আজ দৈনিক প্রথম আলো'র নারীমঞ্চে একটা ফিচার ছাপা হয়েছে "যোগ্য বলেই তিনি প্যারেড অধিনায়ক" এই শিরোনামে। বিষয় হলো সহকারী পুলিশ সুপার এলিজা শারমিন। গত ২রা সেপ্টেম্বর রাজশাহী পুলিশ একাডেমীতে ২৫ তম বিসিএস (পুলিশ) এর শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষাসমাপণী কুচকাওয়াজে এই ভদ্রমহিলা প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা নাকি পুলিশ একাডেমীর শতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম। তবে আমার লেখার বিষয় সেটা নয়।
ফিচারটিতে বলা হয়েছে এলিজা শারমিন এর আগে ২০০৩ সালে ২২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২৫ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। আমার প্রশ্ন এখানেই। বাংলাদেশে শিক্ষক এবং পুলিশ ভিন্ন দুই মেরুর বাসিন্দা, বিশেষ করে সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে। এলিজা শারমিন প্রথমবারেই পুলিশে চান্স পেয়ে প্যারেড অধিনায়ক হলে আমার বলার কিছু ছিল না বা আমিও হয়তো ফিচার লেখকের মতো প্রথম নারী প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে অভিনন্দন জানাতাম। কিন্তু গোল বাধালো ঐ শিক্ষকতা ছেড়ে পুলিশ হওয়াতে। বেতনের দিক থেকে বিসিএস প্রভাষক আর পুলিশ সুপার এক। শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি করে বাড়তি আয় করতে পারেন। যদিও অনেকেই হয়তো টিউশনি করা সমর্থন করেন না। কিন্তু তারপরও সেটা বৈধ আয়। আর পুলিশে আছে ওভার টাইম আর রেশন। ভদ্রমহিলা কি শুধূ এ দুটোর জন্যে ৩ বছরের সিনিওরিটি পরিত্যাগ করলেন ? নাকি পুলিশ যে বাংলাদেশে অন্যতম দূর্নীতিগ্রস্ত বলে পরিচিত, সেই পরিচয়ে নিজেকে বিলীন করার জন্য নিজেকে বিসর্জন দিলেন ?
হয়তো সময়ই উত্তর দেবে এই প্রশ্নের। আমরা জানবোনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০০