৭-৮ বছর বয়সে প্রথমবার গ্রামের বাড়ী বেড়াইতে গেছিলাম।গ্রামে গিয়ে চারদিকে হাঁস,মুরগী,গরূ,ছাগলের মেলা দেইখা আমার মাথা পুরাই আউলায় গেলো।যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম প্রত্যেকদিন সকালে দাদার ছড়ি নিয়া বাইর হইতাম হরু,ছাগল খুঁচাইতে।একাজে আমারে সঙ্গ দিতো আমার বছরখানেকের ছোট চাচাতো ভাই।একদিন চাচাতো ভাই কোথেইকা যেনো কাঁটাওয়ালা দুইটা ডাল নিয়া আসলো গরু খুঁচানের জন্য।দুইজন মিলে উঠানে জাবর কাটতে থাকা এক গরুর পাছায় দিলাম খুঁচা।কাটাওয়ালা ডালের খোঁচা খায়া গরু তারস্বরে হাম্বা হাম্বা (পরে মনে হয়ছিলো গরুটা মনে হয় আম্মা আম্মা বইলা তার মা কে ডাকতেছিলো) করতে করতে উঠানে দাড়ানো আমার আম্মার দিকে ছঈটা গেলো।গরুর এহেন মারমুখী মেজাজ দেইখা আম্মা দিকবিদিক শুন্য হইয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে পুকুর ঘাটে গিয়ে বিকট শব্দে,"ইয়া আলী" কইরা চিৎকার কইরা চার হাত-পা শুন্যে তুইলা পুকুরে ঝাঁপ দিলো।আম্মার ইয়াআলী বইলা পুকুরে ঝাঁপায় পড়ার দৃশ্য দেখে ঐদিন মনে হইছিলো- বাংলা সিনেমার ভিলেন টাকলু জাম্বু যেন নায়কের উপর তার, 'সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচটন'শরীর নিয়া লাফ দিছে।যাই হোক পুকুরে হাঁটু পানিতে দাড়ায়া আম্মা চীৎকার কইরা বাবারে ডাক দিলো।আম্মার চীৎকার শুইনা দেখি বাবা সিনেমার নায়কের দৌড়াইতে দৌড়াইতে আম্মা কে বাঁচানের জন্য ঐ হাঁটু পানিতেই দর্শনীয় ভঙ্গীমায় লাফ দিলো।বহুৎ হাচঁরায়া-পাঁচরায়া বাবা আম্মাকে পাজাকোলা করে উঠানে নিয়া আসলে আম্মা সাথে সাথে ভাউয়া ব্যাঙ্গের মতো চিৎপাত হয়া শুয়া পড়লো।একটু পর আমি পরিশ্থিতি দেখতে গেলাম।আমাকে দেখার সাথে সাথে শোয়া থেইকা একলাফে উইঠা লাঠি খুঁজতে লাগলো।শেষমেষ কিছু না পেয়ে রান্নাঘরে রাখা একটা কলসী নিয়া মাথার উপর উঁচায়া আমারে দৌড়ানি দিলো।আম্মার এই রণঙ্গিনী মুর্তি দেইখা আমিও ভোঁ ভোঁ কইরা সোজা ক্ষেতের দিকে দৌড় মারলাম...........
দাদার বাসায় এক হুজুর লজিং থাকতো।বড় বড় লম্বা দাড়িওয়ালা ঐ হুজুরের প্রায়ই আমারে দেখলে কোলে নিয়া আদর করতো।হুজুরের কোলে নেওয়া সহ্য হইলেও তার শরীরের বোঁটকা ঘামের গন্ধে চোখমুখ উল্টায়া আসতো তাই হুজুরের কোলে উঠতে চাইতাম না।কিন্তু হুজুর আমাকে দেখলেই কোলে নিয়া অদ্ভুত ভঙ্গীতে শরীর দুলাইতো।একদিন দুপুরে খুঁচানের মতো কিছু না পায়া আমি আর চাচাতো ভাই উদাস বদনে ঘুরাঘুরি করতে ছিলাম এমন সময় চোখে পড়লো হুজুরের ঘরের দড়জা খোলা।আমরা দুইজন দড়জার সামনে গিয়ে উঁকি দিয়া দেখলাম হুজুর খাটের উপর শুয়া ঘুমাইতেছে আর তার পড়নের লুঙ্গী মাথার উপর উইঠা মুখ ঢাকার কাজ করতেছে।লুঙ্গি মাথায় উঠার কারনে হুজুরের বিশেষ অঙ্গ দেখা যাইতেছিলো।আমরা দুইজন ঘরে ঢুইকা খাটের সামনে দাড়ায়া আরও গভীরভাবে জিনিষটা পর্যবেক্ষন করতে লাগলাম।পর্যবেক্ষনের এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই বললো,"হুজুরের এইটা এতো বড় কেন? আমাদেরটা তো ছোট!!!"একটু পর চাচাতো ভাই হজুরের বিশেষ অঙ্গ আলতো কইরা টান দিয়া বলে, "দেখ হুজুরের এইটা টানলে লম্বা হয়" এই কথা শুইনা আমি ঐটা ধইরা দিলাম এক হেঁচকা টান।টান খায়া হুজুর নাক মুখ দিয়া ঘুরুৎ কইরা বিচিত্র এক শব্দ কইরা খাট থেইকা তিন হাত উপরে লাফায় উঠলো।হজুরের এলোপাতাড়ি হাতপা ছুড়ার কারনে আমরা দুইজন দুইদিকে ছিটকায়া পড়লাম আর হুজুর এক হাতে তার বিশেষ অঙ্গ ধইরা লাফাইতে লাফাইতে ঘরের বাইরে দৌড়।এরপর যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম হুজুরের ঘরের দড়জা সবসময় বন্ধ দেখতাম..................
চলবে..............
আমার বান্দরবেলা......১
আমার বান্দরবেলা.......২
আমার বান্দরবেলা........৩
আমার বান্দরবেলা........৪
আমার বান্দরবেলা........৫
আমার বান্দরবেলা........৬
আমার বান্দরবেলা.............৭
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




