জি এস এস নিউজ ঃ বগুড়া গাবতলীর মধ্যকাতুলী গ্রামে হামলার ঘটনার পর থেকে ৩ দিন যাবত পুলিশ প্রহড়া থাকলেও পুনরায় হামলা ও গ্রেফতারের আশংকায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তাদের প্রয়োজনীয় মালামান নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। মামুন হত্যা মামলা হওয়ার পর থেকে মধ্যকাতুলী গ্রামের পুরুষরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হামলায় তিগ্রস্থ অর্ধশত পরিবার ভয়ে পালিয়ে থাকার কারণে তাদের মালামাল গুলি খোলা আকাশের নীচে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। গত বুধবার সকাল ১০ টায় মধ্যকাতুলী গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, গ্রেফতারকৃত চোর আজিম উদ্দিন জেলখানায় মারা গেছে। তবে চোর আজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়নি সংবাদটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গাবতলী উপজেলা চত্ত্বরে আ'লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের মধ্যে মামুন হত্যা কান্ড নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মধ্যকাতুলী গ্রামের লোকজন ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে মর্মে সংবাদটির ব্যাপারে গাবতলী থানার ওসি এ কে এম খালেকুজ্জামান পি পি এম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ ধরনের সংবাদ তাদের জানা নেই। তারা ব্যাপারটি নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তিনি আরো জানান, উক্ত গ্রামে পূনরায় হামলা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। উত্তেজনা কমে যাচ্ছে। ঐ দিনের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের কোন মামলা হয়নি। গত বুধবার বিকাল ৪ টায় গাবতলী আ'লীগ দলীয় অফিস থেকে মামুন হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগ এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি গাবতলীর প্রধান সড়কগুলি প্রদণি শেষে গাবতলী তিন মাথা মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা অবিলম্বে মামুন হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর গাবতলী উপজেলার মধ্যকাতুলী গ্রামে তেতুলগছি বাজারে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত চোর আজিমুদ্দিনকে নির্যাতন করে পানির পরির্বতে মুখে প্রস্রাব ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় গাবতলী উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন (৪০) প্রতিবাদ করলে ঐ দুর্বৃত্তরা মামুনকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত করে। মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৫ দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৮ টায় তার মৃত্যু ঘটে। ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় তার লাশ চককাতুলী গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন শেষে বিরুদ্ধে নেতা কর্মীরা মামুন হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িসহ মধ্যকাতুলী গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাংচুর লূটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। তারপর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজের কারনে ৩ দিন যাবত পুলিশ প্রহরা রাখা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




