
আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিশেষ করে হালাল ভাবে সৎ উপার্জন যারা করেন তারা কত খারাপ অবস্থাতে আছেন তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদহারন দেই। একজন মাঝবয়সী লোক। ফরমাল গেট আপ।কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। মুখটি শুকনো। তিনি চিন্তিত না ক্ষুধার্ত বুঝা যাচ্ছিলো না। চট্টগ্রামে স্যানমার ওশান সিটির একটি আগে জি ই সি ওভার ব্রিজের নীচে একটি টং দোকান বসে প্রতিদিন। এখানে আরও ২০টির মতো টং বসে। কিন্তু যে টং এর কথা বলছি সে টংটি স্পেশাল। কারণ সে টং এ একটা ব্যানার ঝুলিয়ে রাখছে টং ওয়ালা। ব্যানারে লেখা, "টাকা না থাকলে চুপি চুপি খেয়ে নিন, শুধু চা খেয়ে কাপটি দিয়ে যাবেন"। তো যে মাঝবয়সী লোকের কথা বলছি তার পকেটে টাকা নাই।তিনি টং এর সামনে দাঁড়িয়ে খাবেন কি খাবেন না দ্বিধায় আছেন। টং ওয়ালা কে আসলেই ক্ষুধার্ত কিন্তু টাকা নেই সেসব মানুষদের চিনতে বেশ অভিজ্ঞ। লোকটির দিকে - ১টি কলা ও একটি বাটারবান এগিয়ে দিল। ফিসফিসফিস করে বললো টাকা দিতে হবেনা।
এই লোক সিগারেটও খান। ঐ মুহুর্তে আমার প্যাকেট ৭ টি বেনসন লাইটস ছিল। দিয়ে দিলাম। এ শুধু একজন মধ্যবিত্ত মানুষের কথা বললাম। এরকম হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুধার্ত অবস্থায় খালি পকেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আল্লাহু আর রাজ্জাক তাঁর কোন সৃষ্টিকে না খাইয়ে রাখেন না। কিন্তু নির্মম দারিদ্রতা আমার দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত দের কি পরিমাণ কষ্ট দিচ্ছে তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়েনা।

এইবার এই ছবিটি দেখুন। টিভি - পত্রিকা - ফেসবুকে অলরেডি সবাই দেখেছেন যে, দূর্বিত্তরা একটা ট্রেনে আগুন দিয়েছে। সে ট্রেনে জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে মরে গেসে ৫ জন। ছবির লোকটি জানালা দিয়ে বের হতে যাচ্ছিলেন। শরীরের অর্ধেক বের হয়েছে বাকি অর্ধেক আগুনে পুড়ছে। ফেসবুকে পড়লাম একজন জ্বলন্ত ট্রেনের ভেতর থেকে বের হচ্ছেন না, তার স্ত্রী ও সন্তান পুড়ে গেছেন তাই তিনিও বাঁচতে চাননা।
উপরের ২ টি ছবির ১টিতে একজন টং ওয়ালা মানুষ রূপী ফেরেস্তার ভুমিকা পালন করছেন অন্য ছবি এই মানুষ নামধারী কিছু জানোয়ার অহেতুক কিছু অসহায় মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। যারা আগুন দিয়েছে তারা কোন টং দোকানের আড্ডাবাজ নয় ওরা কোন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ধনী ক পরিচয় ওয়ালা লোক। এরা মৌলবাদী জামাত অথবা হেফাজত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে। তবে বিএনপি অথবা স্বয়ং আওয়ামী লীগ কেও হলেও হতে পারে।
ভাবছি একটা মুভি বানাবো। মুভির নাম হবে - "শুধু গরীবরাই কেন মারা খায়?"
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




