওয়ার কারণে ব্যাবসায়ীক ক্ষতি পোষাতে ও দেনা শোন করতে আরও সময় লাগবে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমারও বিশ্ববিদ্যালয়।একটি ফটোশ্যুটের পারপাসে চবির ফাইন আর্টস ডিপার্ট্মেন্টের কলা জুবরিতে চা বিড়ি খাচ্ছিলাম। এর মধ্যে মাইশা এলো। সালাম দিল। ভিষণ ভদ্র এবং ভিষণ স্মার্ট। তার সব কথা বলল। আরও বলল আমি খুব ভালো ফ্যাশন ডিজাইন করতে পারি, তার ডিজাইন করা একটা কাপড় দেখালো। দেখলাম খুবই সুন্দর। শুধু একটু সাপোর্ট দরকার। যেহেতু শ্যুট পারপাসে গেসি মেক আপ ক্যামেরা লাইট লোকেশন মডেল সব রেডি করাই ছিল। ফ্রীতে শ্যুট করে দিলাম। সেই সূচনা। ঐদিনি নিজস্ব ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে। ছবিটি আপলোড করে। কথায় আছে রিজিকের মালিক আল্লাহ। বিশ্বাস করুন এই ঈদে এতো রেসপন্স পেয়েছে যে তার সৃষ্টি করা "H A Y A B Y M এখন শহরের একটি পরিচিত বুটিক। কারও ভালো লাগলে অবশ্যই তার কাছ থেকে ড্রেস নিবেন। ড্রেসগুলো ভিষণ ক্লাসি।
ওর ছোট বোন সানা। এক অসাধারণ ট্যলেন্ট। অত্যন্ত চমৎকার ভিডিও ব্লগ বানায়।। আমি পরামর্শ দিলাম প্রফেশনালি ব্লগ বানাতে। কিন্তু নতুন মানুষ প্রফেশনালি কাজ পাবে কোথায়! এর জন্য তো সুযোগ দরকার। পরিচিতি দরকার। আমি যে ফ্যাশন ম্যাগাজিনটি বের করি, "স্পেল্পবাউন্ড" তা বাংলাদেশ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে মোটামুটি পরিচিত। আমার লাস্ট ম্যাগাজিন কাভার শ্যুটে তারে একটা সুযোগ দিলাম। ফুল শুটের একটা লাইভ করতে বললাম। একটা বিটিএস (বিহাইন্ড দ্যা শ্যুট) ভিডিও বানাতে বললাম। দুইটা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য ভিডিও কনটেন্ট বানাতে বললাম। ভিডিও গুলোর স্পেলবাউন্ড এর পেজ এর লিংক এ ক্লিক করলে দেখতে পারবেন।
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ওর নাম মাটি। ব্রোকেন হার্ট ও চিটেড। একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছে।ব্রেক আপ এর পর তার ছোট্ট মনটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছিল। বেঁচে থাকার ইনস্পায়ারেশনটাও ছিলো না হয়তো। তার সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ক্লাসে পড়ে আমাদের এক মডেল ও নাট্য অভিনেত্রী। মাটির সব ভুলে থেকে কর্মব্যস্ত থাকার জন্য তার পছন্দ মত একটা কাজ দরকার। তো সে মডেল জানে আমার দীর্ঘদিনের স্বভাব এধরণের কষ্ট পাওয়া ভেঙে পড়া ট্যালেন্ট গুলোকে সাপোর্ট দিয়ে স্ট্রং করে দেয়া। তার বান্ধবীর কথা বলল। জিজ্ঞেস করলাম তার কি কি প্রতিভা আছে। বলল ভালো গ্রাফিক ডিজাইনার ও নৃত্য শিল্পী।ভালো ।ভালো ফেসবুক রীল ও ভিডিও কনটেন্ট বানাতে পারে। ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য কয়েকটা রীল বানাতে বললাম। এটি সেগুলোর মধ্যে একটি।
এটা হল এবারের স্পেল বাউন্ড এর ঈদ ডিজিটাল কাভার। মাটি ডিজাইন করেছে। অনেক প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার কেও হার মানায়।

আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন প্রতিভা থাকে। শুধু একটু সুযোগ লাগে সে প্রতিভা বিকশিত করার। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এই সাপোর্ট টুকু দেয়ার মানসিকতা আমাদের রাস্ট্র, সরকার ও অধিকাংশ মানুষের নেই।সত্যি সেলুকাস বড়ই বিচিত্র এই দেশ!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




