দিনে অন্তত একবার বলুন “লাভ বাংলাদশ”ে
মা,মাটি ও মানুষের সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯০ সালের আগষ্ট মাসে ‘লাভ বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের দ্বিধা-বিভক্ত জনসাধারণকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রায় জনগণকে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে তৈরি করার ল্েয ‘লাভ বাংলাদেশ’ সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ থাকবে দশ তলায়,আর কেউ বা বাঁশতলায়-এই ভারসাম্যহীন অর্থনীতি থেকে জনগনকে মুক্ত করতে হবে ; ব্রিটিশের গোলামি আইনের বদলে দেশের পরিবেশ-উপযোগী আইন প্রবর্তন করতে হবে; প্রভু-দেশগুলোর রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গোলামি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে এধরনের বিভিন্ন দাবী ও কর্মসূচি নিয়ে ‘লাভ বাংলাদেশ’ এর অবিরাম পথচলা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দেশে যারা সরকারি চাকুরে,তারা পাবলিক সারভেন্ট-মানে ,জনগনের চাকর। সঠিক অর্থে জনগনই তাদের প্রভূ। অথচ,আমাদের দেশের অবস্থা এর একেবারেই উল্টো। বড় বড় সরকারি চাকুরেদের অত্যাচারের মুখে সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। এই অবস্থার মূলে পরিবর্তন সাধনের জন্য ‘লাভ বাংলাদেশ’ ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে; অনেক েেত্র বাস্তবায়নও করেছে।
আমরা দেশের বুদ্ধিদীপ্ত তরুন যুব সমাজকে সাথে নিয়ে সমাজের আমূল পরিবর্তনে দূঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা চাই দুস্থ,অভাবী,দূর্বল মানুষেরা তাদের ন্যয্য অধিকার ফিরে পাক,অসহায় সম্বলহীন মানুষেরা ঘুরে দাড়াক,তাদের সামাজিক নিরাপত্তা মর্যাদা প্রতিষ্টা হোক । এ ল্যকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবে লাভ বাংলাদেশ । এটি আজ শুধূ চট্টগ্রামেই সীমাবদ্ধ নয়, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া,রুপসা থেকে পাথুরিয়া, গ্রাম থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত এ সংগঠন আজ পরিচয় লাভ করেছে ,যেখানে অন্যায়, জুলুম,মাথাছাড়া দেয় সেখানেই দেশ প্রেমিক সংগঠন প্রতিবাদের আওয়াজ বুলন্দ করে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাংবাদিক মিজানুর রহমান চৌধুরীর দূর্জয় নেতৃত্বে আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মহান দিনে একঝাঁক উদীপ্ত মেধাবী তরুণ-তরুনীর স্বমন্বয়ে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ৯৬-৯৭ সালের দিকে ইপিজেড নির্মানের নামে বিদেশীদের কাছে দেশের ভূ-খন্ড বিক্রির কালো চুক্তি বাতিলের জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়। যা তখনকার সময়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবাদের কারনে ইপিজেড়ের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছিল। এছাড়াও চট্টগ্রামের বন্দরকে নিয়ে ভারতীয় এবং সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের প্রতিবাদ,দনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন,কর্ণফুলি সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন,গভীর সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্টাসহ নদীর দু-পাড়ে বন্দরের বিস্তৃতি, দেশদ্রোহি মাফিয়া রাজনীতির অবসান,বাণিজ্য ও শিল্প সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন সহ বৃহত্তম চট্টগ্রামের দাবিদাওয়া নিয়ে ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে লাভ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নির্ভীক সাংবাদিক ও দুঃসাহসী বক্তা দেশদ্রোহী শক্তির আতংক মিজানুর রহমান চৌধুরী সর্বাত্বক ও সফলভাবে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।এছাড়াও পাহাড় কাটা,নদী দখল,চরদখল, বনজ সম্পদ ও বৃ নিধন, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্দে প্রতিবাদের কন্ঠ অব্যাহত আছে। সরকারী অফিস আদালতে ঘুষ-বানিজ্য, নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে থাকবে।
মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় লাভ বাংলাদেশঃ
নগরে যিনি বাস করেন তিনি নাগরিক অর্থাথ সিটিজেন । বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের কথা বলা হয়েছে । কিন্তু গ্রামবাসীদের কথা বলা হয়নি। মনে রাখতে হবে আমাদের দেশ নগর কেন্দ্রিক নয়। সংবিধানে সকল মানুষের অধিকার সমান বলা হয়েছে । সমান যদি না হতো কুলি-মজুর রিকসা ওয়ালার ভোট একটি হতো না ,বড় লোকের এবং প্রভাবশালী লোকের ভোট বেশি হতো। গরিব হওয়ার কারনে থানা ও প্রশাসনে শালার ব্যাটা গালি শুনতে হচ্ছে। টাকা না থাকার কারনে কোথাও বিচার পাচ্ছে না। ভিটে হারা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকদের হাতে অসহায় মানুষগুলো । মিথ্যামামলায় প্রায় প্রতিদিন নিঃস্ব হ”েচ্ছ মানুষ। দেশের মালিক যদি জনগণ হয় দেশের কর্মচারী কারা? মালিক কি কর্মচারীকে স্যার ডাকবে, না কর্মচারীই মালিককে স্যার ডাকবে লাভ বাংলাদেশ এ দাবির ফয়সালা চাই? ব্যাংক গুলো ঋণ কি পূঁজিবিহীন লোকদের কর্জ দেবে, না তেলা মাথায় তৈল দিয়ে বড় লোকদের ঋণ দেবে?
সচেতন দেশবাসীঃ
কেউ প্রেমিকাকে না দেখে কি প্রেমিক হওয়া যায়? প্রেমিকাকে না দেখে যেমন প্রেমিক হওয়া যায় না,তেমনি বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রাম না দেখে দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। বাংলাদেশের মত এমন দেশ পৃথিবীর কোথাও নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ল ল শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ আমরা পেয়েছি। সে জন্য এদেশকে আমাদের সকলকে ভালবাসতে হবে। অন্তত দিনে একবার বলুন, লাভ বাংলাদেশ, তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে। ভালবাসার মানুষকে যেমন আঘাত করা যায় না তেমনি দেশকে ভালবাসলে কেউ দেশদ্রোহি তৎপরতায় জড়িত হতে পারে না,দেশের তি করতে পারে না। তাই আসুন সবাই মিলে শ্লোগান দিই “লাভ বাংলাদেশ”। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রা করা কঠিন। মুক্তিযুদ্ধারা স্বাধীনতা দিয়েছেন, আমরা দল মত র্নিবিশেষে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রা এবং সুখী সমৃদ্ব বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
সংগঠনের কার্য্যালয়ঃ
১৪/১ এস.এস.খালেদ রোড়,কাজির দেউরী,চট্টগ্রাম কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত
ফোন-০১৩-২৮৫৬২৫৩,মোবাইল-০১৭১১-২৭৯৬৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




